পড়ে গিয়ে চামড়া ছিলে যাওয়া, প্রচণ্ড আঘাতে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া ইত্যাদি দুর্ঘটনাকে বেশিরভাগ মানুষই সামান্য ব্যাপার হিসেবে অবহেলা করেন। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকলে ক্ষতস্থানগুলো আপনাতেই সেরে যায়, তবে ভুগতে হয় বেশ।
প্রচলিত এই ধরনের পদ্ধতি নিয়ে চিকিৎসাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে টুকটাক আঘাত ও কাটাছেঁড়ায় ঘরোয়া-চিকিৎসার কয়েকটি পন্থা এখানে দেওয়া হল।
মেথি-গাছের বীজ: এর ব্যথানাশক ও জ্বালাপোড়ারোধকারী উপাদান আঘাতের ব্যথা ও ফোলা কমাতে সহায়ক।
এক কাপ পানি ফুটিয়ে তাতে একমুঠ মেথিগাছের বীজ ফেলে কয়েক মিনিট অল্প আঁচে ফুটিয়ে নিন। তারপর ছেঁকে ঠাণ্ডা করে তুলার সাহায্যে আঘাতের জায়গায় মাখিয়ে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। দিনে দুবার এটা মাখানো উচিত।।
অ্যাপল সাইডার ভিনিগার: জ্বালাপোড়ারোধকারী প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে।
প্রথমেই একটি বাটিতে সমান পরিমাণ পানি ও অ্যাপল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে নিন। পরে এক টুকরা ‘পেপার টাওয়াল’ বা মোটা টিস্যু ভিজিয়ে আঘাতের জায়গায় বসিয়ে দিতে হবে।
ফোলা না কমা পর্যন্ত ২০ মিনিট পর পর এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। তবে চামড়া ফেটে গেলে বা কাটা ক্ষতের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবে না।
ইপসম লবণ: ব্যথা কমায় এবং পেশির কোষকলায় আরাম দেয় এই লবণ। সাধারণত ওষুধের দোকানে পাওয়া যায়।
এক মগ গরম পানিতে দেড় কাপ ইপসম লবণ ভালোভাবে গুলিয়ে নিতে হবে। এবার এই পানিতে এক টুকরা সুতি কাপড় ভিজিয়ে ভালোভাবে চিপে বাড়তি পানি বের করে নিতে হবে। প্রতি এক ঘণ্টা পর পর এই কাপড়টি ব্যথার জায়গায় কয়েক মিনিট ধরে দিতে হবে।
পার্সলে পাতা: ব্যথা ও জ্বালাভাব কমায়। দূর করে আঘাতের চিহ্ন।
এক মুঠ পার্সলে পাতা ধুয়ে ব্লেন্ডারে নিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। এবার পেস্টটি আঘাতের জায়গায় মাখিয়ে তার উপর ব্যান্ডেজ বেঁধে দিন। ১০ মিনিট রেখে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত পেস্টটি ব্যবহার করতে হবে।
পেঁপে: এতে আছে ‘ব্রোমেলাইন’ নামক এক এনজাইম, যা আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত রক্তনালী সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
পাতলা করে এক টুকরা পেঁপে কেটে সরাসরি আঘাতের জায়গায় লাগাতে হবে। এক ঘণ্টা রেখে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। দিনে যতবার ইচ্ছা ততবারই পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে পারেন।