উড়িতেছে সোনার ঘোড়া, পঞ্চম কিস্তি

মিশনের নাম ‘মিশন অব সোনার ঘোড়া’। যেভাবেই হোক বাংলাদেশ থেকে সোনার ঘোড়া নিয়ে আসবে। ব্যর্থতার কোনো ক্ষমা নেই। এই মিশনে যদি কেউ অসুস্থ হয়, যদি কেউ বিপদে পড়ে উদ্ধার করা না গেলে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে আসবে বাকিরা।

মনি হায়দারমনি হায়দার
Published : 15 Oct 2022, 04:35 AM
Updated : 15 Oct 2022, 04:35 AM

কালো বাদুরের পোশাকে ফাঁকিস্তান আর্মির চারজন অফিসার উড়ছে ঢাকার আকাশে। রাত সাড়ে নটা বাজে। চারজন অফিসার ক্যাপ্টেন ইকবাল জবরদখল, ক্যাপ্টেন মাহবুবা দুররানি, ক্যাপ্টেন রশীদ গজনবী আর লেফটেন্যান্ট ইকবাল মোজাইক উড়ছে, বুড়িগঙ্গা পার হয়ে চারজন ঢুকে পড়ে লক্ষ্মীবাজারের আকাশে।

একে অপরের সঙ্গে মোবাইল সংযোগে দিক ঠিক করে নিচ্ছে। আকাশে গুমোটভাব থাকলেও হালকা বাতাস বইছে। বাতাসের গতি উল্টোদিকে, ফলে ফাঁকিস্তানের চারজন অফিসারের সামনে এগোনোর গতি অনেকটা কম। দলনেতা ক্যাপ্টেন ইকবাল জবরদখল পাশে পাশে উড়তে থাকা ক্যাপ্টেন মাহবুবা দুররানিকে জিজ্ঞেস করে, আমাদের নিশানা কি ঠিক আছে?

আমার চেয়ে ভালো বলতে পারবে মিস্টার রশীদ গজনবী স্যার। কারণ, করাচিতে গজনবী স্যারকে অনেক আপডেটেড ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে, জবাব দেয় মাহবুবা দুররানি। ওকে, বাটন টিপে চলার গতি কমিয়ে ও ঘুরিয়ে একটু দূরে উড়তে থাকা ক্যাপ্টেন রশীদ গজনবীর দিকে যায় ক্যাপ্টেন ইকবাল জবরদখল, মিস্টার রশীদ?

বলুন স্যার!

জুরাইনের মিস্টার পাতলাদার বাসা-কারখানার পথে আমরা ঠিক ঠিক যাচ্ছি তো? প্রশ্ন করে ইকবাল জবরদখল।

ঘাড় কাত করে সায় দেয় রশীদ গজনবী, জি স্যার। এখন পর্যন্ত ঠিক পথেই আছি আমরা। কিন্তু স্যার…

হ্যাঁ থামলে কেনো? বলে যাও।

গত তিনদিনের আবহাওয়ার রিপোর্ট অনুসারে আজ বা এই সময়তো বাতাস থাকার কথা ছিল না ঢাকার আকাশে। আমাদের আবহাওয়ার রিপোর্ট বলছে, ঢাকার আকাশের বাতাস থাকবে স্বাভাবিক। তাই আমরা বাতাসের বিরুদ্ধে লড়ার কোনো যন্ত্রপাতি নিয়ে আসিনি, কিন্তু বাতাসটা তো ঝামেলা করছে স্যার, ক্যাপ্টেন রশীদ গজনবী থেমে যায়।

করাচির সিন্ধু নদের তীরের ঘাটি থেকে বলা হয়েছে, এই মিশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখতে হবে এই ভাত খাওয়া বাঙালি জাতির কাছে আমরা ১৯৭১ সালে হেরে গিয়েছিলাম। আমাদের নব্বই হাজার সৈন্য আত্মসমর্পণ করেছিল ওদের হাতে, মুক্তিবাহিনী আর ভারতের সেনাবাহিনীর হাতে।

একটু দূরে বাতাসের উপর ভাসতে থাকা লেফটেন্যান্ট ইকবাল মোজাইক এগিয়ে আসে, স্যার আমার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।

মানে?

