অপরদিকে বাঁহাতি মানুষের জন্য ঠিক বিপরীতটা প্রযোজ্য।
যেমন- ডানহাতি কেউ ডাম্বেল হাতে নিয়ে ব্যায়াম করতে গেলে বাম হাত ডান হাতের তুলনায় দ্রুত নিস্তেজ হয়ে আসে। শুধু হাত নয় পুরো শরীরেই একপাশে কর্মক্ষমতা কম মনে হয়।
বিশেষজ্ঞরাও বলেন এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। বরং এই তফাতটা না থাকাই অস্বাভাবিক। আর এটা আপনার কিংবা শরীরচর্চার অনুশীলনের ভুল থেকে হয়না।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে জানানো হলো এবিষয়ে বিস্তারিত।
শরীরচর্চার রুটিনে শরীরের দুইপাশের জন্য সমান পরিমাণ কসরত থাকে। তবে সেচ্ছায় বা নিজের অজান্তেই আমরা নিজেদের ‘ডমিনেন্ট সাইড’কেই বেশি প্রাধান্য দেই।
শুধু শরীরচর্চা নয়, দরজা খোলা, বাজারের ব্যাগ বা যে কোনো ভারি কিছু ওঠানো ইত্যাদি দৈনন্দিন কাজে ভারি কাজটা আমরা ‘ডমিনেন্ট সাইড’ দিয়েই করে থাকি।
এভাবে শরীরের একপাশ যত বেশি আমরা ব্যবহার করি, আমাদের মস্তিষ্ক ওই পাশের পেশিগুলোকে ব্যবহার করতে তত অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। একারণেই শরীরের একপাশের পেশি অপেক্ষাকৃত বেশি শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
এছাড়াও আরেকটি কারণ হল কোনো এক হাত কিংবা পায়ে আঘাত পাওয়া। যে হাত বা পায়ে ব্যথা আছে তার ব্যবহার কমিয়ে দেওয়ায় ক্রমেই তা অপর হাত কিংবা পায়ের চাইতে দুর্বল হতে থাকে।
অনেক মানুষ তাদের পুরো জীবনে ব্যাপারটা খেয়ালই করেন না। তবে শরীরচর্চা ও খেলাধুলায় যারা জড়িত তারা বেশ ভালোভাবেই টের পান।
দুর্বল পাশকে যেভাবে সচল করা যায়
সবচাইতে সহজ ও কার্যকর উপায় হল এমন শরীরচর্চা বেছে নেওয়া যা শরীরের দুইপাশেই সমান চাপ ফেলে, তবে পৃথকভাবে।
এজন্য ‘ডাম্বেল প্রেস’, ‘শোল্ডার প্রেস’, ‘চেস্ট প্রেস’, ‘লাঞ্জেস’, ‘বাইসেপ কার্ল’, ‘ডাম্বেল রো, ‘ট্রাইসেপ এক্সটেনশন’ এবং ‘ডাম্বেল স্কোয়াট’ কার্যকর।
সঠিকভাবে ব্যায়ামগুলো হচ্ছে কি-না তা প্রশিক্ষককে দেখিয়ে নিতে হবে অবশ্যই।
মনে রাখতে হবে
ডানহাতি কেউ যদি বাম হাত দিয়ে বেশি ব্যায়াম করেন তবে কখনই দুই হাতের জোর সমান হয়ে যাবে না। বরং হিতে বিপরীত হতে পারে। দৈনন্দিন কাজে আপনার যেপাশ ‘ডমিনেন্ট’ নয়, সেই পাশ বেশি ব্যবহারের চেষ্টা করতে হবে। সময়ে সঙ্গে অনেকটা সমতা আসবে।
আরও পড়ুন