ভিড়ের মধ্যে শিশুকে রক্ষা

উৎসবে জনসমাবেশে শিশুকে আগলে রাখার জন্য চাই সচেতনতা আর জানা থাকা দরকার বিশেষ কিছু পন্থা।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Sept 2016, 10:52 AM
Updated : 7 Sept 2016, 10:52 AM

কোটি মানুষের এই দেশে শিশুরা কখনও ভিড়ের মধ্যে পড়বে না তা-কি হয়? বিশেষ করে উৎসবের মৌসুমেতো মানুষের মধ্যেই বেড়াতে হয়।

শিশু যদি হট্টগোলে হারিয়ে যায় তবে কী করতে হবে সেটা জানার পাশাপাশি হারিয়ে গেলে সন্তানকে কী করতে হবে সেটা শেখানও জরুরি।

ভিড়ের মধ্যে শিশুকে কীভাবে নিরাপত্তা দেওয়া যায় তাই জানিয়েছে শিশুর লালনপালন বিষয়ক একটি ওয়েবসাইট—

পরবর্তী পদক্ষেপ:
শিশুদের শিখিয়ে দিতে হবে বাবা-মা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে পরে কার কাছে গেলে সে সাহায্য পেতে পারে। পথে এগুতে এগুতে পুলিশ, আনসার বা ইউনিফর্ম করা রক্ষীদের দেখিয়ে, সামান্য আলাপ-পরিচিয় করিয়ে দিতে হবে। তাদের জানাতে হবে বিপদে পড়লে চট করে আগে এদের কাছে আসা উচিত। এ ছাড়াও অন্য কোনো মা যার সঙ্গে আরেকটা শিশু আছে সেও তাকে সাহায্য করতে পারে।

চিহ্নিত করে দেওয়া: শিশু যদি তুলনামূলক ছোট হয় আর বাবা-মায়ের নাম বা বাড়ির ঠিকানা শিখে না উঠতে পারে তবে তাদের নাম, বাসার ঠিকানা, বাবা-মায়ের মোবাইল নাম্বার, রক্তের গ্রুপ ইত্যাদির একটা তালিকা বানিয়ে সঙ্গে রেখে দেওয়া উচিত। এরকম অনেক লকেট, জামায় সাঁটানোর নেমপ্লেট ইত্যাদি পাওয়া যায় যাতে এগুলো লেখা যায়। যখন কোনো উপায়ই খোলা না থাকে এটা তখন ভালোই সাহায্য করে।

বেঁধে রাখা: শুনতে যতই রূঢ় শোনাক আর এটা নিয়ে অন্যেরা যতই সমালোচনা করুক একটা লম্বা বেল্ট দিয়ে ভিড়ের মধ্যে বেঁধে রাখলে সেটা আসলে শিশুর নিরাপত্তাই নিশ্চিত করে। মাত্র হাঁটতে বা দৌড়াতে শেখা বাচ্চারা হারিয়ে যাওয়া বা ব্যথা পাওয়ার ভয় পায় না। তারা ফাঁকা পেলেই দৌড় দেয়। এমন অবস্থায় সমালোচনার বিষয়ে মাথা না ঘামিয়ে শিশুকে নিরাপদ রাখার চিন্তা করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

ছবি সঙ্গে রাখা: শিশুর ছবির প্রিন্ট এবং সফট কপি সবসময় হাতের কাছে তৈরি রাখা চাই। এতে মানুষকে চেহারা দেখিয়ে খোঁজার বিষয়ে সহায়তা পাওয়া যায়।

মনে রাখতে হবে: শিশুদের সব সময় বাসার ঠিকানা ফোন নাম্বার, নিজের নাম, বাবা-মায়ের নাম এসব মুখস্থ করিয়ে রাখতে হবে। আগে যেমন সিনেমায় দেখাতো গান গেয়ে গেয়ে হারানো জন পাওয়া যায়, ঠিক সেভাবে প্রিয় কোনো গানের সুরে বা ছড়ার ছন্দে নাম-ঠিকানা মুখস্থ করানো যেতে পারে এতে তার মনে রাখতে সহজ হবে।

ভিড়ের মধ্যে নাও যাওয়া পড়ে তখনও বার বার সেই গান বা কবিতা আউড়ে মাথায় এগুলা গেঁথে দিতে হবে। গানের সুর বা ছড়ার ছন্দ সাধারণ তথ্যের চেয়ে বেশি সময় মাথায় থাকে এবং বিপদের সময়ও হারিয়ে যায় না।

শিশু যখন একটু বড় হবে তখন পথ চলতে চলতে পথ নির্দেশক বিশেষ স্থাপনা দেখিয়ে দেখিয়ে বাসার ঠিকানা বুঝিয়ে দিতে হবে। তাই পথে যেতে যেতে শিশুকে গল্পের ছলে নিজের বাড়ির ঠিকানা বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন যেন বাবা মাকে হারিয়ে ফেললেও ঠিক খুঁজে বাড়িতে ফিরতে পারে।