পরিচিত বড় দেশীয় পোশাক ঘরগুলোর পাশাপাশি ঢাকার শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের ছোট ছোট দেশীয় পোশাকঘরগুলোর আয়োজনের কমতি নেই।
Published : 14 Jul 2015, 05:13 PM
এই উচ্চমূল্যের সময়ে কিছুটা সাশ্রয়ী মূল্যে ভালো পোশাক কিনতে অনেকেই এই মার্কেটে ভিড় করেন।
শহরের অন্যতম ব্যস্ত এই মার্কেটের বিপনি বিতানগুলো ঘুরে জানা গেল বরাবরের মতো এবারও ছেলেদের পাঞ্জাবি, ফতুয়া টি-শার্ট, জিন্স এবং মেয়েদের সালোয়ার কামিজ, শাড়ি, সিঙ্গেল কামিজের বিকিকিনি বেশ ভালো হচ্ছে।
ছেলেদের পোশাক
ঈদে কম বয়সি তরুণ থেকে শুরু করে বৃদ্ধদের প্রথম পছন্দ থাকে পাঞ্জাবি। ঈদের এই চাহিদার কথা মাথায় রেখে এবারও হালকা কাজের উপর নানা রং এবং নকশার পাঞ্জাবি পাওয়া যাচ্ছে আজিজ সুপার মার্কেটে।
এই নিয়ে কথা হল ক্রেতা আশিকুর রহমানের সঙ্গে।
তিনি বললেন, “প্রতি ঈদে নতুন পাঞ্জাবি কেনার প্রতি বিশেষ আগ্রহ থাকে। তাই সীমিত বাজেটের মধ্যে মানানসই সুতি পাঞ্জাবি কেনার জন্যই এখানে আসলাম।”
‘রেক্স’ থেকে খাদি এবং সুতি কাপড়ের পাঞ্জাবি পাওয়া যাবে ১ হাজার ৯শ’ ৫০ থেকে ২ হাজার ২শ’ ৫০ টাকায়।
‘এস টু এন স্টাইল জোন’ থেকে ভারতীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পাঞ্জাবি কিনতে গুনতে হবে ২ হাজার ৫শ’ থেকে ২ হাজার ৭শ’ টাকা। একই দোকানে পায়জামাসহ পাঞ্জাবি পাওয়া যাবে ৩ হাজার টাকায়।
‘কাপড়-ই-বাংলা’ থেকে কটন কাপড়ের ব্লক এবং হাতের কাজ সমৃদ্ধ পাঞ্জাবি পাওয়া যাবে ১ হাজার ২শ’ থেকে ২ হাজার ১শ’ ৫০ টাকায়। একই দোকান থেকে পাঞ্জাবির সঙ্গে পরার জন্য উত্তরীয় পাওয়া যাবে সাড়ে ৩শ’ টাকায় এবং হাত বা গলার স্কার্ফ পাওয়া যাবে ২৯০ টাকায়।
পাঞ্জাবির সঙ্গে পায়জামা পরতে চাইলে নিজের পছন্দ মতো আলাদাভাবে কিনে নেওয়াই ভালো। এক্ষেত্রে ছেলেদের সালোয়ার পায়জামার দাম ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা। চুড়িদার পায়জামা পাওয়া যাবে সাড়ে ৪শ’ টাকায়।
পাঞ্জাবি ছাড়াও অনেকেই আবার শার্ট কিংবা টি-শার্ট পরতে ভালোবাসেন। এই মার্কেটে গোলগলা টি-শার্ট পাওয়া যাবে ২৮০ টাকায়। পোলো টি শার্ট কিনতে হলে গুনতে হবে সাড়ে ৪শ’ থেকে সাড়ে ৫শ’ টাকা।
গরমের কথা মাথায় রেখে অনেকেই ঈদে ফতুয়া কেনার চিন্তাভাবনা করেন। এক্ষেত্রে ফতুয়াগুলোর দাম সাড়ে ৪শ’ থেকে ১ হাজার ৩শ’ টাকা।
এছাড়া ছেলেদের কুর্তার দাম দোকানভেদে সাড়ে ৭শ’ থেকে ১ হাজার ১শ’ টাকা এবং খাদি ও কটনের কোটির দাম ৬৯০ থেকে ১ হাজার ৫০ টাকা।
