সাজসজ্জাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে চশমা পরেও সুন্দরভাবে সাজার উপায় জানানো হয়।
ভ্রু’র আকার: চেহারার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হল ভ্রু। তাই সুন্দরভাবে আকার দেওয়া ভ্রু চেহারার গঠন আকর্ষণীয় করে। যারা চশমা পরেন তাদের জন্য এই বিষয়টা আরও বেশি মাথায় রাখতে হবে।
চিকন ফ্রেমের চশমা পরেন যারা তাদের জন্য পাতলা এবং কোণা করে বাঁকানো ভ্রু মানানসই। আর চশমার ফ্রেম যদি মোটা হয় তাহলে মোটা ও গাঢ় ভ্রু ভালো লাগবে। দুই ভ্রুয়ের মাঝে যদি ফাঁকা বেশি হয় তাহলে ভালোভাবে ভ্রু এঁকে নেওয়া যেতে পারে।
ম্যাট ফাউন্ডেশন ও ব্লাশ: যাদের ত্বক তৈলাক্ত বিশেষত নাকের আশপাশে তাদের ক্ষেত্রে চশমার ফ্রেম পিছলে পড়ার ঝামেলা দেখা দেয়। আর হালকা ফাউন্ডেশন লাগানো থাকলে সেক্ষেত্রে ফ্রেমের সঙ্গে খানিকটা ফাউন্ডেশনও উঠে আসে। তাই বেছে নিতে হবে ম্যাট ফাউন্ডেশন।
সব থেকে ভালো হবে যদি পানি নিরোধক ফাউন্ডেশন বেছে নেওয়া হয়। ফাউন্ডেশনের উপর হালকা করে পাউডার ছড়িয়ে দিলে ত্বকের সঙ্গে ভালোভাবে বসবে। গালে গোলাপি আভা আনতে হালকা রংয়ের ম্যাট ব্লাশ বুলিয়ে নিন।
চোখের মেইকআপ: চশমার কারণে শখ করে সাজানো চোখ অনেকটাই আড়াল হয়ে যায়, তাই চোখের মেইকআপ হতে হবে কিছুটা গাঢ়, যা নজরে পড়বে।
এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের রং নিয়ে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। হালকা বা গাঢ় রং মনমতো ব্যবহার করুন। আর বোঝার চেষ্টা করুন কোনটা আপনার সঙ্গে বেশি মানানসই।
আইলাইনার: যারা চশমা পরেন তাদের লাইনারের রেখা টানতে হবে ধরন বুঝে। চশমার ফ্রেম যদি মোটা হয় তাহলে আইলাইনারের রেখাও টানতে হবে কিছুটা মোটা করে। তবে চিকন ফ্রেম বা রিমলেস ফ্রেমের ক্ষেত্রে চোখের উপর চিকন করে লাইনারের রেখা টেনে নিচে ‘ওয়াটার লাইন’য়ে ত্বকের রংয়ের কাজল বুলিয়ে নিন। এতে চোখ দেখতে উজ্জ্বল দেখাবে।
মাস্কারা: চোখের পাপড়ি সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে এবং চোখ দেখতে বড় লাগলেও প্রয়োজনের অতিরিক্ত মাস্কারা ব্যবহার মোটেও উচিত নয়।
বেশি মাস্কারা দিলে পাপড়ি একসঙ্গে আটকে যেতে পারে এবং ভার লাগতে পারে।
হালকা লিপস্টিক: মেইকআপের খুব পরিচিত একটি নিয়ম হল- যদি চোখ গাঢ় করে সাজানো হয় তাহলে ঠোঁটে অবশ্যই হালকা রংয়ের লিপস্টিক ব্যবহার করতে হবে। গাঢ় লিপস্টিক লাগাতে চাইলে উল্টোটি করতে হবে।
তাই চশমা পরলে যেহেতু চোখের সাজের দিকে নজর দিতে হয় ঠোঁটে হালকা রংয়ের লিপস্টিক বুলিয়ে দেওয়াই ভালো।
ছবির মডেল: জাকিয়া উর্মি। ছবি: প্রামানিক।