খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক ওয়েবসাইটের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, আলুতে প্রচুর কার্বোহাইড্রেইট থাকে যা সহজেই শরীরে পুড়ে কর্মশক্তিতে পরিণত হয়। তবে আলু নষ্ট বা পঁচে গেলে তাতে ‘সোলানিন’ নামক ‘নিউরোটক্সিন’ বা বিষাক্ত উপাদান তৈরি হয়। অতিমাত্রায় ‘সোলানিন’ পেটে গেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য কুফল বয়ে আনতে পারে।
পুরোপুরি পঁচে যাওয়া আগেই আলুতে ‘সোলানিন’ সৃষ্টি হতে পারে। এই ঝুঁকি এড়াতে কোন অবস্থায় আলু ফেলে দিতে হবে সেটা জেনে নিন।
আলু চুপসে গেলে: বেশিরভাগ সময় বেশি করে আলু কেনা হয় যাতে দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়। আর আলু সংরক্ষণের জন্য বাড়তি ঝক্কিও নেই। তবে অনেকদিনের পুরানো আলু ব্যবহারের আগে সতর্ক হতে হবে। আলু চুপসে গেলে, নরম হয়ে গেলে কিংবা উপরের খোসায় ভাঁজ পড়লে তা খাওয়া উচিত হবে না। আবার সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসলেও আলুতে ‘সোলানাইন’ তৈরি হতে পারে।
গাছ বের হলে: গাছ বেরিয়ে যাওয়া আলু খাওয়া উচিত কিনা তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব আছে অনেকের। এই গাছে উচ্চমাত্রায় ‘সোলানিন’ ও ‘চাকোনিন’ নামক দুই ধরনের বিষাক্ত উপাদান থাকে, যা স্নায়ুতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আলু রাসায়নিকভাবে প্রক্রিয়াজাত করা না হলে দ্রুতই গাছ বেরিয়ে আসে।
আলু শক্ত থাকা অবস্থায় গাছ বের হলে ওই অংশটি কেটে ফেলে বাকিটা খাওয়া যাবে। তবে নরম হয়ে যাওয়া আলুতে গাছ বের হলে তা পুরোটাই ফেলে দেওয়া উচিত।
সবুজ হয়ে গেলে: আলুর কোনো অংশ সবুজ হয়ে থাকার মানে হল ওই অংশের উপর সূর্যের আলো পড়েছে এবং সেখানে ‘সোলানিন’য়ের মাত্রা অনেক বেশি। তবে পুরো আলুটাই খাওয়ার অযোগ্য নয়। সবুজ অংশটুকু কেটে ফেলে বাকিটুকু খাওয়া নিরাপদ।
ছবি: রয়টার্স।