‘ফ্লেইভার্ড’ কনডম থেকে সমস্যা

অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ ও যৌনরোগ এড়াতে ভিন্ন স্বাদ ও সুগন্ধ যুক্ত নিরোধক ব্যবহার করার কী দরকার!

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Feb 2018, 07:44 AM
Updated : 16 Feb 2018, 07:44 AM

যদি না ‘ওরাল সেক্স’য়ে আগ্রহী হন।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘বৌল্ডার ভ্যালি উইমেন্স’স হেল্থ সেন্টার’য়ের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ‘টিন ক্লিনিক’য়ের সূত্র মতে ‘ফ্লেইভার্ড কনডম’ তৈরি করা হয়েছে মুখে যাতে ‘রাবার’য়ের বিস্বাদভাবটা না লাগে সেজন্য।

মুখের মাধ্যমেও বিভিন্ন যৌনরোগ ছড়াতে পারে বলে, ‘ওরাল সেক্স’য়ের সময়ও কনডম ব্যবহার করতে পরামর্শ দেওয়া হয়।

​এগুলো কি সাধারণ কনডমের মতোই নিরাপদ?

বিভিন্ন স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের উপর প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কনডমের কাজ হল অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ ও যৌনসঙ্গমের মাধ্যমে রোগ সংক্রমণ রোধ। ফ্লেইভার থাকুক আর না থাকুক, এই সুরক্ষা সবধরনের কনডমেই পাওয়া যাবে।

তবে সমস্যাটা হল ‘ফ্লেইভার্ড কনডম’ তৈরি করা হয়েছে মৌখিক সঙ্গমের উপযোগী করে। তাই এই ধরনের কনডমে থাকে চিনির প্রোলেপ, যা নারীর জননাঙ্গের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এই চিনি নারীর জননাঙ্গে অম্ল-ক্ষারের বা পিএইচ’য়ের মাত্রায় তারতম্য ঘটায়, ঘটাতে পারে ইস্ট ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ।

যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন(এফডিএ)য়ের মতো সংস্থাগুলো ‘ফ্লেইভাড কনডম’য়ের নিরাপত্তা সম্পর্কে নিশ্চিত করলেও, ইস্ট সংক্রমণের ব্যাপারে এরাও সতর্ক করে থাকেন। 

তাই মৌখিক সঙ্গমে যদি আগ্রহ থাকে তবেই ‘ফ্লেইভার্ড কনডম’ ব্যবহার করতে পারেন। তবে সঙ্গমের ক্ষেত্রে সাধারণ কনডম ব্যবহার করাই ভালো।

আবার বিপরীত মত-ও রয়েছে।  

যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান ‘সেক্সুয়াল হেল্থ চ্যারিটি (এফপিএ)’য়ের প্রধান নির্বাহী নাকিটা হালিল জানান- ‘ফ্লেইভার্ড কনডম’ও সঙ্গমে ব্যবহার করা যায়। আবার এই ধরনের কনডমে সে ধরনের ‘লুব্রিক্যান্ট’ ব্যবহার করা হয় তা পেটে গেলে কোনো সমস্যা করে না।

তবে তার পরামর্শ হচ্ছে ‘ফ্লেইভার্ড কনডম’ দিয়ে ‘ওরাল সেক্স’ করার পর সেটা বদলিয়ে নতুন কনডম পরে সঙ্গম করা উচিত।

কারণ মুখের মাধ্যমে আসা কোনো জীবাণু কনডমের উপর লেগে থাকলে সেটা নারীর জননাঙ্গে ছড়িয়ে যেতেই পারে।

আরও পড়ুন