পুষ্টিবিজ্ঞানের তথ্যানুসারে, ক্যালসিয়াম বা ম্যাগনেসিয়ামের মতো পটাশিয়াম হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ ইলেক্ট্রোলাইট যা দেহের কর্মকাণ্ড সঠিকভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে। আর এই পুষ্টি উপাদান সহজে সব খাবার থেকে মেলে না। টকজাতীয় ফল, কমলা, টমেটো এই ধরনের খাবার পটাশিয়ামের ভালো উৎস।
পটাশিয়াম রক্তচাপ ঠিক রাখে, হজমে সহায়তা করে এবং পেশির কার্যকারিতা ঠিক রাখে। তাই শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা ঠিক আছে কিনা তা বোঝার জন্য কিছু পন্থা জানা থাকা দরকার।
পুষ্টি-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে সেইসব পন্থাই এখানে জানানো হল।
অপুষ্টিকর খাবার: বিস্কুট, চিপসসহ এই ধরনের খাবার সহজেই খাওয়া যায়। তবে এসব তো স্বাস্থ্যকর নয়। প্রতিদিন যদি এই ধরনের খাবার বেশি খাওয়া হয় আর ফলমূল এবং সবজি খাওয়ার পরিমাণ খুবই কম হয় তাহলে সহজেই ধরে নেওয়া যায় শরীরে পটাশিয়ামের স্বল্পতা রয়েছে।
সানফ্রান্সিসকোর ‘হোল বডি রিবুট’য়ের প্রতিষ্ঠাতা মানুয়েল ভিলাকোর্টা বলেন, “যদি কেউ ভালো পরিমাণে ফল ও সবজি না খেয়ে বেশি পরিমাণে প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ করে তাহলে তার শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা কম থাকার ঝুঁকি থাকতে পারে।”
পেশির দুর্বলতা: পটাশিয়ামের স্বল্পতা থাকলে পেশিতেই টের পাওয়া যাবে।
ভিলাকোর্টা বলেন, “পেশি গঠনের জন্য পটাশিয়াম প্রয়োজন। কারণ এটি একটি ইলেক্ট্রলাইট। পটাশিয়াম কম হওয়ার প্রথম লক্ষণ হতে পারে পেশির সংকোচন।”
পেশিতে টান: পেশি গঠনে ভূমিকা রাখে পটাশিয়াম। তাই শরীরে এই উপাদান কম থাকলে প্রায়ই পেশিতে টান পড়বে, সেটাই স্বাভাবিক।
মূত্রবর্ধক ওষুধ: যুক্তরাষ্ট্রের সান্তামনিকাতে অবস্থিত ‘নিউট্রিশনবাইট’য়ের প্রতিষ্ঠাতা ও পুষ্টিবিদ অ্যালিস লিভাইন বলেন, “যারা মূত্রবর্ধক ওষুধ সেবন করেন তাদের শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা কম থাকার সম্ভাবনা বেশি। কারণ এই ধরনের ওষুধ শরীর থেকে পটাশিয়াম বের করে দেয়।”
আর এই স্বল্পতা খাবার খেয়ে পূরণ করা যায় না। তাই যারা এই ধরনের ওষুধ গ্রহণ করেন তাদের উচিত সবসময় পটাশিয়ামের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করা এবং দরকার হলে চিকিৎসকের পরামর্শে
হৃদপিণ্ডের গতি অস্বাভাবিক: পটাশিয়াম অতি মাত্রায় কম থাকলে হৃদস্পন্দন কম হতে পারে; এমনকি ছন্দের তারতম্যও হয়।
মিয়ামিতে অবস্থিত ‘এসেন্সে নিউট্রিশন’য়ের প্রতিষ্ঠাতা মনিকা অসল্যান্ডার বলেন, “পটাশিয়াম, ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা হতে পারে প্রাণনাশক।
পানিশূন্যতা: ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা যেমন- পটাশিয়ামের স্বল্পতার কারণ হতে পারে পানিশূন্যতা, অরুচি বা অতিরিক্ত খেলাধুলা। তবে এর জন্য সমাধানও রয়েছে।
অসল্যান্ডার বলেন, “ডাবের পানি হচ্ছে দারুণ পানীয় যা অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে হওয়া পানিশূন্যতা সহজেই দূর করতে পারে।”।
মডেল: আলিফ, ছবি: ই স্টুডিও।
আরও পড়ুন