বছরের অল্প কয়েকটা মাস শীতের কাপড় ব্যবহার করা হয় বলে বাকি সময়ে তা আবদ্ধ ভাবেই সংরক্ষণ করা হয়। ফলে এতে গন্ধ বা স্যাঁতস্যাঁতেভাব হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
শীতে ব্যবহৃত কাঁথা, কম্বল ও পরিধেয় পোশাকের যত্ন সম্পর্কে পরামর্শ দেন বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের বস্ত্র ও বয়নশিল্প বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহমিনা রহমান।
তিনি বলেন, “শীতের কাঁথা, কম্বল বা লেপ অনেক দিন ধরেই তুলে রাখা ছিল। সঠিক সংরক্ষণের অভাবে এতে দুর্গন্ধ, ভেজাভাব, তিল পড়ার সমস্যা এমনকি পোকার আক্রমণও দেখা দিতে।”
তাই, শীত আসার শুরুর দিকেই এগুলোর ঠিকঠাক ব্যবস্থা নিতে হবে।
শীতের শুরুতেই এইসকল কাপড় রোদে দিতে হবে।
কেবল অনেক দিন তুলে রাখা হয়েছিল এর জন্যই নয় বরং আবদ্ধ অবস্থায় থাকায় এতে গন্ধ সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও বর্ষা মৌসুমে ভেজা আবহাওয়ার কারণে এতে স্যাঁতস্যাঁতেভাব ও গন্ধ হতে পারে।
রোদে দিলে কাঁথা, কম্বল ও লেপ বেশ ঝরঝরে হয়ে ওঠে বলে জানান, তিনি।
এখনই যদি কম্বল বা লেপের ব্যবহার শুরু না করতে চান তাহলে রোদে দিয়ে হাতের কাছেই কোথাও রাখতে পারেন, প্রয়োজনের সময় ব্যবহার করা সহজ হবে।
খুব বেশি শীত পড়লে রোদের তাপ কমে যায়। তাই আশানুরূপ রোদ পাওয়া যাবে না। ফলে এটাই শীতের কাপড় রোদে দেওয়ার উপযুক্ত সময়।
পরিধেয় পোশাকের ক্ষেত্রেও তিনি একইভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরামর্শ দেন।
স্যাঁতস্যাঁতেভাব দূর করতে শীতের শুরুতে কাপড় রোদে দিয়ে নিতে হবে।
শীতের পোশাক যেমন- সোয়েটার, জ্যাকেট, মোটা ট্রাউজার বা অন্যান্য ভারী কাপড়গুলো নামিয়ে পরিষ্কার করে নেওয়া ভালো। পরে রোদ পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে।
তাছাড়া এখনই গুছিয়ে রাখলে পরে ঠাণ্ডা বেশি পড়লে সহজেই হাতের কাছে পাওয়া যাবে।
এই বছর শীতের পোশাকের যত্ন অন্যান্যবারের চেয়ে আলাদা হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন শাহমিনা রহমান।
অন্যান্য বছরগুলোতে আমরা শীতের ভারী কাপড় কয়েক দিন একটানা ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এবার তা করা নিরাপদ নয়।
কোভিড-১৯’য়ের কারণে আমরা বাইরে থেকে এসেই পরনের পোশাক ধুয়ে পরিষ্কার করে রোদে শুকিয়ে নেই। তবে শীতের পোশাক ভারী হওয়ায় তা প্রতিদিন ধোয়া সম্ভব নয়।
আবার এমন পোশাক বাসায় রাখাও নিরাপদ নয়।
সেক্ষেত্রে করণীয় হিসেবে তিনি বলেন, “মানুষ চলাচল করে না ঘরের এমন অংশে (আলো আসে এমন স্থান হলে ভালো) ২৪ ঘন্টা পরিহিত পোশাক ঝুলিয়া রাখা যেতে পারে। আর ব্যবহারের আগে তা ভালো মতো ঝেড়ে ব্যবহার করতে হবে।”
মাফলার, মাস্ক ও টুপি ব্যবহারের ক্ষেত্রে খুব বেশি সচেতন হওয়া জরুরি বলে মনে করেন তিনি। কারণ, এগুলো সরাসরি মুখ, কান ও গলার সংস্পর্শে থাকে।
আরও পড়ুন