ঘামের দাগ নিয়ে অস্বস্তিকর পরিস্থিতে পড়ার আগে কয়েকটি পন্থা জেনে নিন।
স্বাস্থ্য ও জীবনযাপন বিষয়ক বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে কয়েকটি কার্যকর পন্থা এখানে দেওয়া হল।
বাতাস চলাচল যোগ্য কাপড়: সুতি, লিনেন, ভয়েল ইত্যাদি তন্তুতে বাতাস ভালোভাবে চলাচল করে। অন্যান্য সিন্থেটিক তন্তু বাতাস চলাচলে বাধা দেয়। তাই এসব তন্তু ব্যবহার করা আরামদায়ক নয়।
ঘামরোধক ব্যবহার: ‘ডিওডোরেন্ট’ নয়, ব্যবহার করুন ‘অ্যান্টিপার্সপিরান্ট’। কারণ এটা ত্বকের উপরিভাগে ঘাম পৌঁছাতে বাধা দেয় এবং ঘাম থেকে দূর্গন্ধ তৈরির ব্যাক্টেরিয়া নির্মূল করে। এজন্য দামি সুগন্ধি ব্যবহার না করলেও চলে।
পরিদিন ব্যবহার করুন। বিশেষ করে সকালে গোসলের পর। এটা ব্যবহারের আগে ভালো মতো বাহুমূল শুকিয়ে নিন। ভেজা অবস্থায় ব্যবহার করলে কাজে আসবে না। তরল ‘অ্যান্টিপার্সপিরান্ট’ ব্যবহার করুন, এটা ত্বকের জন্যও ভালো।
ভালো মতো কাপড় পরিষ্কার করা: নিয়মিত কাপড় ধুয়ে পরিষ্কার রাখুন। ভালোভাবে পরিষ্কার করতে এতে সিকি কাপ ব্লিচ ব্যবহার করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন ব্লিচ কেবল সাদা কাপড়ে ব্যবহার করতে হবে। রঙিন কাপড়ে ব্যবহার করলে তা রং নষ্ট করে ফেলতে পারে। যদি রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করতে না চান তাহলে প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান যেমন- লেবু ও সাদা ভিনিগার ব্যবহার করতে পারেন। দাগ দূর করতে কাপড় রোদে শুকান।
পোশাকের রং: ধূসর, নীল ও উজ্জ্বল রংয়ের তুলনায় গাঢ় রংয়ের পোশাকে দাগ কম বোঝা যায়। তাই বাইরে যাওয়ার সময় এমন রংয়ের পোশাক নির্বাচন করুন যাতে দাগ বোঝা না যায়।
ছবি: পিক্সাবে- ফ্রি পিকচার।
আরও পড়ুন