আলু এমন একটা খাবার যা সব সময়ই হাতের কাছে পাওয়া যায় এবং যে কোনোভাবেই রান্না করে খাওয়া যায়।
খাদ্য ও পুষ্টি-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে আলুর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানানো হল।
পৃথিবী জুড়ে অকারণেই মেদ বাড়ার কারণ হিসেবে আলুকে দায়ী করা হয়। অথচ ক্ষুধা কমাতে সিদ্ধ আলু বেশ কার্যকর।
আলু ও প্রোটিন
পুরানো আলুতে প্রোটিন পাওয়া যায়। আলু নামটা শোনার সঙ্গে সঙ্গেই মনে হতে পারে এটা স্বাস্থ্যের জন্য খুব একটা ভালো নয়। আসলে, এতে ভালো পরিমাণে প্রোটিন-সহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থাকে।
মজার বিষয় হল, একটা মাঝারি মাপের আলুতে দৈনিক চাহিদার ৯ শতাংশ প্রোটিন থাকে যা ২ হাজার ক্যালরি ডায়েট করছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য উপযুক্ত।
আলু খাবেন কি খাবেন না?
হ্যাঁ, আপনি আলু খেতেই পারেন। আলুর চিপ্স থেকে শুরু করে মূল খাবার হিসেবে আলু- সবই ক্যালরির জন্য দুর্নাম কামিয়েছে। তবে ভুলে গেলে চলবে না, আলুর আঁশ ও প্রোটিন আমাদের ক্ষুধা কমায়।
আলুর আঁশ রক্তে ধীরে শর্করা নিঃসরণ করে তাই ক্ষুধা দূর হয়।
স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করতে
যদি গতানুগতিক পদ্ধতিতে আলু খেতে না চান তাহলে এয়ার-ফ্রায়িং থেকে শুরু করে বেইক করা, রোস্ট এমনকি সিদ্ধ ইত্যাদি যে কোনো পদ্ধতিতে আলু রান্না করে খেতে পারেন।
আলু খাওয়া যদি বাদ দিতে না চান তাহলে স্বাস্থ্যকর উপায়ে রান্না করে খান।
একটা মাঝারি মাপের আলুর পুষ্টিগুণ
মাঝারি মাপের আলুতে ৫ গ্রাম প্রোটিন, ১৬৮ ক্যালরি, ৩ গ্রাম আঁশ, ১ গ্রাম শর্করা, ০.২ গ্রাম চর্বি, ৩৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ও ১১ মি.গ্রাম সোডিয়াম পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন