দারুচিনি দ্বীপের কাছিমেরা

আবিরদের জাহাজ ছুটে চলেছে নদী থেকে সাগরের পানে। বাবা-মা আর আপুনি এশার সঙ্গে সে চলেছে দ্বীপ দেখতে। দারুচিনি দ্বীপ।

শারমীন আসাদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Jan 2020, 06:50 AM
Updated : 8 Jan 2020, 06:50 AM

সে অধীর আগ্রহে প্রহর গুণছে কখন তারা পৌঁছবে গন্তব্যে আর তার বহুদিনের ইচ্ছে পূরণ হবে। দ্বীপ দেখার ইচ্ছে। সে সাগর দেখেছে দু'একবার, কিন্তু কখনো দ্বীপ দেখা হয়নি। ছবিতে সে দেখেছে দ্বীপগুলো গাছ-গাছালিপূর্ণ। চারপাশে অথৈ পানি দিয়ে ঘেরা। নীল বলয়ে ঘেরা সবুজ বৃত্ত যেন স্বপ্নের মতো।

দ্বীপ দেখবে বলে কোন কিছুই তার আর মনে ধরে না। বাবাকে কিছুক্ষণ পরপরই জিজ্ঞেস করে, ও বাবা! কখন আসবে দ্বীপ?

বাবা বলেন, এই তো আর কিছুক্ষণ। বাবা আবিরের হাত ধরে তাকে জাহাজের বারান্দায় নিয়ে আসে। নদীর দুপাশে সবুজ গাছঘেরা বন। বাবা বনটার দিকে আবিরকে ভাল করে তাকাতে বলেন। এই বনে নাকি হাতি ঘুরে বেড়ায়।

আবির হাতি খুঁজে পায় না। উপরে তাকিয়ে দেখে কিছু গাঙচিল জাহাজের সঙ্গে উড়ে চলেছে। গাঙচিল দেখতে দেখতে আবির আবার জিজ্ঞেস করে, বাবা, আমরা কি এসে গেছি?

বাবা হেসে ফেলেন। ছেলের অস্থিরতা বাবা বুঝতে পারেন। নীরব থাকেন। কারণ বাবা জানেন সব কথার উত্তর হয় না। কিছু কথাকে হারিয়ে যেতে দিতে হয় বাতাসে।

চলতে চলতে জাহাজটা নদী থেকে হঠাৎ অথৈ জলরাশিতে পড়ে। নিচে পানির রঙও পরিবর্তন হয়ে যায়। আবির বুঝে ফেলে তারা সাগরের বুকে এগিয়ে চলেছে। জাহাজ দ্বীপে ভিড়তেই সবাই ব্যস্ত হয়। ব্যস্ততা বিষয়টা আবিরদের ভাল লাগে না। তারা সময় নেয়। ধীরে সুস্থে নামে। নামতে গিয়ে আবির খেয়াল করে দ্বীপের পানি অন্য রকম নীল। এমন নীল সে আগে কখনো কোন পানিতে দেখেনি। রঙটা যেন আকাশের নীলের মতো।

তারা জাহাজ থেকে নেমে একটা ভ্যান ভাড়া করে। ভ্যানটা এগিয়ে চলে দ্বীপের ভেতর দিয়ে। ভেতরটা একটা গ্রামের মতো। মাঠ আছে, গাছ আছে, আছে কুঁড়েঘর। সে যতটা ছোট ভেবেছিল দ্বীপটা ততটা ছোট নয়। বাতাস বইছে। এখানে বাতাস অনেক ধীর, ব্যস্তহীন। শহরের মতো নয়। একটু আগে আবিরের ভেতর যে অস্থিরতা কাজ করছিল তা যেন শান্ত বাতাসে থিতু হয়ে আসে।

কিছুক্ষণের মাঝেই তারা একটা টিনের ঘরের সামনে এসে পৌঁছায়। বাড়ির মালিক দাদু এসে তাদের থাকার ঘরটা খুলে দেয়। তারা হাতে মুখে একটু পানি দিয়েই খাবার টেবিলে বসে। আবিরের খুব সাগর পাড়টা দেখার সাধ হচ্ছে। কিন্তু ক্ষুধাও লেগেছে বেশ। পেটের ভেতর যেন ছুঁচো দৌড়াচ্ছে।

এমন সময় মালিক দাদুটা ভাত নিয়ে আসে। ধোঁয়া উঠানো। সঙ্গে মুরগির মাংস আর লালশাক ভাজি। খুব সাধারণ খাবার, তবে আবিরের কাছে অমৃত লাগে। গরম ভাতে লালশাক ভাজি খেতে যে এতো স্বাদের হতে পারে তা সে আগে খেয়াল করেনি। খেয়েই আর অপেক্ষা করে না। একছুটে সাগর পাড়ে চলে যায় সে।

দ্বীপের এদিকটা বেশ নির্জন। বাবা-মা বালির উপর একটা মাদুর পেতে বসে পড়ে। আপুনি একটা পাথরের উপর বসে থাকে, হাতে একটা গল্পের বই। এখন বই পড়ছে না, তবে হাতে ধরে রেখেছে। সাগরপাড়ে দাঁড়িয়ে আবির অবাক হয়। কি বিশাল সাগর। হঠাৎ ঢেউ এসে তার পায়ের পাতা ভিজিয়ে দিতে চায়। সে উল্টো দিকে দৌড়ে যায় যেন পানি তাকে না ছুঁতে পারে। ঢেউয়ের সঙ্গে আবির ছোঁয়াছুয়ি খেলে। পানি সাগরের দিকে সরে গেলে সে পানির পেছন পেছন পানিকে ধরতে যায়। আবার কিছুক্ষণ পর পানি তার পেছন পেছন তাকে ধরতে আসে। সে এক মজার খেলা। ঢেউ যেন তার বন্ধু হয়ে উঠে।

কিছুক্ষণের মাঝেই সাগরের প্রতি সে অদ্ভুত এক টান অনুভব করতে শুরু করে। সাগর যেন তার পরম আত্মীয়। বিকেল হয়ে আসে। হঠাৎ দাদুর জন্য তার মন যেন কেমন করে ওঠে। যাতায়াতের ধকল দাদুর সহ্য হবে না তাই সে সঙ্গে আসেনি। দাদু আসলে না বুঝি আরো কত মজা হত। সে দ্বীপের ডান পাশে তাকায়৷ ঘন কেয়াবন। বাম পাশ থেকে তাকায়। একটা ছোট ছেলে সাইকেল চালিয়ে আসছে। সে সাইকেল চালাতে পারে না বলে দীর্ঘশ্বাস ফেলে।

দ্বীপের বাম দিকটাতে তার ঘুরে আসার ইচ্ছে হয়। এশাকে সঙ্গে যাবার কথা বলতেই সে না করে দেয়। ছবি তোলায় ব্যস্ত সে। আবিরের আফসোস হয় তার আপুনির জন্য। তার মনে হয় সাগরকে দেখেই তো শেষ করা যাচ্ছে না, এর মাঝে আবার ছবি তোলার সময় কোথায়। সে একাই হেঁটে চলে। পেছন থেকে মা বলে উঠে, চোখের আড়ালে যেও না বাবা। আবির হ্যাঁসূচক মাথা নেড়ে এগিয়ে যায়।

সন্ধ্যা নেমে আসছে। কাল সকালেই আবার ফিরতি জাহাজ ধরতে হবে। সময় বেশি নেই। সে দ্বীপ দেখার লোভে দ্রুত পা চালায়। এক সময় তার চোখে পড়ে সাগর পাড়ে বড় কি যেন একটা প্রাণী পড়ে আছে। সে কাছে যেতেই বুঝে ফেলে সেখানে একটা কাছিম পড়ে আছে। বিশাল কাছিম। কিন্তু কাছিমটা মৃত। ঢেউ আসছে, যাচ্ছে। তার মাঝেই পড়ে রয় কাছিমের প্রাণহীন, নীথর দেহ। আবিরের ছোট্ট মনটা বিষণ্ণ হয়। সে কাছিমকে ছুঁয়ে দেখে। পাশে বসে রয় খানিকক্ষণ। সে খেয়াল করতে পারে না কখন যে বাবা নিঃশব্দে তার পেছনে এসে দাঁড়িয়েছে। অন্ধকার হয়ে এসেছে। আবির বাবার সঙ্গে ফিরে চলে আর বাবাকে সে জিজ্ঞেস করে, কাছিমেরা কেন মারা যায়, বাবা?

বাবার কাছে প্রশ্নটা কঠিন মনে হয়। তবুও সে সহজ উত্তর দিতে বলে, বোধহয় বয়স হয়েছিল।

কিন্তু এশা আবিরকে অন্য কথা বলে। সে বলে একবার কোথায় যেন সে পড়েছিল যে কাছিমের মুখ, গলা আর পেটের ভেতরটা অন্যরকম। নরম দাঁতের মতো কাঁটা থাকে। একে প্যাপিলা বলে। এগুলো থাকার একটা বিশেষ কারণ আছে। কাছিম যখন খাবার খায় তখন অনেক লবণ পানি পান করে। পরে লবণ পানিটা বমি করে উগরে দেয়। কিন্তু খাবারগুলোকে আটকে দেয় এই প্যাপিলা। সাগরে ভাসমান প্লাস্টিক বা পলিথিন কাছিমদের পেটে চলে গেলে এই প্যাপিলাতে আটকে যায়। আর খাদ্যনালী বন্ধ হয়ে তারা মারা যায়। গবেষণা বলে, প্রায় দশ লাখের বেশি সামুদ্রিক প্রাণী প্রতি বছর মারা যায় শুধু প্লাস্টিকের কারণে। আর কাছিম তাদের অন্যতম।

আবির চোখ বড় করে শুনতে থাকে তারপর জিজ্ঞেস করে, প্লাস্টিক ওরা কিভাবে পায়?

