বিবাহিত জীবনে সুখে থাকার পন্থা

চর্চা ছাড়া কোনো সম্পর্কই টেকে না।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 May 2021, 01:39 PM
Updated : 19 May 2021, 01:39 PM

আর বিবাহিত জীবনে দুটি মানুষ সারাক্ষণ এক ছাদের নিচে থাকছেন। সেখানে সম্পর্ক ভালো রাখতে অনুশীলনের মাত্রাটাও বাড়াতে হয়।

দাম্পত্য জীবন সুখের করতে একেকজন একেক রকম পন্থা অবলম্বন করতেই পারেন। তবে কিছু বিষয় আছে যা পালন করতে পারলে সংসারে অশান্তি ঠেকানো যায়।

ফেমিনা ডটইন’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এরকমই কয়েকটি পন্থার কথা জানিয়েছেন ভারতের নিবন্ধিত সম্পর্ক-বিষয়ক পরামর্শদাতা জীবিকা শর্মা।

যোগাযোগ ও বোঝাপড়া

দম্পতিদের মাঝে মত বিরোধ হওয়া স্বাভাবিক। তা নিয়ে আঁকড়ে বসে না থেকে বরং খোলামেলাভাবে কথা বলা জরুরি। একে অপরের সঙ্গের যোগাযোগের কোনো বিকল্প নেই। আবেগকে আবদ্ধ রাখা, সমস্যা নিয়ে কথা বলতে না চাওয়া ভবিষ্যতে আরও বড় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যোগাযোগ ও বোঝাপড়া হাতে হাত রেখে চলে। তাই এদের অবহেলা করা ঠিক নয়।

বিশ্বাস ও সততা

সম্পর্কের মূল ভিত্তি হল বিশ্বাস ও সততা। সঙ্গীর ভেতর সততা থাকলে তার ওপর বিশ্বাস রাখা যায়। সততা থেকেই বিশ্বাসের জন্ম, তাই সঙ্গীর প্রতি সৎ থাকতে হবে।

প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দম্পতিরা প্রায় কিছু না কিছু বিষয়ে মিথ্যা বলেন। যদি সঙ্গীর কাছে মিথ্যা বলে থাকেন তাহলে এর কারণ নিজের কাছেই জিজ্ঞেস করুন।

যেকাজের জন্য মিথ্যা বলছেন সেবিষয়ে সঙ্গীকে বোঝানোর চেষ্টা করুন। মিথ্যা বলা কোনো সমাধান নয়। এটা ভবিষ্যতে আরও জটিলতা বাড়ায়।

মুখোমুখি হওয়ার ক্ষমতা

দাম্পত্য জীবন সার্থক করতে নানান প্রতিকূলতা ও সম্পর্কের জটিলতা ডিঙিয়ে চলতে হয়। দুজনের যে কেউ একজন যদি পরিপক্কভাবে সমস্যা মোকাবেলা করতে না পারেন তাহলে সম্পর্কের বন্ধন আজ অথবা কাল দুর্বল হয়ে পড়ে।

কোনো বিষয় নিয়ে যদি মানসিক যন্ত্রণায় ভুগলে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে।

ঝামেলা বা দ্বন্দ্ব থেকে পালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা কখনই ভালো ফলাফল আনে না। বরং সম্পর্কে টানাপোড়েন বাড়ায়।

অর্থনৈতিক বিষয়ে খোলামেলা

স্বামী-স্ত্রী দুজনেই বা যে কোনো একজন যদি কর্মজীবী হন তবে কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত।

খরচের খুঁটিনাটি সবকিছুর তথ্য দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে ভবিষ্যতে কোনো বিরোধ এড়াতে দুজনকেই বর্তমান ও ভবিষ্যতের সম্ভাব্য ব্যয় সম্পর্কে খোলামেলা আলোচনা করা প্রয়োজন।

আয় ও বিনিয়গের বিষয় যা সংসারে প্রভাব ফেলতে পারে এমন বিষয়গুলো সঙ্গীর কাছে গোপন রাখা ঠিক নয়। 

আনুগত্য এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

সম্পর্ক রক্ষায় একে অপরের প্রতি অনুগত থাকা ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকা জরুরি।

অনেক সময় মানুষের সঙ্গী ছাড়াও অন্যের প্রতি ভালো লাগা বা আকর্ষণ কাজ করতে পারে, মানুষ হিসেবে এটা স্বাভাবিক। এমন ক্ষেত্রে সম্পর্কের ভবিষ্যত কীভাবে গড়ে তুলবেন তা আপনার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে।

অনেকের মতো আপনিও নিজের অনুভূতি সঙ্গীর সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেন এবং তাকে নিশ্চিত করুন যে এটা দুশ্চিন্তার কিছু নেই এবং গোপনীয়তারও কিছু নেই।

এতে সঙ্গীও বুঝতে পারবে যে, আপনাদের মধ্যে গোপন কিছু নেই। একে অপরের প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ও শ্রদ্ধাশীল।

এগুলো কেবল ভালোবাসাই বাড়ায় না বরং শ্রদ্ধাবোধ বাড়ায় এবং আপনি কখনই তার ক্ষতির কারণ হবেন না এমন নিশ্চয়তাও দেয়।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন