রূপচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে ত্বকের যত্নে ডিমের নানারকম ব্যবহার সম্পর্কে জানা যায়।
সুস্থ ত্বকের জন্য: একটি ডিম ভেঙে কুসুম ও সাদা অংশ আলাদা করে নিন। ডিমের সাদা অংশ তুলার বলের সাহায্যে মুখে লাগান। ১০-১৫ মিনিট পরে শুকিয়ে গেলে সাধারণ পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন।
বয়সের ছাপ দূর করতে: একটা ডিমের সাদা অংশ, এক টেবিল-চামচ গাজর-কুচি এবং এক টেবিল-চামচ অ্যালো ভেরা ছোট একটা বাটিতে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তুলার বলের সাহায্যে এই মাস্ক মুখ ও চোখের চারপাশে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর সাধারণ পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
চুলের বৃদ্ধি: দুই টেবিল-চামচ খাঁটি জলপাইয়ের তেলের সঙ্গে দুটা ডিমের কুসুম ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। মাথার ত্বকে মিশ্রণটি লাগান। ২০ মিনিট পরে মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার এই মাস্ক ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
চোখের ফোলাভাব দূর করতে: একটা ডিমের সাদা অংশ এবং দুই টেবিল-চামচ কফির গুঁড়া ছোট একটা বাটিতে ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। মাস্কটি মুখ ও চোখের চারপাশে ২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ত্বক টানটান করতে: এক টেবিল-চামচ ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে এক টেবিল-চামচ তাজা লেবুর রস মেশান। মিশ্রণটি সারা মুখে মেখে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। নরম তোয়ালে দিয়ে হালকা ভাবে মুখ মুছে নিন। সপ্তাহে দুবার এই মাস্ক ব্যবহার করুন।
ত্বক এক্সফলিয়েট করতে: ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে এক টেবিল-চামচ মধু মেশান। ঘন মিশ্রণ তৈরি হয়ে গেলে তা মুখ ও ত্বকে লাগিয়ে আলতোভাবে মালিশ করুন। ১০ মিনিট পরে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে: একটা ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে মুলতানি মাটি মেশান। মসৃণ মিশ্রণ তৈরি হয়ে গেলে তা ত্বকে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নরম তোয়ালে দিয়ে হালকা ভাবে মুছে ফেলুন।
আরও পড়ুন-