আবহাওয়ার কারণে ত্বকে দেখা দেয় মলিনভাব এবং চামড়া ওঠার সমস্যা।
শিবানী’জ অ্যারোমা’র কর্ণধার শিবানী দে প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বক সতেজ ও দাগহীন করতে ঘরে থাকা উপদান দিয়েই প্যাক ও জেল তৈরির পদ্ধতি ও উপকারিতা সম্পর্কে জানান।
জেল তৈরির উপকরণ
চাল ধোয়া পানি, ধনে পাতা, অ্যালো ভেরার জেল, গ্লিসারিন, কাঠ-বাদাম তেল
প্রাকৃতিক জেল তৈরির পন্থা
আধ কাপ পানিতে সামান্য চাল ভিজিয়ে রাখতে হবে দুই ঘন্টা। চালের পানিতে রয়েছে ভিটামিন ও অ্যা্মিনো অ্যাসিড এবং নানান খনিজ উপাদান যা ত্বকের বলিরেখা দূর করে। আর ত্বক টানটান রাখে।
ধনেপাতাতে রয়েছে ভিটামিন সি, এ এবং কে। এছাড়াও থাকে ফাঙ্গাস ও ব্যাক্টেরিয়া রোধী উপাদান।
চালের পানি দিয়ে ধনে-পাতা ব্লেন্ড করে এর রস ছেঁকে আলাদা করে নিতে হবে।
এই রসের সঙ্গে সামান্য কর্নফ্লাওয়ার মিশিয়ে তা হালকা গরম করে নিতে হবে। গরম করার ফলে তা জেল হিসেবে পরিণত হবে।
ঘরে তৈরি করা এই জেলের কার্যকারিতা বাড়াতে এর সঙ্গে এক চা-চামচ অ্যালো ভেরার জেল যোগ করতে হবে।
অ্যালো ভেরা ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে আর্দ্র রাখে, মসৃণ করে এবং কোলাজেনের মাত্রা বাড়ায়। এর সঙ্গে এক চা-চামচ গ্লিসারিন ও কাঠ-বাদামের তেল যোগ করা উপকারী।
এই তেলে রয়েছে ভিটামিন ই, ডি এবং এ, যা ত্বকে বয়সের ছাপ কমায় এবং বলিরেখা দূর করে।
সবগুলো উপাদান ভালো মতো মিশিয়ে একটি পাত্রে এক সপ্তাহ পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে।
ফেইস প্যাক তৈরির উপকরণ
মুলতানি মাটি (এক চামচ), লবঙ্গের গুঁড়া (আধ চামচের কম) ও তৈরি করা জেল প্রয়োজন মতো
নিখুঁত ত্বকের জন্য প্যাক তৈরির উপায়
একটি পাত্রে এক চামচ মুলতানি মাটি ও লবঙ্গের গুঁড়া নিয়ে এর সঙ্গে ঘরে তৈরি করা জেল ভালো মতো মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিতে হবে।
ব্যবহার পদ্ধতি
ঘরে তৈরি জেলটি সাত দিন পর্যন্ত ভালো থাকে। প্রতিদিন এই জেল ও প্যাক গোসলের আগে বা পরে যেকোনো সময় ব্যবহার করা যায়।
এতে ত্বক তাৎক্ষণিকভাবেই উজ্জ্বল ও সতেজ হয়ে উঠবে এবং নিয়মিত ব্যবহারে ভালো পাওয়া যাবে।
উপকারিতা
তৈরি করা জেলে কোনো রাসায়নিক উপাদান না থাকায় তা ত্বকের জন্য নিরাপদ। এটা ত্বককে মসৃণ ও আর্দ্র রাখতে সাহায্য করবে।
মুলতানি মাটিতে আছে ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় ও সতেজ রাখে। লবঙ্গ ত্বকের যেকোন দাগ ছোপ ও ‘পিগ্মেন্টেইশন’ কমায়।
সুন্দর ও সতেজ ত্বকের জন্য এই প্যাক ব্যবহার করা উপকারী। আর এটা সহজ ও সাশ্রয়ী।
আরও পড়ুন