খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ডাইজেস্টিভ বিস্কুটের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে জানানো হয়।
ডাইজেস্টিভ বিস্কুট কী?
এই বিস্কুটের ধারণা আসলে এসেছিল যাদের হজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে তাদের চিকিৎসার একটা উপায় হিসেবে। তবে এই একবিংশ শতাব্দিতে ডাইজেস্টিভ বিস্কুট চায়ের সঙ্গে নাস্তা হিসেবে খাওয়া হয়। মানে এভাবে আমরা লুকায়িত শর্করা, চর্বি, সোডিয়াম ও পরিশোধিত ময়দা খাচ্ছি।
যে কারণে ডাইজেস্টিভ বিস্কুট ওজন বাড়ায়
একটি টি-শার্ট পরলে আপনার ওজন কমবে, যদি এরকম প্রচার শুনেন তা আপনি কিনবেন। এখানে আপনার কোনো দোষ নেই। কারণ ওজন কমানোর বাজারটা এতটাই বড় যে, যে কেউ এই শব্দগুলো ব্যবহার করে মানুষকে বোকা বানানো যায়।
বর্তমানে ওজন কমানো একটা বিষয় এবং যেই ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে পরামর্শ বা উপায় বলে দেবে তাকেই আপনি মনে প্রাণে বিশ্বাস করবেন। তবে সমস্যা হল এভাবে আমরা আমাদের ওজন বাড়াই ও স্বাস্থ্য খারাপ করে ফেলি। এর মধ্যে ডাইজেস্টিভ বিস্কুট খাওয়ার পরামর্শও আছে।
না, মানে না!: জনপ্রিয় বিশ্বাসের বিপরীত দিক হল, ডাইজেস্টিভ বিস্কুট যেমন বলা হয়ে থাকে, আসলে তেমন স্বাস্থ্যকর নয়। যদিও এটা ক্ষুধা মেটাতে পারে। আর স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার একটা সন্তুষ্টি দেয় মাত্র। তবে বর্তমান সময়ে প্রক্রিয়াজাত খাবারের মধ্যে ডাইজেস্টিভ বিস্কুট প্রধান খলনায়ক।
ডাইজেস্টিভ বিস্কুট না খাওয়ার প্রধান তিনটি কারণ
লুকায়িত উপাদান: আগেই বলা হয়েছে ডাইজেস্টিভ বিস্কুটে পরিশোধিত ময়দা,চিনি, চর্বি ও সোডিয়াম থাকে। এই উপাদানগুলো এমন ভাবে তৈরি যা চায়ের সঙ্গে খুব ভালো যায়। যদি কোনো মোড়কে লেখা থাকে এটাতে আঁশ, প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ লবণ আছে তাহলে আবার লেভেলের উপরের লেখাগুলো পড়ুন। দেখুন এতে ‘গ্রিক’ নামের কোনো উপাদানের নাম লেখা আছে কিনা। সেখানে স্বাদবৃদ্ধি করার উপাদান আছে যা আপনাকে ওই বিস্কুটের প্রতি বার বার আকৃষ্ট করে।
উচ্চ প্রক্রিয়াজাত: শত শত পরিমাণ ডাইজেস্টিভ বিস্কুট বিক্রি হয় যা প্রক্রিয়াজাত হতে বাধ্য। কারণ প্রক্রিয়াজাতকরণ ছাড়া এত বিশাল পরিমাণ বিস্কুট উৎপাদন করা সম্ভব না। এতে ফাঙ্গাসের আক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই বিস্কুট দীর্ঘদিন ভালো রাখতে ও উপাদানগুলো ঠিক রাখতে প্রক্রিয়াজাতকরণের প্রয়োজন হয়।
অস্বাস্থ্যকর ক্যালরি: সাধারণত, ডাইজেস্টিভ বিস্কুটে কমপক্ষে ৫০ ক্যালরি থাকে। এগুলো ওজন কমানোর মতো স্বাস্থ্যকর ক্যালরি নয়। তাছাড়া এই ক্যালরিগুলো ওজন কমানোর পথে বাধা দেয়। যা আপনি বুঝতেই পারবেন না। অস্বাস্থ্যকর চিনি, ময়দা এবং অতিরিক্ত সোডিয়াম বা লবণ শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় নয়। আর এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
রেসিপি: ডাইজেস্টিভ কুকিজ