ওজন কমাতে এলাচের পানীয়

দেহের বাড়তি ওজন ঝরাতে সাহায্য করতে পারে এলাচের পানীয়।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 March 2020, 10:57 AM
Updated : 10 March 2020, 10:57 AM

অতিরিক্ত খেয়ে বা শুয়ে-বসে থেকে শুধু এই মসলার পানীয় পান করলে হবে না। তবে যারা ওজন কমাতে ব্যায়ামসহ খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণে রাখছেন তাদের জন্য এলাচের পানীয় হতে পারে চর্বি ঝরানোর সহায়ক পানীয়।

পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানানো হল বিস্তারিত।

হজম শক্তি বাড়াতে, ফোলা-ভাব কমাতে এবং বিপাক প্রক্রিয়ায় সমুন্নত রাখতে সাহায্য করে এলাচ। যে কারণে ওজন কমাতেও এই মসলা ভূমিকা রাখে।

এলাচ পানি: এলাচ ডায়েট করার সহজ উপায় হল এলাচের পানীয় পান। এক গ্লাস পানিতে এলাচের বীজ ভিজিয়ে পান করুন। ভালো ফলাফলের জন্য সারা রাত তা ভিজিয়ে রাখুন। খালি পেটে সকালে এলাচ পানি পান করুন এবং এরপর ৬০ মিনিট যে কোনো খাবার থেকে বিরত থাকুন। নিয়মিত এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

এলাচ দুধ: স্বাভাবিকভাবে দুধ পান করা পছন্দ না হলে দুধ গরম করার সময় এতে দুএকটা এলাচ বীজ দিয়ে গরম করতে পারেন। চাইলে এতে জাফ্রান, কাঠবাদাম-বাটা ও মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। এটা খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। 

এলাচের চা: আদা, তুলসী, দারুচিনি ও লবঙ্গ দিয়ে তৈরি চা শরীরের উপকার করে। এর সঙ্গে এলাচ যোগ করা হলে আরও ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। দুতিনটা এলাচ পানিতে ফুটিয়ে তাতে দুধ ও চা-পাতা যোগ করুন। ফুটে উঠলে এতে মধু যোগ করুন। চাইলে স্বাদ অনুযায়ী আদা বা তুলসী যোগ করতে পারেন।

এলাচের স্বাস্থ্যোপকারিতা

রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে: রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ম্যাগনেসিয়াম সহায়তা করে। এলাচ উচ্চ ম্যাঙ্গানিজ সমৃদ্ধ। যা নিয়মিত খাওয়া হলে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে এলাচ ও ধনিয়ার তৈরি পানীয় সহায়তা করে। এক কাপ ফলের রসে এক চিমটি এলাচের গুঁড়া ও এক টেবিল-চামচ ধনিয়া মিশিয়ে পান করতে পারেন।

হজমে সহায়তা করে: পাকস্থলির নানা রকম সমস্যা যেমন- হজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি দূর করতে এলাচের উপকারী। এটা এনজাইমের নিঃসরণ সক্রিয় করতে সহায়তা করে যা হজমে সহায়ক। ভারী ভোজনের পরে এলাচ চিবানো হলে তা হজমে সহায়তা করে পাকস্থলীর সমস্যা দূরে রাখে।

ওজন দ্রুত কমাতে চাইলে শরীরচর্চার শুরু করতে হবে। দৈনিক ৩০ মিনিট শরীরচর্চার পাশাপাশি সঠিক খাদ্যাভ্যাস লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে। এর সঙ্গে উপরে বর্ণিত পানীয় পান ওজন কমাতে উপকারী।

আরও পড়ুন