ভারতের ‘আসিমা এস কুটুয়ার’য়ের প্রতিষ্ঠাতা ও ডিজাইনার আসিমা শর্মা এবং ‘রংগ্রিতি’য়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিদ্ধার্থ বিন্দ্র বর্ষায় পরার উপযোগী কয়েকটি রং সম্পর্কে জানিয়েছেন।
বর্ষার উপযোগী রং: মেরুন বা উজ্জ্বল-গাঢ় খয়েরি রং মোটামুটি সবসময় পরার উপযোগী। তবে এই বছর বর্ষায় সব ধরনের পোশাকে খয়েরি রংয়ের ব্যবহার দেখা যেতে পারে। এখনকার তরুণরা ফ্যাশন নিয়ে নানান পরীক্ষা চালাতে পছন্দ করে। তাই প্রতিদিনকার বা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পরে যাওয়ার জন্য উজ্জ্বল খয়েরি রং বেছে নেওয়া যেতেই পারে।
বাদামি চকলেট: একটা সময় এই রং কেবল ‘কোটস’ বা জুতাতেই দেখা যেত। কিন্তু এখনকার তরুণরা এই রংয়ের প্রতি আগ্রহী হওয়ায় তা ‘ট্রেন্ডের’ একটা অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই মৌসুমের অনুষ্ঠানের পোশাক হিসেবে বেছে নিতে পারেন এই রংকে।
প্রুশিয়ান বা গাঢ় বা ডেনিম কালচে নীল: আগে কেবল খেলাধুলার পোশাকে এই রংয়ের ব্যবহার দেখা যেত। তবে এখন প্রায় সব ধরনের স্টাইলেই এই রং দেখা যায়। সাধারণ বা অনুষ্ঠানের পোশাকের রং হিসেবে একে বেছে নিতে পারেন। ম্যাক্সির মতো পোশাক, থ্রিডি-প্রিন্ট করা ‘স্ক্যাটার ড্রেস’ এবং রকমারি কাঁধের কাটিংয়ের পোশাকের সঙ্গে এটা খুব ভালো মানিয়ে যায়।
সবুজের যত রং: এই রং সতেজ ও ঠাণ্ডা। সব ধরনের গায়ের রংয়ের সঙ্গেই মানিয়ে যায়। দেহের রং উষ্ণ হলে মাস্টার্ড বা হলদে, খাকি ও গাঢ় সবুজ বেছে নিতে পারেন। আর গায়ের রং ঠাণ্ডা টোনের হলে উজ্জ্বল যেমন- টিয়া সবুজ বেশ মানাবে। সবুজের সঙ্গে উজ্জ্বল রং যেমন- হলুদ বা সাদার সমন্বয়ও ঘটাতে পারেন।
পিচ রং: ফর্সা বা চাপা দুই ধরনের গায়ের রয়ের সঙ্গেই পিচ রং মানায়। বর্ষায় এই রং বেছে নেওয়া অনেক ক্লাসিক। আর যে কোনো ধরনের পোশাকেই এই রং মানিয়ে যায়। সাজসজ্জায় আনুসঙ্গিক ব্যবহার করুন এবং বড় টুপি ব্যবহার করতে ভুলবেন না, দেখতে ভালো লাগবে।
আরও পড়ুন