পাঞ্জাবি কিংবা টি-শার্টের সঙ্গে পরার জন্য অধিকাংশ তরুণের প্রথম পছন্দ জিন্স। আজিজ সুপার মার্কেটের ‘ইজি’ থেকে ছেলেদের জিন্স কিনতে হলে গুনতে হবে ১ হাজার ৮শ’ থেকে ২ হাজার ১শ’ টাকা। একই দোকান থেকে গ্যাবার্ডিন প্যান্ট কিনতে হলে গুনতে হবে ২ হাজার ২শ’ ৯০ টাকা।
এছাড়া অন্যান্য দোকানে জিন্সে দাম ১ হাজার ৪শ’ থেকে ১ হাজার ৭শ’ টাকায় এবং গ্যাবার্ডিন প্যান্ট ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মেয়েদের পোশাক
এবার ঈদে ক্রেতা সাধারণের চাহিদা সম্পর্কে জানতে চাইলে দোকানের ম্যানেজার রোকসানা আক্তার বললেন, “প্রতি বছরের মতো এবারেও সালোয়ার কামিজের চাহিদাই বেশি। তবে রংয়ের ক্ষেত্রে নীল প্রাধান্য পাবে এমন ধারণা থাকলেও এই ঈদে হলুদ রংয়ের প্রতি তরুণীদের আকর্ষণ বেশি দেখা যাচ্ছে।”
‘বিসর্গ’ থেকে তাঁতের থ্রি পিস পাওয়া যাবে ১ হাজার ৫শ’ থেকে ২ হাজার ১শ’ ৫০ টাকায়। একই দোকান থেকে ওয়ান পিস লং কামিজ কিনতে হলে গুনতে হবে সাড়ে ৯শ’ থেকে ১ হাজার ১শ’ ৫০ টাকা। সিঙ্গেল ওড়না পাওয়া যাবে আড়াইশ থেকে সাড়ে ৪শ’ টাকায়।
এছাড়া নন্দন কুটির’য়ে থ্রি পিস ১ হাজার ৪শ’ থেকে ২ হাজার ৫০ টাকায় এবং সিঙ্গেল কামিজ ৮৫০ থেকে ১ হাজার ২শ’ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিবারের মতো এবারও ঈদে শাড়ির জন্য রয়েছে আলাদা আয়োজন। ‘বিসর্গ’তে সুতির শাড়ি বিক্রি হচ্ছে ৮শ’ থেকে ২ হাজার ৬শ’ ৫০ টাকায়। হাফ সিল্কের শাড়ির দাম ১ হাজার ৮শ’ ৫০ থেকে ২ হাজার ৫শ’ ৫০ টাকা। এছাড়া অ্যাপ্লিকের কাজ করা শাড়ির দাম ১ হাজার ৮শ’ থেকে ২ হাজার ৬শ’ ৫০ টাকা।
‘এস টু এন স্টাইল জোন’ থেকে ইন্ডিয়ান জর্জেট শাড়ি কিনতে হলে গুনতে হবে ২ হাজার ৭শ’ থেকে ২ হাজার ৯শ’ টাকা।
একই জায়গা থেকে সুতি কাপড়ের উপর অ্যাপ্লিকের কাজ করা শাড়ি কিনতে হলে গুনতে হবে ২ হাজার ২শ’ ৫০ টাকা।
এছাড়া আজিজ সুপার মার্কেটে মেয়েদের ফতুয়া পাওয়া যাবে ৬শ’ থেকে ১ হাজার ৩শ’ ৫০ টাকায়।
অন্যান্য জিনিসপত্রের মধ্যে মেয়েদের জুতা ৬শ’ থেকে ১ হাজার ৪শ’ টাকা, ব্যাগ ৬শ’ থেকে ১ হাজার ২শ’ টাকা। এছাড়া চুড়ি, অ্যান্টিকের মালা, দুলসহ অন্যান্য গহনা বিক্রি হচ্ছে।
শিশুদের পোশাক
ছোট মেয়েদের টপস, ফতুয়া এবং থ্রি পিস পাওয়া যাচ্ছে ৭শ’ থেকে ১ হাজার টাকায়। ছোট ছেলেদের পাঞ্জাবি ৫শ’ থেকে ১ হাজার ১শ’ টাকায় এবং ফতুয়া ২২০ থেকে ৬শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ছবি: অমি।