ওজন কমাতে বেশি কার্যকর ওটমিল

ওটমিল বা ওটসে রয়েছে নানান উপকারিতা। তবে তা খেতে হবে সঠিক উপায়ে ও পরিমাণে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 August 2021, 11:13 AM
Updated : 7 August 2021, 11:13 AM

ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে নিয়মিত ওটস খাওয়া উপকারী। 

হেল্থ লাইন ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে কানাডা’র পুষ্টিবিদ কেইটি ডেভিডসন বলেন, “ওজন কমানোর লক্ষ্য যাই হোক না কেনো, ওটমিল খাওয়ার সামান্য পরিবর্তন দেহের ওজন বাড়াতে বা কমাতে ভূমিকা রাখে।”

সঠিক ওটস বাছাই করা

ওজন কমাতে চাইলে সঠিক ওটস বাছাই করা উচিত।

ডেভিডসনের মতে, গোল বা স্টিল কাট ওটস বাছাই করা যেতে পারে। ওটস যত কম প্রক্রিয়াজাত করা হবে তাতে আঁশের পরিমাণ তত বেশি ও শর্করার পরিমাণ তত কম থাকে। যা ওজন কমাতে সহায়ক। 

পরিমাপের দিকে খেয়াল রাখা

সকালে ক্ষুধার্ত অবস্থায় পেট ভরে ওটস খেতে ইচ্ছা হতেই পারে। তবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে ওটস খাওয়ার আদর্শ মাপ অর্থাৎ শুকনা অবস্থায় আধা কাপের সমান পরিমাপের কথা মাথায় রাখতে হবে।

ডেভিডসন বলেন, “আধা কাপ ওটসে ১৫০ ক্যালরি  (রান্না করা হচ্ছে এমন পানীয় যেমন-দুধের ক্যালরি বাদে), পাঁচ গ্রাম প্রোটিন এবং চার গ্রাম আঁশ থাকে।”

শর্করার দিকে খেয়াল রাখা

অনেকে মুখের স্বাদের জন্য নানা রকমের ‘ফ্লেইভার’ যোগ করা ওটস খেয়ে থাকেন। এই ধরনের ওটসে বাড়তি প্রোটিন ও চিনি যোগ করা থাকে। তাই, কেনার আগে তা দেখে নেওয়া ভালো।

অন্যথায় এই চিনি রক্তের শর্করার ওপর প্রভাব ফেলে এবং দেহে শক্তি কমানোর পাশাপাশি ওজন বাড়াতে ভূমিকা রাখতে পারে বলে জানান, ডেভিডসন।   

স্বাদ বাড়াতে উপকারী উপাদান যোগ করা

ওটসের স্বাদ বাড়াতে বাড়তি ‘ফ্লেইভার’য়ের প্রয়োজন হলে এতে দারুচিনির গুঁড়া বা সামান্য ভ্যানিলার এসেন্স যোগ করা যেতে পারে।

এছাড়াও, পুষ্টিমূল্য বাড়াতে নানা রকম ফল যেমন- কলা, আম ও বেরি এবং পছন্দের বাদাম বা এক চামচ প্রোটিন পাউডারও যোগ করা যেতে পারে বলে পরামর্শ দেন ডেভিডসন।

আরও পড়ুন