ওজন কমাতে পাঁচটি খাবার

ওজন কামনো অনেকটাই নির্ভর করে বিপাক প্রক্রিয়ার গতির ওপর।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Feb 2020, 07:31 AM
Updated : 11 Feb 2020, 07:31 AM

সাধারণভাবে বলতে গেলে, দেহ খাবার থেকে যে প্রক্রিয়ায় শক্তিতে রূপান্তরিত করে তা হল ‘মেটাবলিজম’ বা বিপাক প্রক্রিয়া। এই বিপাক প্রক্রিয়ার গতি বেশি হলে ওজন দ্রুত কমে। পুষ্টিবিজ্ঞানের এই সূত্র মতে ওজন কমাতে চাইলে কিছু খাবার রয়েছে যা বিপাক প্রক্রিয়া দ্রুত করতে সাহায্য করে।

পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে বিপাক বৃদ্ধিতে সহায়ক কয়েকটি খাবারের নাম এখানে দেওয়া হল।

ক্যাপসেইসিন: মরিচ বা এই ধরনের খাবারে থাকা ক্যাপসেইসিন উপাদানের জন্য ঝাল স্বাদ অনুভূত হয়। খাদ্য তালিকায় ক্যাপসেইসিন যোগ করলে বিপাক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ফলে ক্যালরিও খরচ হয়। প্রতিদিন বাড়তি ৫০ ক্যালরি পোড়াতে চাইলে খাবারে মরিচ, ক্যাপসিকাম-জাতীয় খাবার যোগ করা যেতে পারে। 

কফি: গবেষণায় দেখা গেছে ক্যাফেইন বিপাক বাড়ায়। প্রতিদিন ২৭০ মি.গ্রা. কফি পান করলে বাড়তি ১০০ ক্যালরি খরচ করতে সাহায্য করে। এছাড়া এটা শরীরচর্চায় আশানুরূপ ফলাফল পেতে সহায়তা করে। তবে সেটা হতে হবে দুধ চিনি ছাড়া কালো কফি।

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: কেবল পেশি গঠনেই নয় এটা ক্যালরি খরচ করতেও সাহায্য করে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন- মাছ, ডিম, ডাল, সবজি, দুগ্ধ ও বীজ-জাতীয় খাবার এবং বাদাম কয়েক ঘন্টা বিপাক বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়া প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার সম্ভাবনাও কমায়।   

নারিকেল তেল: ওজন কমাতে নারিকেল তেল খুব ভালো কাজ করে। কারণ এতে আছে ‘মিডিয়াম-চেইন ট্রাইগ্লিসারাইডস (এমসিটিএস)’। কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, ‘লংগার-চেইন ফ্যাটস’য়ের চেয়ে মাঝারি জালের ট্রাইগ্লিসারাইড বিপাক বাড়াতে সাহায্য করে। কয়েকটি গবেষণার ফলাফল থেকে গবেষকরা দাবী করেন যে, দৈনিক ৩০ মি.লি. নারিকেল তেল স্থূলকায় ব্যক্তির কোমড়ের স্ফিত অংশ কমাতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন