এসব সমস্যা থেকে বাঁচতে ত্বকের নিয়মিত যত্নে নেওয়া প্রয়োজন।
কৈশোরে ত্বকের যত্ন নেওয়ার সঠিক উপায় সম্পর্কে কস্মেটিক ইঞ্জিনিয়ার এবং ‘কসমিক নিউট্রাকস’য়ের প্রতিষ্ঠাতা ডলি কুমার বলেন, “ত্বকের যত্নে প্রথম ধাপ হল ত্বক পরিষ্কার রাখা। দিনে দুবার ফেইসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়া উচিত। এরপরে টোনার ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।”
ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, “ত্বক ভালো রাখার আরেকটি মূলমন্ত্র হল ত্বক আর্দ্র রাখা। এটা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়।”
এই সময়ে দৈনিক আট গ্লাস পানি পান, মৌসুমি ফল ও সবজি যেমন- শসা, তরমুজ, টমেটো ইত্যাদি খাওয়ার পরামর্শ ডলি কুমার।
বাইরে অনেক গরম থাকায় যতটা সম্ভব ঘরে থাকা উচিত। ঘরে থাকলেও শরীরকে আর্দ্র রাখতে ঠিক মতো গোসল করা ও শরবত পান করা উচিত।
রাতে ঘুমানোর আগে গোসল করা উচিত। তৈলাক্তভাবের কারণে ব্রণ ও ব্রেকআউট দেখা দিতে পারে তাই। তৈলাক্ত প্রসাধনী থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে কোনোভাবেই সানব্লক ব্যবহার বাদ দেওয়া যাবে না।
তাছাড়া ঠোঁটের আর্দ্রতা সহজেই কমে যায়। তাই সবসময় একে আর্দ্র রাখার চেষ্টা করতে হবে। এক্ষেত্রে ফলের নির্যাসযুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা ভালো।
মুখের পাশাপাশি চোখের চারপাশের ত্বকেরও যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। চোখের ফোলাভাব কমাতে বরফ বা আই প্যাক ব্যবহার ভালো।
এছাড়াও মোবাইল ফোন ও টেলিভিশন দেখার পেছনে কম সময় ব্যয় করা প্রয়োজন। কারণ কৈশোরে ত্বক অপরিপক্ক থাকে। ফলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
ত্বক আর্দ্র রাখতে রাসায়নিক উপাদানের পরিবর্তে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা উচিত। না হলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তাছাড়া যে কোনো প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিজের ত্বকের ধরণ সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন বলে জানান ডলি কুমার।
ছবির মডেল: আশা। আলোকচিত্র: রাইনা মাহমুদ। বিন্যাস ও পরিকল্পনা: আলি আফজাল নিকোলাস। সৌজন্যে: ত্রয়ী ফটোগ্রাফি স্টুডিও।
আরও পড়ুন