পূজায় চাই নানান রকম মিষ্টি। তাই দেওয়া হলো দুটি ভিন্ন রকম মিষ্টি তৈরির পদ্ধতি।
Published : 29 Sep 2014, 04:48 PM
রেসিপি দিয়েছেন কাকলি নেওয়াজ তালুকদার।
উপকরণ
তরল দুধ ২ লিটার। লেবুর রস ৪ টেবিল–চামচ। চিনি ১ কাপ। এলাচ ১টি। মাওয়া আধা কাপ। কন্ডেন্সড মিল্ক আধা কাপ। ঘি ১ চা-চামচ।
পদ্ধতি
মাওয়া তৈরি: গুঁড়াদুধ এক কাপ। ঘি ২ টেবিল–চামচ। চিনি ১ চা-চামচ। দুধ, ঘি, চিনি আর ৪ টেবিল-চামচ পানি একসঙ্গে মিশিয়ে ওভেনে হাই পাওয়ারে একটি মিনিট রেখে বের করে ঠান্ডা করে নিন। ঠান্ডা হলে হাত দিয়ে গুঁড়া করে নিন।
ক্ষীর কদম তৈরি: প্রথমে দুধ জ্বাল দিন। ফুটে উঠলে ৪ টেবিল-চামচ লেবুর রস দিন। এবার দুধ ঘন হয়ে আস্তে আস্তে ছানা ছানা হয়ে যাবে।
ছানা নামিয়ে একটা পরিষ্কার পাতলা কাপড়ে ঢেলে দিন। ছানা এই অবস্থায় ভালো করে ধুয়ে নিয়ে কাপড় থেকে চিপে ছানার পানি বের করে নিন। এবার ছানা দুইভাগে ভাগ করে ফেলুন।
রসগোল্লার ভেতরের অংশ তৈরি : একভাগ ছানা হাত দিয়ে ভালো করে মথে ছোট ছোট বল অর্থাৎ রসগোল্লার আকার বানিয়ে নিন। এবার চুলায় ৩ কাপ পানি, এলাচ আর চিনি দিয়ে ফুটিয়ে নিন। চিনির পানি অথবা সিরা ফুটে উঠলে গোল করা বলগুলো ছেড়ে দিন।
প্রায় ১৫ মিনিট মাঝারি আঁচে ঢেকে দিয়ে রান্না করে নামিয়ে ফেলুন। এই রসগোল্লাগুলো যদি একটু লাল করতে চান তাইলে সিরার চিনি আগে থেকে ক্যারামেল করে দেওয়া যাবে। ক্যরামেল করতে হলে ২ চা-চামচ চিনি আর ২ চা-চামচ পানি একসঙ্গে আগে জ্বাল দিয়ে সিরায় মিশিয়ে দিন।
ক্ষীরের জন্য (বাইরের স্তর): আগে থেকে ভাগ করে রাখা বাকি ছানার সঙ্গে আধা কাপ মাওয়া, কন্ডেন্সড মিল্ক আর ঘি একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে চুলায় মাঝারি আঁচে বসিয়ে দিন। বারেবারে নাড়তে থাকুন। যখন দেখবেন ঘন হয়ে হালুয়ার মতো হয়ে গেছে তখন নামিয়ে ফেলুন।
ক্ষীর দেখতে অনেকটা আটার ডো-এর মতো হয়। এবার রসগোল্লা থেকে রস চিপে বের করে নিন।
যতগুলো রসগোল্লা হয়েছে ঠিক সেই কয়টা বলের আকার ক্ষীর দিয়ে বানিয়ে ফেলুন। এবার ক্ষীর এর বলগুলো বাটির মতো বানান অর্থাৎ মাঝাখানে গর্ত করে এর ভেতরে রসগোল্লা দিয়ে বাটির মুখ ভালো করে বন্ধ করে দিন হাত দিয়ে চেপে চেপে।
এবার মাওয়ায় গড়িয়ে নিন একটা একটা করে। মঝাখান দিয়ে কেটে দুই ভাগ করুন। হয়ে গেল ক্ষীরকদম।
কেউ যদি মিষ্টি বেশি খেতে চান তাহলে ক্ষীর বানানোর সময় ক্ষীরে স্বাদমতো চিনি দিন।
উপকরণ
আলুভর্তা ১ কাপ। ময়দা ১ কাপ। গুঁড়াদুধ ১ টেবিল–চামচ। বেকিং পাউডার ১ চা-চামচ। এলাচগুঁড়া আধা চা-চামচ। ঘি ১ টেবিল–চামচ।
পদ্ধতি
সবগুলো উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে ডো বানিয়ে ফেলুন। আধা ঘণ্টা ঢেকে রাখুন। এরপর ছোট ছোট বলের আকারে বানিয়ে নিন। বলগুলো ডুবো তেলে ভেজে নিন (তেল আর ঘি মিশিয়ে নিবেন)।
ভাজার সময় চুলার আঁচ কমিয়ে রাখবেন। বেশ সময় নিয়ে ভাজতে হবে যেন মিষ্টির ভেতরে ও বাইরে ভালোমতো ভাজা হয়। বলগুলো যখন খয়েরি রং হয়ে যাবে তখন নামিয়ে ফেলবেন।
সিরার জন্য: চিনি ২ কাপ। পানি ৩ কাপ। এলাচি ২টি। সবগুলো উপকরণ চুলায় দিয়ে জ্বাল দিন। চিনির এই পানি ফুটে উঠলেই সিরা হয়ে যাবে।
মিষ্টি তৈরি: গরম গরম সিরায় ভাজা বলগুলো ছেড়ে দিন। ১৫ মিনিট চুলায় অল্প আঁচে জ্বাল দিন। চুলা থেকে নামানোর পর ও মিষ্টিগুলো সিরায় ৩-৪ ঘণ্টা ডুবিয়ে রেখে দিন।
হয়ে গেল মজাদার আলুর লালমোহন।