ধূমপান বর্জনে অকার্যকর ই-সিগারেট

‘ভেইপিং’য়েও মিলবে না নিকোটিনের আসক্তি।

লাইফস্টাইল ডেস্কআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Jan 2020, 07:07 AM
Updated : 26 Jan 2020, 07:07 AM

বিগত ৩০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ধূমপান বর্জন নিয়ে প্রতিবেদন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এতে বলা হয়, ‘ই-সিগারেট’ ধূমপান বর্জনে সহায়ক এই ধারণার পক্ষে উপযুক্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

এছাড়াও একটি নির্দিষ্ট ‘ই-সিগারেট’ নিয়ে করা ‘ক্লিনিকাল ট্রায়াল’য়ের ভিত্তিতে ধূমপান বর্জনে ‘ই-সিগারেট’য়ের কার্যকারিতা নিয়ে ধারণা পাওয়া দুষ্কর বলেও মন্তব্য করা হয় এই প্রতিবেদনে।

বহুদিন ধরেই ধূমপায়ীদের ‘নিকোটিন’ আসক্তি মেটানোর অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিকারক উপায় হিসেবে পরিচিত ‘ই-সিগারেট’ বা ‘ভেইপিং’। তবে তরুণদের মাঝে এর ব্যাপক ব্যবহার ‘ভেইপিং’য়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করে, জিনহুয়া নিউজ এজেন্সি’য়ের প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেন্টারস ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’য়ের দেওয়া তথ্যানুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা কাঠামো অনুযায়ী ‘মিডল স্কুল’ ও ‘হাই স্কুল’ পড়ুয়া শিক্ষার্থী, যাদের বয়স গড়ে ১১ থেকে ১৬ বছর বয়সের মধ্যে তাদের মধ্যকার মোট ৩৬ লাখ শিক্ষার্থী ‘ভেইপিং’ করার কথা স্বীকার করেছে ২০১৮ সালের জরিপে। এরই প্রেক্ষিতে ২০২১ সালের পর্যন্ত বাজারে বিক্রিরত সকল ‘ফ্লেইভার্ড ই-সিগারেট’ পণ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনার প্রস্তাব রাখে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)’।

চলতি মাসে তামাক আর ‘মেন্থল ফ্লেইভার্ড’ ছাড়া সকল ‘কার্টিজ-বেইসড ফ্লেইভার্ড ই-সিগারেট’ পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, “এফডিএ’য়ের অনুমোদনপ্রাপ্ত ধূমপান বর্জনে সহায়ক ওষুধ এবং ‘বিহেভিওরাল কাউন্সিলিং’ ধূমপান বর্জনে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়। বিশেষত, যখন দুটোই একত্রে গ্রহণ করা হয়। প্রতি পাঁচজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকের মধ্যে তিনজন ধূমপান বর্জনে সফল হয়েছেন। তবে এদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশেরও কম মানুষ ‘এফডিএ’ অনুমোদিত ওষুধ ও ‘বিহেভিওরাল কাউন্সিলিং’ নিয়েছেন।

“বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ীর সংখ্য সবচাইতে কম, যা মোট জনসংখ্যার ১৪ শতাংশ। তারপরও নিরাময়যোগ্য রোগ, শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধকতা ও অকাল মৃত্যু প্রধান কারণগুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে ধূমপানের অবস্থান। বর্তমানে প্রায় ৩৪ লাখ যুক্তরাষ্ট্র নাগরিক ধূমপান করেন।”

ধূমপান কমানো সম্ভব হলে অসংখ্য স্বাস্থ্যগত সমস্যা মোকাবেলা করা সম্ভব। এদের মধ্যে আছে নবজাতক শিশুদের স্বাস্থ্যগত সমস্যা, হৃদরোগ, ‘ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ’ এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার।

যুক্তরাষ্ট্রের সার্জন জেনারেল জেরোম এম. অ্যাডামস বলেন, “স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত পেশাজীবী, চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রক, বীমা নিয়ন্ত্রক, নীতি নির্ধারক সকলের প্রতি আমার আহ্বান হল ধূমপান বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার। যাতে ধুপমানের কারণে নিরাময়যোগ্য যেসব রোগে মানুষ ভুগছে এবং আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত হচ্ছে তার ইতি টানা সম্ভব হয়।”

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন