নখের পরিচর্যায় নানান ধরনের প্রাকৃতিক তেল ব্যবহার করা যায়।
Published : 20 Jul 2023, 08:47 PM
ভঙ্গুর ও মলিন নখ দেখতে ভালো লাগে না। নখের যত্নে এর আর্দ্রতা ধরে রাখা জরুরি। এক্ষেত্রে প্রাকৃতিক তেল বেশ উপকারী।
ঘন ঘন ম্যানিকিউর করা, নখ কামড়ানো, ধুলাবালি, নেইল পেইন্ট ইত্যাদি নখের সাথে ঘটে যাওয়া নিত্য ঘটনা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এগুলো নখের ক্ষতি করে থাকে।
নখের পুষ্টি ও শক্তি যোগাতে তেল ব্যবহার করা উপকারী। এতে নখের কিউটিকল আর্দ্র থাকে, দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং দেখতে চকচকে হয়।
হেল্থশটস ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হল বিস্তারি।
নারিকেল তেল
ব্রণ, নখের সমস্যা থেকে শুরু করে গোড়ালি ফাটা- এসব সমস্যা সমাধানে নানান উপকারী ভূমিকা রাখে নারিকেল তেল। এতে আছে প্রাকৃতিক ফ্যাটি অ্যাসিড ও ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল’ উপাদান যা নখের সংক্রমণ কমায়, নখের বৃদ্ধি ভালো রাখে, ফাটা কমায়, নখ মজবুত, মসৃণ ও সুস্থ রাখে।
ক্যাস্টর অয়েল
অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি অ্যাসিড ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ। এটা রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, কিউটিকল আর্দ্র রাখে এবং নখের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এছাড়াও আছে ‘রাইসিনোলিয়েক অ্যাসিড’ যা নখ সুদৃঢ় করতে সহায়তা করে।
লবঙ্গ তেল
‘মাইকোবায়োলজি জার্নাল’য়ে প্রকাশিত এর গবেষণায় দেখা গেছে, লবঙ্গ তেল ছত্রাক ও ব্যাক্টেরিয়া বিরোধী। যা নখের সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করে।
এটা নখের সামগ্রিক সুস্থতা রক্ষা করে, নখের প্রদাহ ও যে কোনো অস্বস্তি উপশম করতে পারে। সুস্থ ও শক্তিশালী নখের জন্য লবঙ্গ তেল ব্যবহার পরিচর্যা রুটিনে যোগ করা যায়।
ভিটামিন ই তেল
ভঙ্গুর, রুক্ষ বা হলদে নখের যত্নে ভিটামিন ই তেল উপকারী। এর আর্দ্রতা রক্ষাকারী উপাদান নখ মসৃণ ও আর্দ্র রাখে।
কিউটিকলের ক্ষয়পূরণ, প্রদাহ হ্রাস ও নখের ভিত শক্ত করতে ভিটামিন ই উপকারী।
জলপাইয়ের তেল
নখের বৃদ্ধি, ফাটা ও ভঙ্গুরভাব কমাতে উপকারী। এতে আছে ফ্যাটি অ্যাসিড যা চুল, ত্বক ও নখের আর্দ্রতা ধরে রাখে।
তাই ত্বক পরিচর্যার রুটিনে এই ধরনের তেল যুক্ত করা যায়।
উপরে উল্লেখ্য প্রতিটা তেলই পুষ্টিকর। এর মধ্য থেকে নিজের সঙ্গে মানানসই তেল বাছাই করে নেওয়া যায়। ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট ও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা জরুরি।
আরও পড়ুন