বুঝতে পারছি না স্যার। কয়েক মিনিট ধরে মনে হচ্ছে আমি শ্বাস নিতে পারছি না। আর আমার পাখার যন্ত্র কেমন কড় কড় শব্দ করছে। কোথাও একটা ঝামেলা হয়েছে স্যার। ভয়ে লেফটেন্যান্ট ইকবাল মোজাইকের গলার স্বর থেমে যায়।

স্যার! পেছনে থাকা ক্যাপ্টেন মাহবুবা দুররানি উড়তে উড়তে কাছে আসে।

কী? ঘাড় বাঁকা করে পেছনে তাকায় মেজর ইকবাল জবরদখল।

নিজের ঘাড় ও মাথা পেছনে নিয়ে তাকায় মাহবুবা দুররানি, আমার মনে হচ্ছে কেউ একজন আমাদের পেছন পেছন আসছে।

বিস্ময়ে চমকে তাকায় মেজর ইকবাল, দ্রুত ঘুরে যায় উল্টোদিকে, তীক্ষ্ণ চোখে তাকায় পেছনের দিকে, কই কিছুইতো দেখছি না মাহবুবা দুররানি!

দমে যায় ক্যাপ্টেন মাহবুবা দুররানি, স্যার আমার মনে হলো আমি দেখতেও পেয়েছি সাদা রঙের একটা বিন্দু আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে। মাত্র এক পলকের জন্য দেখেছি। কিন্তু পর মুহূর্তে আর নেই।

তুমি ঠিক দেখেছো? চারজন ঢাকার আকাশে রাত দশটায় গোল হয়ে মুখোমুখি ভাসছে আর আলাপ করছে। ক্যাপ্টেন ইকবাল জবরদখলের প্রশ্নে মাহবুবা দুররানি এক মুহূর্তও না ভেবে জবাব দেয়, জি স্যার আমি ঠিক দেখেছি।

যদি দেখোই, গেলো কোথায়? আর কী দেখলে? পাল্টা প্রশ্ন করে ক্যাপ্টেন রশীদ গজনবী।

মাহবুবা দুররানি দৃঢতার সঙ্গে বলে, দেখেছি ক্রিকেট বলের আকারের একটা সাদা বল দ্রুত আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে পশ্চিম দিক থেকে। মাত্র এক পলক, আমি তাকাই আপনাদের দিকে, আবার দৃষ্টি ফেরাই গোলাকার ধাবমান বলটার দিকে, দেখি নেই। কিন্তু আমি নিশ্চিত- ওই বলটা আমাদের দিকেই আসছে।

স্যার, আমার শ্বাস নিতে সত্যি কষ্ট হচ্ছে। ক্যাপ্টেন ইকবাল মোজাইক ফ্যাকাশে গলায় বলে। আমাকে বাঁচান স্যার।

কী করবে বুঝে উঠতে পারছে না ফাঁকিস্তান থেকে পাঠানো সেনাবাহিনীর এই বিশেষ কমান্ডো দলের দ্বিতীয় অধিনায়ক ক্যাপ্টেন ইকবাল জবরদখল। আসার সময় করাচির সিন্ধু নদের তীরের ঘাটি থেকে বলা হয়েছে, এই মিশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখতে হবে এই ভাত খাওয়া বাঙালি জাতির কাছে আমরা ১৯৭১ সালে হেরে গিয়েছিলাম। আমাদের নব্বই হাজার সৈন্য আত্মসমর্পণ করেছিল ওদের হাতে, মুক্তিবাহিনী আর ভারতের সেনাবাহিনীর হাতে। আমাদের সৈন্যদের কোমরে দড়ি বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বন্দি ক্যাম্পে। সেই বাংলাদেশ আজ জ্ঞানে-বিজ্ঞানে আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে যাচ্ছে।

বিশেষ করে ঢাকার উপকণ্ঠে জুরাইনে মিস্টার পাতলাদা বা মিস্টার পাতলা মিয়া আমাদের উপর টেক্কা দিচ্ছে সোনার ঘোড়া বানিয়ে। ঘোড়া বানাচ্ছে, অবাক ঘোড়া, সেই ঘোড়া একইসঙ্গে আকাশে ডানা ঝাপটিয়ে উড়ে বেড়াবে শব্দের চেয়েও দ্রুত গতিতে, মাটিতে সাধারণ ঘোড়ার গতিতে দৌড়াবে- বিশেষ বোতামে চাপ দিলে দৌড়াবে ট্রেনের চেয়েও বেশি গতিতে, অবাক কাণ্ড আকাশ আর মাটির ঘোড়া চলবে পানিতে স্পিডবোটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। জুরাইনের মিস্টার পাতলা মিয়ার এই সোনার ঘোড়া আমাদের চাই, চাই, চাই।

সেজন্য ফাঁকিস্তান সেনাবাহিনীর সবচেয়ে চৌকশ, মেধাবী আর দেশপ্রেমিক দশজন সৈন্য নিয়ে এই দল গঠন করা হয়েছে। তোমাদের এই মিশনের নাম ‘মিশন অব সোনার ঘোড়া’। যেভাবেই হোক বাংলাদেশ থেকে সোনার ঘোড়া নিয়ে আসবে। ব্যর্থতার কোনো ক্ষমা নেই। এই মিশনে যদি কেউ অসুস্থ হয়, যদি কেউ বিপদে পড়ে উদ্ধার করা না গেলে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে আসবে বাকিরা। কিন্তু কোনোভাবেই বাংলাদেশের কোনো বাঙালির হাতে জীবিত ধরা না পড়ো!

লেফটেন্যান্ট ইকবাল মোজাইক অসুস্থ, শ্বাস নিতে পারছে না। ঢাকার আকাশে অসুস্থ হয়ে লাটিম চক্কর খাচ্ছে। অন্যদিকে স্যার দলের চৌকশ সদস্য ক্যাপ্টেন রশীদ গজনবীর শরীরে তেলাপোকা ঢুকেছে। ওর শরীরের উপর হাঁটছে সেই বিশ্রী তেলাপোকা।

মেজর জেনারেল কুত্তারাম খেলাড়ী একটু বিরতি নিয়ে তাকায় সামনে দাঁড়ানো মিশন অব সোনার ঘোড়ার সদস্যদের দিকে, আমার কথা পরিষ্কার বোঝা গেছে?

ইয়েস স্যার! প্রত্যেক অফিসার এক সঙ্গে উত্তর দেয়।

গুড, তোমাদের মিশন সফল হোক, ফাঁকিস্তানের ইজ্জত রক্ষা হোক। মহান পরোয়ারদেগারের উপর ভরসা করে তোমাদের বিদায় জানাচ্ছি।

ঢাকার আকাশে উড়ন্ত অবস্থায় এখন এই অফিসার মিস্টার ইকবাল মোজাইককে নিয়ে কী করবো? গুলি করে মাঝ আকাশেই শেষ করে দেবো? ভাবছে ক্যাপ্টেন মিস্টার ইকবাল জবরদখল। কিন্তু গুলি করে ফেলে দিলে নিচে পড়বে। নিচে পড়লে বাংলাদেশের আর্মি বা পুলিশের হাতে পড়লে... না, মাথা ঠান্ডা রাখা দরকার।

স্যার! ক্যাপ্টেন রশীদ গজনবী সামনে আসে, আমারও শরীর কেমন করছে।

মানে? ভেতরে ভেতরে আমূল চমকে যায় ক্যাপ্টেন ইকবাল জবরদখল। তোমার শরীর কেমন লাগছে, মানে কী?

মনে হচ্ছে শরীরের মধ্যে তেলাপোকা হাঁটছে।

হোয়াট? ঢাকার আকাশে চিৎকার করে ফাঁকিস্তানের ক্যাপ্টেন। তেলাপোকা? তেলাপোকা মানে কী? কোথায় পেলে তুমি তেলাপোকা? এই আকাশে মাঝরাতে তোমার শরীরের মধ্যে তেলাপোকা কীভাবে এলো এই কঠিন লোহার পোশাক ভেদ করে?

শরীরের উপর থেকে চুলকাতে চুলকাতে বলে ফাঁকিস্তানের ক্যাপ্টেন রশীদ গজনবী, কী মুশকীল স্যার! আপনিও যেখানে আমিও সেখানে- বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের আকাশে। কীভাবে আমার শরীরে তেলাপোকা ঢুকলো আমি কী করে বলবো? আরও দ্রুত ও বিরক্তির সঙ্গে ঢাকা শহরের আকাশে উড়ে উড়ে শরীর চুলকাতে থাকে ক্যাপ্টেন রশীদ গজনবী।

বড় আজগুবি ঘটনা তো? নিজের মনে গজগজ করতে করতে ফোন করে বুড়িগঙ্গার উপর ভেসে থাকা ফাঁকিস্তানের বিশেষ জাহাজ এম ভি করাচির কমান্ডার মেজর ইফতেখার খান্ডালের কাছে, হ্যালো স্যার!

হ্যাঁ বলো ক্যাপ্টেন ইকবার জবরদখল, আমি তোমাকে শুনছি, কমান্ডরুমে বসে বসে সিনেমা দেখছে মিস্টার ইফতেখার খান্ডাল।

আমরা তো ভয়ানক সমস্যার মধ্যে আছি স্যার!

কী? কী বললে? সমস্যা? কী সমস্যা? মেজর ইফতেখার খান্ডালের গলায় খুব উত্তেজনা।

আমার দলের লেফটেন্যান্ট ইকবাল মোজাইক অসুস্থ, শ্বাস নিতে পারছে না। ঢাকার আকাশে অসুস্থ হয়ে লাটিম চক্কর খাচ্ছে। অন্যদিকে স্যার দলের চৌকশ সদস্য ক্যাপ্টেন রশীদ গজনবীর শরীরে তেলাপোকা ঢুকেছে। ওর শরীরের উপর হাঁটছে সেই বিশ্রী তেলাপোকা। ও চিৎকার করে কাঁদছে আর উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে শরীর চুলকাচ্ছে। এখন তো স্যার ভয়ানক বিপদ? কী করবো স্যার?

কাজ শেষ, মানে জুরাইনে গিয়ে পাতলা মিয়ার কারখানা থেকে সোনার ঘোড়া তুলে না আনা পর্যন্ত জাহাজে ফিরতে পারবে না, সরাসরি বলে মেজর ইফতেখার খান্ডাল। নিশ্চয়ই তুমি কেন্দ্রের নির্দেশ জানো।

জি স্যার।

তাহলে ওদের নিয়ে জুরাইনের দিকে চলে যাও। কুইক...। ফোন ছেড়ে দেয় মেজর।

সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা শহরের মাঝ আকাশে চিৎকার করে ওঠে ক্যাপ্টেন ইকবাল জবরদখল, কুইক মার্চ আমার সঙ্গে। সামনের দিকে উড়তে শুরু করে ক্যাপ্টেন। পাশে পাশে উড়ছে ক্যাপ্টেন মাহবুবা দুররানি। পেছন পেছন উড়ে উড়ে আসছে তোলাপোকার কারণে শরীর চুলকাতে থাকা রশীদ গজনবী আর শরীর মোচড়াতে মোচড়াতে লেফটেন্যান্ট ইকবাল মোজাইক।

দ্রুত উড়ে উড়ে জুরাইনের দিকে যাচ্ছে দলটি, ‘মিশন অব সোনার ঘোড়া’। যেতে যেতে হঠাৎ থমকে গিয়ে দুই হাত উঁচু করে ক্যাপ্টেন ইকবাল জবরদখল সবাইকে থামিয়ে দেয়। মাহবুবা দুররানি এগিয়ে আসে, কী হয়েছে স্যার?

