গর্ভপাতের পূর্বাভাস

শারীরিক অবস্থা একেক জনের একেক রকম। তারপরও কিছু লক্ষণ দেখে অযাচিত গর্ভপাত সম্পর্কে ধারণা করা যেতে পারে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 March 2019, 09:34 AM
Updated : 13 March 2019, 09:34 AM

আর এই ধরনের লক্ষণগুলো দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

গর্ভাবস্থায় সপ্তাহ অনুযায়ী গর্ভপাতের কয়েকটি পূর্বাভাস এখানে দেওয়া হল চিকিৎসা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে।

দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ সপ্তাহ: এই সময়ে ‘কেমিকেল প্রেগনেন্সি’ নামক একটি ঘটনা ঘটে থাকে যেখানে গর্ভধারনের প্রথম কয়েক সপ্তাহে মা নিজেই বুঝতে পারেন না যে তিনি গর্ভবতী। এই সময় গর্ভপাত হলে তা ঋতুস্রাবের মতোই হয়ে যা সময়ের আগে কিংবা পরে শুরু হয়েছে।

চতুর্থ থেকে ১২তম সপ্তাহ: গর্ভাবস্থার শুরুর দিকে গর্ভপাত হওয়ার প্রচলিত লক্ষণ হল রক্তপাত। তবে গর্ভাবস্থায় রক্তপাত হওয়া বেশ সাধারণ একটি বিষয়। গর্ভপাত হলে রক্তক্ষরণের মাত্রা হবে অনেক বেশি আর রক্তের রং বাদামি লাল নয়, তাজা লাল হবে। গর্ভকালীন ‘স্পটিং’ হওয়ার সময়ও রক্তক্ষরণ হয় যা স্বাভাবিক বিষয়। নিশ্চিত হওয়ার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ব্যথা ও রক্তপাত: ‘ক্র্যাম্প’ বা মাংসপেশির অনৈচ্ছিক সংকোচন ও ব্যথা গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিক ব্যাপার। এর সঙ্গে গর্ভপাতের সম্পর্ক আছে কিনা তা বোঝা যাবে ব্যথার তীব্রতা থেকে।

শুধু ‘ক্র্যাম্প’ অনুভুত হলে, তা হতে পারে গ্যাসজনীত ব্যথা কিংবা জরায়ুর প্রসারণজনীত ব্যথা। তবে ব্যথা যদি তীব্র এবং ছুঁচালো কিছু দিয়ে খোঁচানোর মতো হয় তবে ‘আল্ট্রাসাউন্ড’ পরীক্ষা করাতে হবে।

গর্ভাবস্থার উপসর্গগুলো না থাকা: বমিভাব, স্তনের সংবেদনশীলতা, অবসাদ ইত্যাদি গর্ভাবস্থার সাধারণ উপসর্গ। গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস এই উপসর্গগুলো তীব্রতা বেশি হয় এবং পুরো গর্ভধারণের সময় জুড়ে এদের মাত্রা ওঠা নামা করে।

বমিভাব ও স্তনের সংবেদনশীলতা কমে গেলে কিংবা একবারে না থাকলে বুঝতে হবে গর্ভাবস্থাজনীত হরমোনের মাত্রা কমে যাচ্ছে। কারণ, যে হরমোনগুলো এই অনুভুতির সৃষ্টি করে ‘প্লাসেন্টা’ সেই হরমোনগুলো তৈরি করা বন্ধ করে দিয়েছে। গর্ভপাত হওয়া পর অধিকাংশ নারীই তাদের অনুভূতিতে পরিবর্তন লক্ষ করেন।

১২ থেকে ২০ সপ্তাহ: এসময়েও গর্ভপাতের প্রধান উপসর্গ অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও ‘ক্র্যাম্প’।

গর্ভপাত হওয়ার কারণ

গর্ভপাতের নির্দিষ্ট কারণ চিহ্নিত করা সহজ কথা নয়। তবে প্রতি পাঁচ জন গর্ভবতী নারীর মধ্যে একজন গর্ভপাতের শিকার হন। আর অধিকাংশ গর্ভপাতের কারণ হল ভ্রণে থাকা ‘ক্রোমোজোম’য়ের অস্বাভাবিক সংখ্যা, গর্ভবতী নারীর করা কোনো ভুল নয়।

গর্ভপাতের আরও কিছু প্রচলিত কারণ হল- মারাত্বক সংক্রমণ, ভয়াবহ আঘাত, জরায়ুর অস্বাভাবিকতা ইত্যাদি।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন-