ব্যায়ামের আগে ও পরের খাবার

শুধু শরীরচর্চা করলেই হবে না, সঙ্গে খাবার খেতে হবে বুঝেশুনে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 June 2016, 01:16 PM
Updated : 1 June 2016, 01:16 PM

স্বাস্থবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে জানানো হয় ‘সার্কিট ট্রেইনিং’, কার্ডিও ট্রেইনিং’ বা ‘স্ট্রেংথ ট্রেইনিং’— এ ধরনের ব্যায়ামের আগে ও পরে কী খাচ্ছেন সেটা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

কার্ডিও ব্যায়াম: দ্রুতগতির ব্যায়াম যেমন দৌড়ানো, সাইকেল চালানো, অ্যারোবিক্স ইত্যাদিকে বলা হয়।

আগে: কার্ডিও ব্যায়াম শুরু করার কমপক্ষে এক ঘণ্টা আগে খেতে হবে কম চর্বি আর বেশি কার্বোহাইড্রেইট আছে এমন খাবার। একটি কলা, এক গ্লাস দুধ বা এক মুঠ কাঠবাদাম হতে পারে আদর্শ পছন্দ।

পরে: এই সময় শরীরে চাই পুষ্টি, যাতে তার কর্মক্ষমতা কমে না যায়। তাই আমিষ ও কার্বোহাইড্রেইট এসময়ের জন্য ভালো। এতে পেশির ব্যথা কমবে। পানীয়র ক্ষেত্রে কফির পরিবর্তে বেছে নিতে পারেন কম ননিযুক্ত দুধ, ডাবের পানি ইত্যাদি।

সার্কিট ট্রেইনিং: এ ধরনের ব্যায়াম মাংসপেশির শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন পেশিগুচ্ছের প্রভাব ফেলে। কারণ এসব ব্যায়ামে কয়েকটি ব্যায়াম অল্প বিরতি দিয়ে দ্রুত করতে হয়।

আগে: কার্বোহাইড্রেইটের উপর বেশি আর আমিষের উপর কম মনোযোগ দিতে হবে। আপেল ও কলা এক্ষেত্রে সবচাইতে উপযুক্ত। এছাড়া ব্যায়াম শুরু করার প্রায় ৪৫ মিনিট আগে শুকনা ফল খেতে পারেন।

পরে: এই সময়ের খাবারে চর্বি থাকবে কম। তাজা সালাদ, স্মুদি, প্রোটিন শেইক কিংবা ফল খেতে পারেন।

স্ট্রেংথ ট্রেইনিং:
অনেকগুলো ব্যায়ামের সমষ্টি হতে পারে। যা মাংসপেশী সংকোচন প্রশারণ করে শরীরচর্চা করা হয়। এরমধ্যে ‘বুকডন’, ‘ওয়েট লিফ্টিং’ বা ভারি ডাম্বল নিয়ে এই ব্যায়াম করা হয়। যা পেশির শক্তি ও ভার বহনের ক্ষমতা বাড়ায়।

আগে: এই ব্যায়ামের এক ঘণ্টা আগে আমিষ ও কার্বোহাইড্রেইটযুক্ত খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। ফলে দ্রুত ক্লান্তি বোধ করবেন না। পেশির ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও কমবে।

পরে: এই ব্যায়েম শরীরের উপর বেশ ধকল পড়ে। তাই ধকল সামলাতে শরীরকে দিতে হবে সঠিক খাবার। ‘ঘাল বা ছানা দিয়ে তৈরি প্রোটিন শেইক’ কিংবা ‘এনার্জি বার’ খেতে পারেন।

ছবি: রয়টার্স।