আমার চোখের সামনে দিয়ে এইমাত্র সাদা একটা বেলুন উড়ে গেলো চোখের পলকে, গলায় ভয় আর উৎকণ্ঠা ক্যাপ্টেনের, কী ঘটনা বলতো দুররানি! একটা বেলুনতো এভাবে উড়তে পারে না।

ওটা বেলুন না স্যার, ওটা ক্রিকেটের সাদা বল, বলে মাহবুবা দুররানি।

বেলুন হোক আর ক্রিকেটের সাদা বল হোক! কোত্থেকে এই মাঝ আকাশে আসবে? কেনো আসবে? আমরা যে পাতলা মিয়ার সোনার ঘোড়া চুরি করতে এসেছি, জেনে গেছে ওরা?

রাতের অন্ধকারে কালো জালের মতো একটা বিরাট জাল গোটা দলের উপর আছড়ে পড়ে। কিছু বোঝার আগেই চারজন সূক্ষ্ম জালের মধ্যে জড়িয়ে যেতে থাকে।

শরীর চুলকাতে চুলকাতে বাঁকা হয়ে আকাশে উড়তে উড়তে বলে রশীদ গজনবী, কীভাবে জানবে? জানাতো সম্ভব নয়। বাংলাদেশের জুরাইনের পাতলা মিয়া সোনার ঘোড়া বানাচ্ছে এই খবর বাংলাদেশের অনেকেই জানে না। কেবল বিশেষ একটা সোর্সে এই ঘটনা জেনে গেছে, জামায়াতে ইসলামী দল। ওরা বাংলাদেশের কাউকে না জানিয়ে, জানিয়ে দেয় আমাদের ফাঁকিস্তান সরকারকে। তাও অনেক গোপনে, কাকপক্ষীও টের পাবার নয় স্যার।

তুমি ঠিকই বলছো গজনবী, কিন্তু ক্যাপ্টেন ইকবাল জবরদখলের মুখের উচ্চারণ শেষ হতে পারে না, রাতের অন্ধকারে কালো জালের মতো একটা বিরাট জাল গোটা দলের উপর আছড়ে পড়ে। কিছু বোঝার আগেই চারজন সূক্ষ্ম জালের মধ্যে জড়িয়ে যেতে থাকে। জালে জড়িয়ে যাওয়ার সময়ে ওরা যতো চেষ্টা করে জাল থেকে ছাড়া পাবার জন্য, তত জালে জড়িয়ে একেকজন জালের পুটুলিতে পরিণত হয়ে যায়।

বুঝতে পারছে ঢাকার আকাশে ওরা আটকে গেছে, কিন্তু কীভাবে তা বুঝতে পারছে না। জালের মধ্যে জড়িয়ে কেবল হাঁসফাঁস করে আর চিৎকার করে একে অপরকে ডাকে। কিন্তু কেউ কারও ডাক শুনতে পারছে না। জালে ভালো করে জড়িয়ে যাবার পর দেখে, ওরা চারজন ঢাকার আকাশে একটা জায়গায় স্থির হয়ে আছে।

স্যার? ভগ্ন গলায় ডাকে মাহবুবা দুররানি।

বলো।

আমরা কি ধরা পরে গেলাম ঢাকার আকাশে?

 চলবে… 

কিডজ ম্যাগাজিনে বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনি, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না!