আর বর্তমান সময়ে, করোনাভাইরাসের প্রকোপে পুরো বিশ্ব যখন সেচ্ছায় গৃহবন্দি, সেসময় বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটলে নিজেকে সামলে রাখা আরও কয়েকগুণ বেশি কঠিন।
তবে যত কষ্টই হোক, কিছু কাজ ভুলেও করা যাবে না।
সম্পর্ক-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে তুলে ধরা হয় সেই কাজগুলো।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কষ্ট প্রকাশ না করা: মানুষ কখনও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মজার পোস্ট শেয়ার করে আর কখনও দুঃখের পোস্ট শেয়ার করে। আর কেন করে তা অন্যরা কিছুটা হলেও আঁচ করতে পারে।
তাই ‘ব্রেকাপ’য়ের কষ্ট বুকে নিয়ে নিয়মিত হৃদয়ভাঙা, প্রতারণা ইত্যাদি নিয়ে পোস্ট করে আপনি যদি মনে করেন তা প্রাক্তনের চোখে পড়বে, তার অনুশোচনা হবে, ফিরে আসবে আপনার কাছে, তবে তা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। বরং উল্টোটা ঘটার সম্ভাবনাই বেশি, সে আপনাকে এড়িয়ে চলবে, ‘আনফ্রেন্ড’ হবেন, ‘ব্লক’ও হতে পারেন।
তাই সম্পর্ক তো গেছেই, আত্মমর্যাদাটুকু আগলে রাখুন। আর কষ্ট ভাগাভাগি করার জন্য ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের আশ্রয় নিন।
আরেকটি সুযোগের ভিক্ষা: প্রাক্তনের কথা প্রতিমুহূর্তে মনে পড়ে সেটা নতুন করে বলার কিছু নেই। তবে তাকে ফিরে পাওয়ার ভিক্ষা চেয়ে আবারও নিজেকে ছোট করলেন। এমনকি তাকে যদি পেয়েও যান তারপরও আপনার মূল্যায়ন আর নেই। আর এই অনুভূতি সম্পর্কে কখনই ভালো নয়। তাই প্রাক্তনকে কখনই আপনার জীবনে ফিরে আসার অনুরোধ করবেন না। এমনটা করতে মন চাইলে কেন বিচ্ছেদ হয়েছে সেটাই নতুন করে ভাবুন।
আবেগের বশে বার্তা পাঠানো: বিচ্ছেদের কষ্ট ভুলতে মাতাল হওয়া খুবই স্বাভাবিক। সেই মাতাল অবস্থায় প্রাক্তনকে নিজের সব কষ্টগুলো বুঝিয়ে লম্বা মেসেজ পাঠানোর ঘটনাও খুব স্বাভাবিক। তাকে ফিরে পাওয়ার ভিক্ষাটা এভাবেই চাওয়া হয়ে যায় অনেক সময় মনের অজান্তেই।
তবে মাতাল থেকে স্বাভাবিক হয়ে সেই মেসেজ পড়লেই বুঝতে পারবেন নিজেকে কতটা নিচে নামিয়ে ফেলেছেন। আর সেই অনুশোচনাও আপনাকে মানসিকভাবে আরও দুর্বল করে দেবে প্রতিনিয়ত।
স্মৃতি মুছে ফেলা: বিচ্ছেদের পর প্রাক্তনের সঙ্গে তোলা ছবি, মেসেজ অর্থাৎ মোবাইলে যা কিছু আছে মুছে ফেলতে হবে। এটা যেদিন করতে পারবেন সেদিনই আপনি পুরানো সম্পর্ককে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাওয়া প্রথম পদক্ষেপ নিতে পারবেন।
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন