সন্তানের অনলাইন ক্লাস কার্যকর করার উপায়

ঘরে থেকেও শিশুর পড়াশুনা যেন বাধাগ্রস্ত না হয়। সেজন্য চাই বাড়তি মনোযোগ।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Sept 2020, 10:03 AM
Updated : 11 Sept 2020, 10:03 AM

মানসিক স্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে শিশুর অনলাইন ক্লাস কার্যকর ও তার উন্নতি পর্যবেক্ষণ করার উপায় সম্পর্কে জানানো হল।

মনোযোগের বিঘ্ন না ঘটা: অনলাইন ক্লাস করার সময় শিশুরা যেন ‘এসএমএস’ বা ‘গেইম’ নিয়ে ব্যস্ত না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখে হবে। ভার্চুয়াল ক্লাসে অনেক বেশি মনোযোগী হতে হয়। তাই মনোযোগ নষ্ট করে এমন ‘অ্যাপ’ ডিভাইসে না রাখাই ভালো।

ভারচুয়াল ক্লাসের জন্য স্থান নির্দিষ্ট করা: সন্তান অনেকটা সময় একটানা ক্লাস করবে। তাই তার জন্য একটা নির্দিষ্ট স্থানের ব্যবস্থা করা উচিত। সেই স্থান যেন নিরিবিলি ও আরামদায়ক হয় সেওদিকে খেয়াল রাখুন। এছাড়াও সন্তানের বসার জায়গাটা যেন দীর্ঘসময়ের জন্য আরামদায়ক হয় সেই ব্যবস্থাও করাতে হবে।

যান্ত্রিক ত্রুটি: অনলাইন ক্লাসের আগে ইন্টারনেট সংযোগ ঠিক আছে কিনা তা দেখে নিন। এতে সে নির্বিঘ্নে ক্লাস করতে পারবে।

উন্নতি পর্যবেক্ষণ: সন্তানের পড়াশুনার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে তাকে ছোট খাট প্রশ্ন করতে পারেন। প্রতিদিন সে কতটূকু পড়ছে, নতুন কী শিখেছে তা নিয়েও তার সঙ্গে কথা বলতে পারেন।

তাছাড়া পড়ার সময় সে যদি কোনো সমস্যা বা ঝুঁকির সম্মুখীন হয় তাহলে সে সম্পর্কেও শিশুর সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন।

‘স্ক্রিন টাইম’ সম্পর্কে জানানো: বাইরে যেতে না পারায় শিশুরা ঘরে বসে স্মার্ট ফোন, ট্যাব ও কম্পিউটারের প্রতি বেশি আগ্রহী হচ্ছে। সারাদিন অনলাইনে ক্লাস করার পরেও গেইম খেলতে স্ক্রিনে বেশি সময় কাটানো শিশুদের জন্য ক্ষতিকারক। তাই স্ক্রিন টাইম কমানোর গুরুত্ব ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কে শিশুদের জানাতে হবে। এছাড়াও স্ক্রিন টাইম কমিয়ে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার দিকে উৎসাহ দিন।  

অভিভাবকদের মনে রাখা উচিত যে, এই সময়ে সন্তানদের সঙ্গে খুব বেশি ছায়ার মতো না থেকে তাদের নিজেদের মতো করে ছেড়ে দেওয়া উচিত। এতে তারা নিজেদের মতো করে শিখতে পারবে। এছাড়াও, সন্তানদের এগিয়ে যেতে ও অনলাইন ক্লাসের পড়া তৈরির জন্য পর্যাপ্ত সময় দিন।

সারা বিশ্বে মহামারী চলায় আমরা সবাই খুব মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে সময় পার করছি। এই সমস্যা কবে ঠিক হবে তা কেউই নিশ্চিত নই বলে আমাদের উচিত ‘নিউ নরমাল’য়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা। আর যতটা সম্ভব সন্তানদেরও এতে সহায়তা করা।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন