প্রেমের সঙ্গী কি বিয়ের উপযুক্ত?

প্রেমে থাকার সময় অনেক কিছু্ই মেনে নেওয়া হয়। রেস্তোরাঁয় খাওয়ার আব্দার, বেড়াতে যাওয়া কিংবা সঙ্গীর যে কোনো বিষয় হাসিমুখে মেনে নেওয়া! তারপরও কিছু প্রশ্ন থেকেই যায়।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Dec 2017, 11:55 AM
Updated : 28 Dec 2017, 12:08 PM

অনেকদিন হয়ে গেলো প্রেম করছেন, সম্পর্কটাকে বিয়ে পর্যন্ত গড়ানোর সময় এসেছে। প্রসাধনীর প্রতি আপনার অদম্য লোভকে ছেলেটা খুশি মনেই মেনে নেয়। কিংবা কুকুর-বিড়ালের প্রতি আপনার ভালোবাসাতেও তার কোনো সমস্যা নেই, আপনার পিৎজা-পাস্তার আবদার পূরণে সে কমতি রাখে না।

সে আপনাকে ভালোবাসে, তারসঙ্গে থাকলে সময় কখন পার হয়ে যায় বোঝাই যায় না।

তবে এই গুণগুলো কি তাকে নিয়ে ঘর বাঁধার ক্ষেত্রে যথেষ্ট? জীবনসঙ্গী হিসেবে কি সে ভালো হবে, নাকি সবই মরীচিকা? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বের করা বেশ কঠিন, কারণ এর উপরই নির্ভর করবে আপনার বাকি জীবনটুকু।

সিদ্ধান্তটা আপনাকেই নিতে হবে। আর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে লক্ষণীয় কিছু বিষয় সম্পর্কবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের উপর প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে এখানে তুলে ধরা হল।

আর্থিক স্বচ্ছলতা: দামি উপহার দেওয়া, বিলাশবহুল রেস্তোরাঁয় খাওয়ানো মানেই আপনার প্রেমিক আর্থিকভাবে স্বচ্ছল নাও হতে পারে। দেখতে হবে এসবের পয়সার যোগান কার? বিয়ে তাকেই করা উচিত যে তার পরিবারকে আর্থিকভাবে সাহায্য করে এবং আর্থিকভাবে সমর্থ। আবার আয়-ব্যায়ের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখার গুণও তার থাকা চাই। আপনাকে উপহার দেওয়ার জন্য যদি আরেকজনের কাছ থেকে ধার করতে হয়, তবে সংসার সুখের না হওয়ারই কথা।

সহযোগী মনোভাব: মুখে বলা সহজ, কাজে দেখানো কঠিন। অফিসের কাজের চাপে আপনি যখন অতিষ্ঠ, তখন প্রেমিক কিংবা প্রেমিকা কি সিনেমা দেখতে যাওয়ার জন্য গাল ফুলিয়ে বসে থাকে? নাকি আপনাকে কাজে মনযোগ দিতে উৎসাহ দেয়! রাতে বাসায় ফেরার সময় প্রেমিক বা প্রেমিকা কি আপনার নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত? নাকি দেখা করতে না পারার জন্য আপনার অফিসকে দুষতে ব্যস্ত? একজন সহযোগী সঙ্গী আপনার সমস্যায় আপনার পাশে থাকবে, সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে। 

মূল্যায়ন: সম্পর্কের জন্য আপনার অবদানগুলো সঙ্গীর অবশ্যই মূল্যায়ন করা উচিত।  প্রেমিক কিংবা প্রেমিকার প্রিয় খাবার রান্না করা, অফিস থেকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া, কাজ শেষে ক্লান্তি দূর করার জন্য আপনাকে কফি খেতে নিয়ে যাওয়া ইত্যাদি খুঁটিনাটি বিষয়গুলোকে মূল্যায়ন করবে, জীবনসঙ্গী হিসেবে সেই আদর্শ। তবে এগুলোকে যদি দায়িত্ব মনে করে, তবে আপনার কপালে দুঃখ থাকতে পারে। 

জীবনযাত্রা: বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই ভবিষ্যত সঙ্গীর মানসিক অবস্থা সম্পর্কে চিন্তা করা উচিত। সেকি রগচটা? নিজে মানসিক চাপে থাকলে তার আক্রোশ কি আপনার উপরেও পড়ে? অকারণেই অস্বস্তিতে ভোগে? অস্বস্তি সমাধানের চেষ্টা না করে পালিয়ে বাঁচতে চায়? ধূমপান, মদ্যপানের অভ্যাস আছে? থাকলে তা কোন মাত্রার? দুটি মানুষ বাকি জীবনটা একসঙ্গে কাটাতে হলে এই বিষয়গুলোও আপনাকে ভাবতে হবে।

তার অনুভূতি: আপনি হয়ত মন প্রাণ উজাড় করে তাকে ভালোবাসেন, সেও কি তাই? এক হাতে যেমন তালি বাজে না, তেমনি একতরফা ভালোবাসা দিয়ে সংসার করা যায় না। তাই আপনার প্রেমিক কিংবা প্রেমিকার আপনার প্রতি ভালোবাসা সম্পর্কেও নিশ্চিত হতে হবে।

আপনাকে মেনে নেওয়া: আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকা কি আপনার অতীত সম্পর্কে সবকিছু জানে? আপনার আজগুবি অভ্যাস কিংবা শখগুলোকে কি সে মেনে সাদরে গ্রহণ করতে পারে? আপনার গায়ের রংটা তার পছন্দ? যদি উত্তর ‘হ্যাঁ’ হয়, তবে শূভ কাজে দেরি করতে নেই।

আর যদি ‘না’ হয়, তবে সময় নিন, ভাবুন।

ছবি সৌজন্যে: ক্যাটস আই।

আরও পড়ুন