কিছু ফল ও ফুলের বীজ শরীর সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখে।
Published : 30 May 2018, 02:27 PM
খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে কয়েক ধরনের বীজের গুণাগুণ সম্পর্কে জানা যায়।
কুমড়ার বীজ: পাঁচ থেকে ১০ মিনিট সময় নিয়ে এই বীজ গরম পানিতে ফুটান। তারপর পানি ঝরিয়ে সামান্য তেল ও লবণ দিয়ে বীজগুলো ভেজে নিন। এতে আছে এমইউএফএ ও ওমেগা সিক্স ফ্যাট। এটা ভিটামিন ই, বি কমপ্লেক্স এবং খনিজ যেমন- ম্যাঙ্গানিজ, কপার, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক একং সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ।
পেঁপের বীজ: ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসের ভালো উৎস। আছে শক্তিশালী ব্যাক্টেরিয়া এবং প্রদাহ রোধী উপাদান, যা হজমে সাহায্য করে।
এই বীজ আস্ত অথবা স্বাদ বাড়ানোর জন্য মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
তিসির বীজ: ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ। আছে আঁশ, ভিটামিন বি-১, খনিজ যেমন- কপার, ম্যাগনেসিয়াম এবং সেলেনিয়াম। এই বীজ ভেজে, গুঁড়া করে সুপ বা ডালে মিশিয়ে খাওয়ার পাশাপাশি নানানভাবে খাওয়া যায়।
তরমুজের বীজ: তরমুজের বীজ ফেলে না দিয়ে তা অঙ্কুরিত করে, শুকিয়ে নিন। এতে আছে ওমেগা সিক্স। এই বীজ ভিটামিন বি কমপ্লেক্স’য়ের ভালো উৎস। এছাড়া ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, জিংক, আয়রন, পটাশিয়াম ও কপারের মতো খনিজ উপাদানও আছে।
চিয়া বীজ: ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, খনিজ- আয়রন ও ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস।
খাওয়ার ভালো উপায় হল, আধা কাপ পানিতে সারা রাত চিয়া বীজ ভিজিয়ে রাখা এবং পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে তা খাওয়া।
সূর্যমুখীর বীজ: রয়েছে ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড। এছাড়া ভিটামিন ই, বি কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ। এতে খনিজ হিসেবে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক এবং অ্যামিনো অ্যাসিড ট্রিপটোফ্যান থাকে।
ছবি: রয়টার্স এবং উইকি কমন্স
আরও পড়ুন