কাঁচা ওটস অনেকের পেটে সহ্য নাও হতে পারে।
Published : 23 Oct 2022, 06:49 PM
‘ব্লেন্ডার’য়ে গুঁড়া করে ‘স্মুদি’তে বা পানিতে ভিজিয়ে খাওয়ার মানেই হল ওটস কাঁচা খাওয়া।
তবে এভাবে খাওয়া কি ঠিক?
ওটস’য়ের হয় নানান ধরন, যা মধ্যে একটি হলো ‘রোল্ড ওটস’ এবং তা বেশ জনপ্রিয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)’র সূত্রানুসারে ইটদিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, “রোল্ড ওটস’ তৈরি হয় শতভাগ খোষা ছাড়িয়ে নিয়ে। পরে সেগুলো পরিষ্কার করে সিদ্ধ করা হয়। তারপর গোল পাকানো হয় কিংবা ‘ফ্লেক’য়ের পরিণত করা হয়।
‘ইনস্ট্যান্ট ওটস’ তৈরি হয় একই প্রক্রিয়ায়। তবে শেষে সেগুলো কুঁচি করে কাটা হয় যাতে দ্রুত রান্না করা যায়।
ওটস সিদ্ধ বা ভাপিয়ে নিলে তাতে কোনো ‘প্যাথোজেনিক মাইক্রো-অর্গানিজম’ থাকে না। ফলে কাঁচা খাওয়া হয় নিরাপদ। অর্থাৎ এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়া ওটস মানুষ নিশ্চিন্তে কাঁচা খেতে পারে।
জনপ্রিয় ওটসের ব্র্যান্ড ‘কোয়েকার’য়ের ওয়েবসাইটেও বলা হয় ‘ওটস’ কাঁচা খাওয়া নিরাপদ। তবে সবার হজমতন্ত্র এটি সহ্য করতে নাও পারে। তাই প্রথমবার কাঁচা ‘ওটস’ খেলে, অল্প পরিমাণে খেয়ে হজমতন্ত্রের প্রতিক্রিয়া বুঝে নিতে হবে।
খাবার খাওয়ার সাবধানতা
নিরাপদ বলা হলেই চট করে যে কোনো খাবার পেটে চালান করা উচিত নয়।
নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত পুষ্টিবিদ টোবি অ্যামিডোর বলেন, “সারারাত ভিজিয়ে রাখা ওটসের কথাই ধরা যায়। এটি খাওয়া নিরাপদ হলেও মনে রাখতে হবে ভেজানো অবস্থায় সেই ‘ওটস’ রাখতে হবে ফ্রিজে। কারণ আর্দ্র কার্বোহাইড্রেইট ধরনের খাবার ব্যাক্টেরিয়ার বংশ বিস্তারের আদর্শ স্থান। তাই ওটস সারারাত ভিজিয়ে রাখার ক্ষেত্রে তা কক্ষ তাপমাত্রায় রাখা যাবে না।”
ওটস দীর্ঘদিন ভালো রাখার জন্য তার সঠিক সংরক্ষণের উপায়ও জানতে হবে।
বাজার থেকে কিনে আনা ওটসের কৌটা খোলার পর তা প্রায় এক বছর পর্যন্ত ভালো থাকতে পারে। তবে সেজন্য কৌটাটি হতে হবে বায়ুরোধক।
আবার শুধু কৌটাটি যথেষ্ট নয় এক বছর ভালো রাখার জন্য। তাই পুরো কৌটাটিকে প্লাস্টিক কিংবা গ্লাসের কৌটায় রাখতে হবে।
ওটসের প্যাকেটে গায়ে লেখা মেয়াদ পার হয়ে গেলেও তা খাওয়া যায়। তবে স্বাদ কিংবা গন্ধ বদলে গেলে সঙ্গে সঙ্গেই ফেলে দিতে হবে।
আরও পড়ুন