পুষ্টি-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে ওজন কমাতে সহায়তা করে এমন কয়েকটি চর্বির নাম সম্পর্কে জানানো হল।
এটা পুষ্টিকর খাবার। পনির ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি১২, ফসফরাস এবং সেলেনিয়াম-সহ নানান পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। পনিরে আছে শক্তিশালী ফ্যাটি অ্যাসিড যা টাইপ-টু ডায়াবেটিকের ঝুঁকি কমায়।
উচ্চ চর্বি, আঁশ, লৌহ, ম্যাগনেসিয়াম, কপার এবং ম্যাঙ্গানিজ সমৃদ্ধ। এটা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর যা, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং এলডিএল কোলেস্টেরল রক্তে অক্সিডাইজ হওয়া থেকে বিরত রাখে। কমপক্ষে ৭০ শতাংশ কোকোয়া সমৃদ্ধ ডার্ক চকলেট খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী।
কুসুম উচ্চ কোলেস্টেরল ও চর্বি যুক্ত। একটা সম্পূর্ণ ডিমে রয়েছে ২১২ মি.গ্রা. কোলেস্টেরল কিন্তু গবেষণা অনুযায়ী ডিমের কোলেস্টেরল রক্তের কোলেস্টেরলে কোনো রকম প্রভাব রাখেনা। এটা ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাবার। ওজন কমাতে ডিম সহায়তা করে। এর প্রোটিন ওজন কমানোর জন্য উপকারী।
পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ। ওজন কমাতে চাইলে ও উপকার পেতে লবণ ছাড়া বাদাম খান। গবেষণা থেকে জানা যায়, যারা প্রতিদিন বাদাম খায় তাদের ওজন কম বৃদ্ধি পায় এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে। স্বাস্থ্যকর বাদামের মধ্যে আছে- কাঠবাদাম, আখরোট, ম্যাকাডেমিয়া বাদাম ইত্যাদি।
চিয়া বীজ: অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ এবং ওমেগা-থ্রি এর ভেষজ উৎস। ওমেগা থ্রি বাত জ্বর থেকে এবং রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে সাহায্য করে। এটা রক্তচাপ কমায়। প্রতি ২৮ গ্রাম চিয়া বীজে ৯ গ্রাম চর্বি থাকে।
এক্সট্রাভার্জিন অলিভ অয়েল
এটা স্বাস্থকর চর্বি-জাতীয় খাবার। খাঁটি জলপাইয়ের তেলে রয়েছে ভিটামিন ই, কে এবং শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটা হৃদরোগের ও কোলেস্টেরলে ঝুঁকি কমায়।
মাছ স্বাস্থ্যকর খাবার। চর্বিযুক্ত মাছ যেমন- স্যামন, ট্রাউট, ম্যাকারেল, সার্ডিন হেরিং ইত্যাদি মাছ খেতে পারেন। এগুলো স্বাস্থ্যকর ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, উন্নত মানের প্রোটিন এবং অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ। যারা মাছ খায় তারা সুস্থ থাকে এবং অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
পূর্ণ ননীযুক্ত দই প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া সমৃদ্ধ, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে দুধ-জাতীয় খাবারের মতো পুষ্টি উপাদান থাকে। নিয়মিত দই খাওয়া হলে তা ওজন ও স্থুলতা কমায়। ওজন কমাতে চিনি ছাড়া পূর্ণ ননীযুক্ত দই খাওয়া উপকারী।