এশা তাকে ‘চোশমু’ ডাকে সে চশমা পড়ে বলে। সে প্রশ্ন করে, আচ্ছা চোশমু, তুই যে আজ জাহাজে একটা চিপস আর একটা চকলেট খেয়েছিস তার মোড়ক কোথায় ফেলেছিস?

আবির আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলে, ময়লা-ঝুড়িতে ফেলেছি। জাহাজে ছিলো তো। সত্যি বলছি। আমি তো জানি যেখানে সেখানে ময়লা ফেলতে হয় না।

এশা দুই হাত সামনে বাড়িয়ে বলে, ব্যস, আমি জানি তো তুই ঝুড়িতে ফেলেছিস। কিন্তু সবাই তোর মতো ময়লা ঝুড়িতে ফেলে না। আর জাহাজের লোকেরা ঝুড়ির ময়লা আর কোথায় ফেলতে পারে বলতো?

আবির উত্তর দেয় না শুধু ভাবে আর জিজ্ঞেস করে, আচ্ছা আপুনি, প্লাস্টিক হজম হয় না?

এশা মাথা নাড়ে, উহু প্লাস্টিক অপচনশীল। প্লাস্টিক ভেঙে গুড়ো হয়। আর সেটা হতেও দুইশ থেকে পাঁচশ বছরের মতো সময় লাগে। আর বর্তমানে সারা পৃথিবীতে শুধু সাগরেই ভেসে বেড়াচ্ছে কোটি টনেরও বেশি প্লাস্টিক!

আবির অস্ফুট স্বরে বলে, কি সাংঘাতিক!

রাতে খাবারের আয়োজনে থাকে কোরাল মাছের বারবিকিউ, টমেটো সস আর গরম গরম নানরুটি। মাছ খেতে যে এত মজা হতে পারে তা আবিরের জানা ছিল না। এত মজার খাবারও আবির বেশি খেতে পারে না। গিলতে গেলে খাবার গলায় আটকে আসে। তার নিজেকে কেমন অপরাধী মনে হচ্ছে। বারবারই মৃত কাছিমের ছবি তার চোখে ভেসে উঠছে। তার মনে হচ্ছে কাছিমের মুখ হা করালে হয়ত দেখা যাবে তার ফেলে দেয়া চিপসের মোড়ক ওখানে আটকে আছে। সে আর ভাবতে পারে না।

দ্বীপে বিদ্যুতের ব্যবস্থা খুব একটা ভাল নয়। বেশি দরকার হলে সঞ্চিত শক্তি ব্যবহার করে আলো জ্বালানো হয়। এছাড়া দ্বীপে তেমন কোন ঝলমলে আলোর কারসাজিও নেই। অন্ধকার যে উপভোগ করার বিষয় সেটা আবির বুঝতে পারে খাওয়া শেষে বাবার সঙ্গে তারা দেখতে দেখতে। শহরে সে বেশ কতবার চেষ্টা করেছে আয়োজন করে তারা দেখতে, কিন্তু বিষয়টাকে প্রতিবারই পানশে মনে হয়েছে।

এখন সে খেয়াল করে দেখে বুঝতে পারে যে অন্ধকার না থাকলে আলোকে বোঝা বেশ কঠিন। তারারা এত উজ্জ্বল, তবুও শহরের সস্তা আলোর ঝলমলানিতে তা ক্ষীণ হয়ে আসে, গভীরতা হারায়। আবির ভাবে, এর মানে হচ্ছে তুমি কোন কিছুকে কিভাবে দেখছ সেটাই সব নয়। আসল বিষয়গুলো মাঝে মাঝে নকলের ভারে চাপা পড়ে যেতে পারে।

রাত গভীর হয়। আবিরের ঘুম আসে না। বাবা-মা ঘুমিয়ে গেছে। এশা টর্চের আলোয় বই পড়ছে। আবিরের চোখে মৃত কাছিম ভেসে বেড়ায়। সে এপাশ ওপাশ ফিরে আর ভাবে কিছু একটা করতে হবে। কাছিমদের জন্য। সে এশাকে ফিসফিস করে জিজ্ঞেস করে, তুমি কাগজ আর কলম এনেছ না? আমাকে দেবে?

