এই বিষয়ে করা এক জরিপের আলোকে জীবনযাত্রা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে জানানো হলো বিস্তারিত।
যেভাবে জরিপ করা হল
যুক্তরাষ্ট্রের রাটগার্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জেসিকা মেথট’য়ের নেতৃত্বে পরিচালিত হয় এই জরিপ। সহকর্মীদের মধ্যকার সম্পর্কে তাদের কাজের মানকে কীভাবে প্রভাবিত করে সেটাই বুঝতে চাচ্ছিলেন গবেষকরা। আর এজন্য ১৬৮ জন কর্মীর সাহায্য নেন তারা এবং তাদের বসার জায়গা পরিবর্তন করে দেন যাতে তারা বিভিন্ন বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে আলাপ করতে পারেন।
পরে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, কাজ বিষয়ক যে কোনো প্রশ্ন নিয়ে যাবেন এমন ১০জন এবং বন্ধু মনে করেন এমন ১০জন সহকর্মীর নাম। কাজের চাপ এবং অফিসের পরিবেশ সম্পর্কেও তাদের প্রশ্ন করা হয়।
জরিপের চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ সপ্তাহে অংশগ্রহণকারী কর্মীদের ব্যবস্থাপকের কাছে তাদের কাজের মান সম্পর্কে অভিমত জানতে চান গবেষকরা।
তারা বলেন, সহকর্মীদের মধ্যকার বন্ধুত্ব আসলেই তাদের কাজের মান উন্নত করেছে। কর্মক্ষেত্রে নব্য প্রতিষ্ঠিত বন্ধু ও সহকর্মীদের এই দলকে পর্যববেক্ষণ করতে গবেষকদের সহায়তা করে- ব্যবস্থাপকের এই অভিমত।
সুবিধা
কর্মক্ষেত্রে বন্ধু থাকার রয়েছে অসংখ্য সুবিধা। তারমধ্যে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হল কাজ নিয়ে কোনো সমস্যায় পড়লে একজন কর্মী সবসময়ই তার আরেক সহকর্মী বন্ধুর সাহায্য চাইতে পারবে। কারণ বন্ধুত্ব তাদের এই আলাপচারীতার জড়তা দূর করেছে। পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে যাদের বন্ধু আছে তারা বেশিরভাগ সময়ই ভালো মেজাজে থাকেন। অফিসের বাইরেও তাদের মধ্যে যোগাযোগের কারণে অফিসের খুঁটিনাটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে তারা অবগত থাকেন।
অসুবিধা
জরিপে এই বন্ধুত্বের খারাপ দিকগুলোও উঠে আসে। বন্ধুসুলভ আড্ডা তাদের কাজের মনোযোগ নষ্ট করতে পারে, কাজ শেষ করতে বেশি সময় নষ্ট হতে পারে। আর সহকর্মীদের মধ্যকার এই সম্পর্ক মানসিক চাপেরও কারণ হতে পারে। বিশেষ করে পদোন্নতির সময়ে। তবে ভালো দিকই বেশি।
বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানে এই জরিপ চালিয়ে একই ধরনের ফলাফল পান গবেষকরা। কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্কে হয়ত টানাপোড়ন বাড়াতে পারে, তবে এই সম্পর্কের ইতিবাচক দিকই বেশি।
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন