ওজন কমাতে ম্যাগনেসিয়ামের ভূমিকা

অন্যান্য খনিজ উপাদানের মতো ‘ম্যাগনেসিয়াম’ শরীরের তিনশটি ‘এনজাইম’য়ের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Dec 2019, 11:20 AM
Updated : 30 Dec 2019, 11:20 AM

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং হৃদযন্ত্র, পেশি ও বৃক্ক সুস্থ রাখতে এই ‘ম্যাগনেসিয়াম’ জরুরি। ওজন কমানোতেও ভূমিকা রাখে এই খনিজ।

একথা সবারই জানা, শরীরের জৈবিক কার্যাবলী সম্পাদন করার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান হল ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। উদ্ভিজ্জ ও প্রাণিজ উৎস থেকে আসা প্রতিটি খাবারই আমাদের সুস্থ রাখায় নির্দিষ্ট একটি ভূমিকা আছে। যেমন- ‘ক্যালসিয়াম’ হাড়ের জন্য উপকারী। লৌহ কাজ করে লোহিত রক্তকণিকাসহ অন্যান্য রক্তকণিকা উৎপাদনে ইত্যাদি।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে ওজন কমানোতে পর্যাপ্ত ‘ম্যাগনেসিয়া’য়ের ভূমিকা সম্পর্কে জানানো হল।

মানসিক চাপ ও ঘুম: ঘুমের ঘাটতি এবং মানসিক চাপগ্রস্ত থাকলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জণ করা কঠিন হয়ে যায়। তাই দুটোরই নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে নিজের হাতে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ ‘ম্যাগনেসিয়াম’ গ্রহণ করলে মানসিক চাপ ও অস্বস্তি কমে। এতে মন-মেজাজ শান্ত থাকবে, রাতে ভালো ঘুম হবে। প্রাকৃতিক ‘মুড বুস্টার’ হিসেবে সুখ্যাতি আছে ‘ম্যাগনেসিয়াম’য়ের।

কর্মক্ষমতা বাড়ায়: চর্বি ঝরাতে হলে ব্যায়ামের মাধ্যমে ঘাম ঝরানোর কোনো বিকল্প নেই। পেশির সংকোচন-প্রসারণে ‘ম্যাগনেসিয়াম’য়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। পাশাপাশি কর্মক্ষমতাও বাড়ায় এই খনিজ। ফলে দীর্ঘসময় ব্যায়াম করতে পারবেন, ক্যালরি ঝরাতে পারবেন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী।

প্রদাহ তাড়াতে ম্যাগনেসিয়াম: ব্যায়াম করলে পেশিতে ব্যথা হবে। আর ওজন কমানোর ব্যায়াম যথেষ্ট কষ্টসাধ্য, যার ধকল সইতে হবে পেশিকেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, পেশির এই ব্যথা কিংবা যেকোনো প্রদাহ সারাতে ‘ম্যাগনেসিয়াম’ অত্যন্ত কার্যকর। শরীরের পর্যাপ্ত পরিমাণ ‘ম্যাগনেসিয়াম’ থাকলে পেশির ক্ষয়পূরণ হয় দ্রুত। আর পেশি সুস্থ থাকলে ব্যায়াম করতেও বাধা আসবে না।

ম্যাগনেসিয়ামের উৎস: ‘ম্যাগনেসিয়াম’য়ের অভাবে ভুগছেন এমন মানুষের সংখ্যা খুব বেশি নয়। কারণ সাধারণ খাবার থেকেই এর দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করা যায় অনায়াসে। তবে যদি অভাব দেখা দেয় কিংবা শরীরে এই খনিজের মাত্রা বাড়াতে চাইতে খাদ্যাভ্যাসে যোগ করতে হবে গাঢ় সবুজ পত্রল শাকসবজি, কাওন, শষ্যজাতীয় খাবার, টক দই, বাদাম, সীম, বীজজাতীয় খাবার, মাছ, কলা, ‘ডার্ক চকলেট’ ইত্যাদি।

আরও পড়ুন