তাছাড়া অতিরিক্ত কেমিকলের সংস্পর্শে কাজ করলেও হাতের ত্বক রুক্ষ হয়ে পড়ে।
রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে শুষ্ক হাতের জন্য বিষেশ যত্নের কিছু টিপস দেওয়া হয়। এই প্রতিবেদনে সেসব বিষয়গুলো দেওয়া হল।
হাত রাখুন সুরক্ষিত
অতিরিক্ত কেমিকল বা ক্ষারযুক্ত উপাদানের সংস্পর্শে কাজ করার সময় হাতের ক্ষতি হয় সবচেয়ে বেশি। তাই এ ধরনের ক্ষতিকর উপাদান নিয়ে কাজ করার সময় কিছুটা সচেতন হওয়া জরুরি। এক্ষেত্রে হাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে সবার আগে।
নিয়মমতো হাত পরিষ্কার করুণ
অনেকেই মনে করেন পরিষ্কার করলে বা ধুলে হাত আরও বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। তবে হাতে নানান ধরনের জীবাণু লেগে থাকে তাই নিয়ম করে হাত পরিষ্কার না করলে ফ্লু, কাশি, জ্বর ইত্যাদি সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
তাই কুসুম গরম পানিতে প্রাকৃতিক ও জীবাণুনাশক তেল সমৃদ্ধ সাবান বা হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। মাঝে মাঝে হাতের তালু স্ক্রাব করার অভ্যাস করতে হবে।
ক্ষারমুক্ত ক্লেনজার ব্যবহার
হাত পরিষ্কার করতে ক্ষারবিহীন ক্লেনজার ব্যবহার করতে হবে। এজন্য জীবাণুনাশক, ফোমিং বা অতিরিক্ত সুগন্ধযুক্ত সাবান ব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে।
বেশি ক্ষারযুক্ত সাবানের কারণে হাতের চামড়ার উপরের চর্বির স্তর নষ্ট হয়ে যায়। যা প্রয়োজনীয় জলীয় উপাদান ধরে রেখে ত্বক কোমল রাখে। তাই হাত পরিষ্কারের জন্য ক্ষারহীন ক্লেনজার ব্যবহার করতে হবে।
হাতে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার
ত্বকের শুষ্কভাব দূর করার একমাত্র উপায় নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা। ভালো ময়েশ্চারাইজার মানেই দামী প্রসাধনী, তা কিন্তু নয়। ভলো মানের পেট্রোলিয়াম জেলি, বিশুদ্ধ তেল, গ্লিসারিন ত্বকের নমনীয়তা ধরে রাখতে সাহায্য
তাছাড়া অতিরিক্ত পানি ব্যবহার, ক্ষারীয় পদার্থ বা কেমিকল বেশি যেসব সাবানে সেগুলো নিয়ে কাজ করার সময় গ্লাভস বা দস্তানা পরে কাজ করা যেতে পারে। এতে হাতের ত্বক সরাসরি কেমিকলের সংস্পর্শে আসবে না আর ক্ষতিও কম হবে।