বাসা থেকে অফিসের কাজ

‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ পদ্ধতি নিয়ে বিতর্ক থাকলেও এই পন্থায় কাজ করতে গিয়ে মনোযোগ ছুটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Feb 2019, 11:32 AM
Updated : 7 Feb 2019, 11:32 AM

ঘরে নিজের মতো পরিবেশে, পছন্দ মতো সময়ে কাজ করা যায়। একসঙ্গে একাধিক কাজ যেমন সেরে ফেলা যায় তেমনি কাজের পাশাপাশি পরিবারকেও সময় দেওয়া যায়। এছাড়াও সময়, যাতায়াত খরচ, কর্মশক্তি সবকিছুই সাশ্রয় হয়।

তবে যতটাই মজার বিষয় হোক না কেনো কাজে মনোযোগ ধরে রাখা বেশ কষ্টসাধ্য কাজ। কয়েক মিনিট পরেই কাজ থেকে উঠে অন্যদিকে সময় নষ্ট করা হয়, পরিবারের বিভিন্ন প্রয়োজনে এগিয়ে যেতে হয়। আর ঘরের আরামের পরিবেশে নিজের আলসেমিও কাজের পথে একটি বড় অন্তরায়।

ঘরে বসে কাজ করার সময় কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে সহায়ক কিছু বিষয় সম্পর্কে এখানে জানানো হল জীবনযাপন-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে।

ঘরে নির্দিষ্ট কাজের স্থান: ঘরে বসে কাজ করা অর্থ যদি যদি হয় বিছানায় বসে কিংবা বসার ঘরে টেলিভিশন দেখতে দেখতে কাজ করবেন তবে সেটা হবে মস্ত বড় ভুল। বরং আরামদায়ক একটি চেয়ার আর পর্যাপ্ত জায়গা আছে এমন একটি টেবিল কিনে ঘরেই অফিসের মতো কাজের জায়গা তৈরি করুন। কাজ করার জন্য কাজের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

পোশাক: ঘরের কাপড় পরে যদি কাজ করতে বসেন তবে ঘরোয়া আলসেমি না কাটার সম্ভাবনাই বেশি। তাই ঘরে বসে অফিসের কাজ করলেও গোসল করে, খাওয়াদাওয়া সেরে, পরিপাটি হয়ে কাজ করতে বসতে হবে।

বিরতি: বাসা থেকে কাজ করলে কাজ কম, বিরতি নেওয়াই হয় বেশি হয়। এই পরিস্থিতি এড়াতে কাজে বিরতির নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে নিতে হবে। পাশাপাশি ওই নির্দিষ্ট সময় ব্যাতিত কাজ ছেড়ে উঠবো না এই মানসিক দৃঢ়তাও বজায় রাখতে হবে। বাসা থেকে অফিসের কাজ করলেও অফিসের নিয়মে বাঁধা পরিবেশ মেনে চলতে হবে।

রুটিন: বাসা থেকে কাজ করলে সময়ানুবর্তীতা বজায় রাখা সম্ভব হয় না। ফলে, অসময়ে কাজ করা হয় এবং কাজ সারতে অনেকে সময় নষ্ট হয়। তাই কাজের বিরতি আর ব্যক্তিগত কাজের সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে অফিসের কাজের রুটিন বানিয়ে নিতে হবে। আর সেই রুটিন মেনে চলতে হবে কঠোরভাবে।

পরিবারের দায়িত্ব: আপনি বসেছেন কাজ করতে তবে পরিবারের সদস্যরা আপনাকে গৃহস্থালি কাজে সাহায্য করার জন্য ডাকাডাকি করছে কিংবা সন্তানরা মনোযোগের আকাঙ্ক্ষায় বসে বসে আছে। তাই কাজের সময়সীমার প্রতি পরিবারের সদস্যদের শ্রদ্ধাশীল হওয়াটাও জরুরি।

ঘরের বাইরেও যেতে হবে: সারাদিন ঘরে থেকে কাজ করার পর মন প্রফুল্ল করার জন্য বসে গেলেন টেলিভিশনের সামনে। কিংবা কম্পিউটারে সিনেমা বা গেইমস খেলতে শুরু করে দিলেন। এখানে মনে রাখতে হবে, মন মেজাজ প্রফুল্ল রাখার জন্য ঘরের বাইরে যাওয়াও জরুরি। তাই কাজ শেষে বাইরে থেকে হেঁটে আসতে পারেন কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে যেতে পারেন।

জীবন শুধু অফিসের কাজেই সীমাবদ্ধ নয়। পারিবারিক বিভিন্ন কাজেও আপনার মনোযোগ আবশ্যক। তাই প্রতিদিনের কাজের তালিকা তৈরি করতে হবে এবং সেই তালিকার প্রতিটি কাজ যাতে ওই দিনই সম্পন্ন হয় সেই পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হল সেই পরিকল্পনা মাফিক কাজ করা, আলসেমিকে সুযোগ না দেওয়া।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন