পানি পানের পাশাপাশি কিছু খাবার শরীরকে ভেতর থেকে ঠাণ্ডা রাখতে সহায়তা করে।
Published : 10 Jun 2022, 08:21 PM
গ্রীষ্ণকালে তাপের প্রকোপ থেকে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে প্রয়োজন নিজেকে আর্দ্র রাখা।
আর তাপ সামলাতে ডাবের পানি উপকারী। এতে ক্যালরি কম। প্রাকৃতিক এনজাইম ও পটাশিয়ামের মতো খনিজ থাকে।
“সকালে খালি পেটে ডাবের পানি পান দ্বিগুণ উপকারী। শরীর ঠাণ্ডা করা ছাড়াও এতে থাকা লরিক অ্যাসিড রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা, বিপাক বাড়ায় এবং পানিশূন্যতা ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে,” ফেমিনা ডটইন’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এভাবেই বলেন ভারতীয় পুষ্টিবিদ ও ‘ফুড দর্জি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ডা. সিদ্ধান্ত ভার্গাভা।
স্বাদ বাড়াতে এতে পুদিনা, মধু ও লেবুর রস যোগ করেও পান করা যায়।
ভারতের ইউ কেয়ার’য়ের প্রতিষ্ঠাতা এবং পুষ্টিবিদ লুক কোতিনহো বলেন, “ছাতু শরীর ঠাণ্ডা রাখতে অন্যতম উপকারী খাবার। এতে থাকা প্রোটিন শরীরকে সূর্যের ক্ষয় থেকে বাঁচায়। হালকা খাবার ছাতু সহজে হজম হয় এবং প্রোটিন শেইক হিসেবেও ছাতু খাওয়া যায়।”
ছাতুতে থাকা শীতলকারক উপাদান দেহের তাপমাত্রা কমায়। এতে রয়েছে প্রোটিন, আঁশ, ক্যালসিয়াম, লৌহ ও ম্যাগনেসিয়াম। বাটার মিল্ক বা ঘোলের সঙ্গে ছাতুর মিশ্রণ গরমে আদর্শ খাবার।
পুষ্টি বিদ ও ‘ফুড কোচ’ অনুপমা মেনোনের মতে, “গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে অন্যতম উপকারী খাবার হল কদবেল বা বেল। টক মিষ্টি স্বাদের এই ফল গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখে। বেলের শরবত, লাচ্ছি, মোরব্বা ইত্যাদি বানিয়ে খাওয়া যায়।”
গরমের কারণে হওয়া স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে বেল খাওয়া উপকারী।
সিম্ভালেখা’র প্রধান পুষ্টিবিদ ও সহ প্রতিষ্ঠাতা অঞ্জু ভেলচা বলেন, “গরমে তোকমা খাওয়া উপকারী। এতে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন এ ও কে। আরও আছে ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও ফলিক অ্যাসিড।”
এটা কোলাজেনের মাত্রা বাড়িয়ে ত্বক সুস্থ ও সুন্দর রাখে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্লাভানয়েড ত্বকের বলিরেখা দূর করে, চুল পড়া কমায় ও চকচকেভাব আনে।
খুব বেশি ঘাম হলে শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া ইলেকট্রোলাইট ও পানির ঘাটতি মিটাতেও এটা উপকারী।
ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি মেটাতে তোকমার দানা কয়েক মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রেখে তা ডাবের পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করা যেতে পারে।
“গরমে শরীর তাপমাত্রা ঠিক রাখতে খাবারে টক দই ও লাচ্ছির সঙ্গে পুদিনা যোগ করে দিনে অন্তত একবার খাওয়া উচিত,” পরামর্শ দেন ডায়েট ইনসাইথ’য়ের সহকারী প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান পুষ্টিবিদ লাভিন কর।
তার কথায়, “কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস ও অ্যাসিডিটির সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এটা বিশেষ উপকারী। যাদের ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা রয়েছে তারা এই মৌসুমে তরমুজ, বাঙ্গি, শসা ইত্যাদি জলীয় উপাদান সমৃদ্ধ ফল খেতে পারেন।”
এছাড়াও পানি পানের মাত্রা বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন