ওজন কমানো ও রোগপ্রতিরোধে মৌরি

বাড়তি চর্বি কমাতে চাইলে প্রতিদিন সকালে মৌরি ভেজানো পানি পান করুন। মৌরি কেবল চিবাতেই মজা নয় এটা নানান স্বাস্থ্য উপাদানে ভরপুর।

রান্নাঘরের মসলা ও চাটনির উপাদানের পাশাপাশি মৌরি বীজ খাবারের পরে পরিষ্কার ও তাজাভাব আনতে সহায়তা করে।

ভারতের ‘সান্তশিয়ারোগিয়াম ডায়েট ই ক্লিনিক’য়ের পথ্যব্যবস্থাপক অপূর্ব সাইনি এবং ‘ফোর্টিস এফএলটি লি. রঞ্জন ঢাল হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ সীমা সিং মৌরি বীজের স্বাস্থ্যপোকারিতা সম্পর্কে জানান।  

ওজন কমাতে: যদি দ্রুত শরীর থেকে বাড়তি মেদ কমাতে চান তাহলে প্রতিদিন সকালে মৌরি বীজ ভেজানো পানি পান করুন। এটা বিপাকের হার বাড়ায় এবং চর্বি খরচ করতে সাহায্য করে যা ওজন কমানোর সহায়ক। তাছাড়া এটা ক্ষুধা কমাতেও ভালো কাজ করে।

ফোলাভাব কমায়: মৌরি মুত্রবর্ধক এবং শরীরের অতিরিক্ত তরল বের করে দিতে সাহায্য করে। এটা এনজাইমকে সক্রিয় করে হজম ক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে। তাই এটা খাবারের পরে খাওয়া উপকারী। অ্যান্টি-স্পাসমোডিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্লামাটরি উপাদান থাকায় মৌরির চা ও পানি কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

ক্যান্সার থেকে রক্ষা: উদ্ভিজ্জ নয় এমন খাবার রান্না করা ও গরম করা হলে তা বাতাসে ক্যান্সার উৎপাদক উপাদানের সৃষ্টি করে। যার ফলে ক্যান্সার রোগ দেখা দেয়। মৌরি শরীর থেকে এসকল বিষাক্ত উপাদান বের করে দিতে ও ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। 

সতেজ নিঃশ্বাস: মৌরির অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে।

স্তন্যদানকারী মায়ের জন্য: সাইনি বলেন, “আমরা মৌরি, জিরা, জোয়ান ইত্যাদির পানি স্তন্যদানকারী মাকে দিয়ে থাকি কারণ এটা দুধের উৎপাদন বাড়ায় ও খাওয়াতে সাহায্য করে।”

ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা করে: মৌরির বীজ আয়রন ও ডি কমপ্লেক্স ভিটামিন সমৃদ্ধ যা ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। এতে জিংক ও সেলেনিয়াম থাকে যা অকালপক্কতা দূর করে চুলকে শক্তিশালী করে, চুলের ফলিকল মসৃণ করে ও দ্রুত বড় হতে সাহায্য করে।

চোখের স্বাস্থ্য রক্ষা: মৌরি ভিটামিন এ এবং বেটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ যা চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এছাড়াও এর ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

অ্যাজমা ও শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা দূর করতে: মৌরিতে আছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট যা সাইনাস পরিষ্কার রাখে এবং অ্যাজমার রোগীদের স্বস্তি দেয়। 

প্রতিদিন এক অথবা দুই টেবিল-চামচ মৌরি খাওয়ার পরামর্শ দেন সাইনি। সবসময় পাওয়া যায় বলে চাইলে সারা বছর ধরেই এটা খাওয়া যায়।

আরও পড়ুন

আঘাত সারাতে  

ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে ওমেগা-থ্রি  

৫ উদ্ভিজ্জ প্রোটিন