শুধু ক্যালরি খরচই নয়, দেহের সুস্থতাও রক্ষা করতে পারে চুম্বন।
কয়েকটি গবেষণার বরাত দিয়ে স্বাস্থবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে চুম্বনের উপকারী দিকগুলো এখানে দেওয়া হল।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে: ‘মেডিকল হাইপোথিসিস’ শীর্ষক এক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, ‘সাইটোমেগালোভাইরাস’য়ের বিরুদ্ধে নারীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় চুম্বন। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস ক্ষতিকর নয়। তবে গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে এটি গর্ভের সন্তানের জন্মগত বিকলাঙ্গতার কারণ হতে পারে। চুম্বনের সময় যুগলদের মধ্যে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার আদান-প্রদান ঘটে, যা দুজনের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
মানসিক প্রশান্তি: যুক্তরাষ্ট্রের পেনসালভেনিয়ার ‘লাফাইয়েত কলেজ’য়ের করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, চুম্বনের সময় শরীরে ‘অক্সিটোসিন’, ‘ডোপামিন’ এবং ‘এন্ডোরফিনস’ নামক হরমোন নিঃসৃত হয়। যা মন মেজাজ শান্ত করে, দেয় ভালোবাসায় সিক্ত হওয়ার অনুভূতি। মাত্র ২০ সেকেন্ডের চুম্বনই এই হরমোনগুলো নিঃসরণের জন্য যথেষ্ট।
হৃদযন্ত্রের সুস্থতা: কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ কমাতে কার্যকর চুম্বন। হৃদরোগের পেছনে দায়ি বিষয়গুলোর মধ্যে মানসিক চাপ অন্যতম। তাই রক্তচাপ কমানোর মাধ্যমে চুম্বন হৃদরোগকে দূরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আয়ু বাড়ায়: বলা হয়, যেসকল দম্পতি নিয়মিত চুম্বন আদান-প্রদান করেন, তারা অন্যান্যদের তুলনায় পাঁচ বছর বেশি বাঁচেন। চুম্বনের কারণে রক্তে নিঃসৃত উপকারী হরমোনই এই আয়ু বাড়ার কারণ।
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন