ঠোঁট শুধু বাড়িয়ে আঁকলেই দেখতে ভালো লাগে না, আঁকতে হবে নিঁখুতভাবে। এজন্য রয়েছে নানান কৌশল।
সুন্দর ভরাট ঠোঁট দেখতে ভালো লাগে। তবে সবারই প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট এমন হয় না। তাই অনেকেই মেইকআপে ঠোঁট কিছুটা বাড়িয়ে আঁকতে পছন্দ করেন।
নিউ ইয়র্ক’য়ের মেইকআপ আর্টিস্ট এবং গ্রুমিং বিশেষজ্ঞ টড হ্যারিস রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ব্যাখ্যা করেন, “লিপ লাইনার ব্যবহার করে একটি পূর্ণাঙ্গ বা আরও বেশি সুগঠিত ঠোঁট আঁকা যায়। যা কয়েক দশক ধরে প্রচলিত।”
নিউ ইয়র্ক’য়ের আরেক রূপবিশেষজ্ঞ নিয়ল শিবেলি একে সমর্থন করে বলেন “লিপস্টিকের রংয়ের সঙ্গে মিল রেখে লিপ লাইনার ব্যবহার করতে হবে। যেমন- গাঢ় রংয়ের লিপস্টিকের সঙ্গে মানানসই- লাল, বেরি বা ম্যাজেন্টা রংয়ের লিপলাইনার বাছাই করতে হবে।”
ন্যুড শেইড বাছাই করতে চাইলে একই রংয়ের বা তার চেয়ে দুতিন শেইড গাঢ় রংয়ের লিপ নাইনার ব্যবহার করা যেতে পারে। সাধারণত ন্যুড লিপস্টিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাড়িয়ে ঠোঁট আঁকা দেখতে ভালো লাগে।
যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে
মূল ঠোঁটের বাইরের অংশে একটা লাইন আকঁতে হবে এবং তা যেন কাঙ্ক্ষিত আকার হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ওপরের ঠোঁট দুভাবে আঁকার পরামর্শ দেন শিবেলি। ঠোঁট দুভাগে ভাগ করে বাইরের পাশ থেকে ভেতরের দিকে আঁকা হলে ধনুকের অংশটা দেখতে সুস্পষ্ট লাগবে বলে জানান তিনি।
“ঠোঁটের বাইরে লাইন আঁকা হলে একটা লিপ ব্রাশের সাহায্যে তা কিছুটা নিচের দিকে ভালো মতো মিশিয়ে নিতে হবে। এতে ঠোঁটের রেখা দৃশ্যমান হবে” বলে জানান, হ্যারিস।
ঠোঁট কিছুটা বাড়িয়ে আঁকা হলে দেখতে মোটা লাগে তবে এর জন্য সম্পূর্ন ঠোঁট আঁকার প্রয়োজন নেই। ওপরের ও নিচের ধনুকের মতো অংশ কিছুটা বড় করে আকঁলেই আকৃতিতে আমূল পরিবর্তন আসে বলে জানান, শিবেলি।
যারা ঠোঁট লাইন করতে পছন্দ করেন না তারা ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় রেখেও ভরাট ভাব আনতে পারেন।
শিবেলি লক্ষ করেছেন যে, শুষ্ক ঠোঁটের চেয়ে আর্দ্র অবস্থায় ঠোঁট দেখতে বেশি ফোলা লাগে। তাই তিনি ঠোঁট স্ক্রাব করে মৃত কোষ দূর করে আর্দ্রতারক্ষাকারী বাম ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
এছাড়াও লিপস্টিক ব্যবহারের পরে স্বচ্ছ গ্লস ঠোঁটের মাঝামাঝি অংশে ব্যবহারের পরামর্শ দেন হ্যারিস। এতে আলোর প্রতিফলন বাড়ে ও ঠোঁট দেখতে আকারে বড় লাগে।
আরও পড়ুন