আখের রসের কথা আলোচনায় আসলেই উঠে আসে চিনির আলোচনা। খাদ্যাভ্যাস থেকে চিনি বর্জন করতে হবে। এটাই যেন সব খাদ্যাভ্যাসের মূলমন্ত্র। তবে এরসঙ্গে বাতিলের খাতায় ফেলে দেওয়া হয়েছে প্রাকৃতিক চিনিকেও। তাই আখের রসের স্বাস্থ্যগুণ তুলে ধরেছেন ভারতীয় পুষ্টিবিদ রুজুতা দিউকার।
প্রতি গ্লাস বা আড়াইশ থেকে ৩শ’ মি.লি. লিটার আখের রসে থাকে প্রায় ১১১ ক্যালরি, ২৭ গ্রাম স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট, ০.২৭ গ্রাম প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম।
হাতের কাছের এবং স্বল্প মূল্যের কিন্তু পুষ্টিকর প্রাকৃতিক খাবার অনেক সময় ওজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অকারণেই গুরুত্ব হারায় ব্যায়বহুল খাবারের কাছে। আখের রসের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা তেমনই।
আখের রস সতেজ থাকতেই খাওয়া সবচেয়ে ভালো। স্বাদে পরিবর্তন আনতে চাইলে এতে যোগ করা যেতে পারে লেবুর রস ও লবণ। শরীরচর্চা পর কিংবা প্রচণ্ড গরম থেকে আসার পরের সময়টা আখের রস খাওয়ার জন্য আদর্শ। মাত্র একগ্লাস আখের রস শরীরের হারানো লবণের মাত্রা পুষিয়ে দিতে যথেষ্ট।
আখের রসের প্রধান উপাদান চিনি হলেও ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এটি সহায়ক। প্রতিদিন শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে শরীরের একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় চিনির প্রয়োজন। এই চিনি অবশ্যই স্বাস্থ্যকর এবং অপ্রক্রিয়াজাত হওয়া চাই। এক্ষেত্রে আখের রসের তুলনা চলে না কোনো কিছুর সঙ্গে।
আরও চারটি উপকারী দিক।
আঁশ: ভোজ্য আঁশ ওজন কমানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি। খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করলেন অথচ ফল কিংবা সবজি থেকে আঁশ গ্রহণ করলেন না। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের আশঙ্কা হয় দ্বিগুন। আখের রসে আছে বেশ ভালো পরিমাণে ভোজ্য আঁশ। যা এই আশঙ্কা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
বিপাক: বিপাকের কার্যপ্রক্রিয়া খুবই সরল। যত বেশি কর্মশক্তি, তত বেশি ক্যালরি খরচ। আর ওজন কমানো হল ক্যালরি গ্রহণ এবং খরচের খেলা। আখের রস বিপাকীয় গতি বাড়ায়, কাজের ক্ষমতা বাড়ায়, ফলে ওজন কমে।
হজম: আখের রসের আঁশ হজমে সহায়ক।
চর্বি নেই: চিনি বেশি থাকলেও আখের রসে চর্বি নেই বিন্দুমাত্র। তবে এই আখের রসেরই বোতলজাত সংস্করণে মিলবে অপ্রয়োজনীয় ক্যালরি এবং অস্বাস্থ্যকর চর্বি। তাই প্রাকৃতিক আখের রস পান করুন নির্দ্বিধায়। তবে খেয়ার রাখতে হবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকটাও।
আরও পড়ুন