এশা বলে, তোকে কে বলল?

আবির মুচকি হাসি দিয়ে বলে, তুমি তো চাঁদে গেলেও বই-খাতা-কলম নিয়ে যাবে। আমি জানি।

এশা বলে, চাঁদে তো কলম দিয়ে লেখা যায় না।

আবির অবাক হয়, জিজ্ঞেস করে, কেন?

আপুনি গভীর গলায় বলে, মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই বলে। অবশ্য বিশেষ একটা কলম আছে তা দিয়ে লেখা যাবে আর না হলে পেন্সিল তো আছেই। আচ্ছা তার আগে বল, কাগজ-কলম দিয়ে কী হবে এখন?

আবির কাছিমদের নিয়ে ভাবা তার নতুন ভাবনাটা এশাকে বলে। এশা ভাইয়ের অনুরোধে ভাইকে কিছু প্ল্যাকার্ড লিখে দেয়। অবশেষে আবিরের ঘুম আসে। কিন্তু ভোর না হতেই তার ঘুম ভেঙে যায়। বাবা-মা সাগরপাড়ে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছেন। আবিরও ঝটপট তৈরি হয়ে নেয় আর প্ল্যাকার্ডগুলো নিয়ে বাবা-মায়ের পিছু পিছু চলে। সে বাবার সাহায্য নিয়ে প্ল্যাকার্ডগুলো শুকনো ডালে গেঁথে বালিতে পুঁতে দেয়। প্ল্যাকার্ডে লেখা থাকে, ‘যেখানে সেখানে প্লাস্টিক-পলিথিন ফেলবেন না, কাছিমেরা মারা যাচ্ছে।’

বাবা আবিরকে নিয়ে ডাব খেতে যায়। বড় বড় ডাব। ডাবওয়ালা ডাব কেটে সঙ্গে একটা স্ট্র দিতে চায়। আবির স্ট্র ফেরত দেয়। স্ট্রটা প্লাস্টিকের বানানো তাই। সে মুখ লাগিয়ে ডাবের পানি খেতে গিয়ে গায়ে পড়ে একাকার। কাণ্ড দেখে বাবা-মা বিরক্ত হন না, বরং মুচকি হেসে ফেলেন। ডাব খাওয়া শেষে আবির শেষ প্ল্যাকার্ডটা ডাবের দোকানের পাশে পুঁতে দিতে গিয়ে শুনতে থাকে এশার সঙ্গে বাবার কথোপকথন।

এশা পেছনে এসে দাঁড়িয়েছে আর বাবাকে বলছে, বাবা, প্ল্যাকার্ডগুলো তো ঠুনকো, বৃষ্টিতেই নষ্ট হয়ে যাবে।

বাবা বলেন, তাতে কি? ওর এই উদ্যোগে একজনও যদি প্লাস্টিক না ফেলে, একটা কাছিমও যদি বেঁচে যায় তাও বা কম কি? যার যা সাধ্য আছে তাই নিয়েই আওয়াজ তুলতে হবে।

বাবার কথা শুনে আবিরের চোখে খুশির ঝিলিক দেয়।

ফিরতি জাহাজের আর অল্প সময় বাকি। এর মাঝে সে কিছু পাথর আর শামুকের খোল সংগ্রহ করে। সময় ফুরিয়ে আসে। ফেরার সময় আবিরের মন ভার হয়। দ্বীপ ছেড়ে যেতে ইচ্ছে হয় না। জাহাজে উঠে সে গাঙচিলেদের সঙ্গে সময় কাটায়। যেন কত দিনের পরিচয় তাদের মাঝে। বাবা একটা বনরুটি কিনে দেন। আবির রুটির টুকরো ছিঁড়ে ছিঁড়ে দূরে ছুড়ে দেয়। গাঙচিলেরা ছোঁ মেরে সেগুলো ঠোঁটে ধরে। জাহাজের সঙ্গে সঙ্গে গাঙচিলেরা সাগরপাড়ি দেয় রুটি খাওয়ার লোভে। খাওয়ানো শেষে রুটির মোড়কটা ব্যাগে নিয়ে নিতে আবির ভুলে যায় না।

সন্ধ্যা হয়ে আসে। সে ক্যামেরায় তোলা ছবিগুলো দেখতে গিয়ে মন খারাপ করে বাবাকে বলে, বাবা, আমারতো ছবিই তোলা হয়নি। একটা মাত্র ছবি তাও আবার পেছন থেকে তোলা। ক্যামেরার সব ছবি তো আপুনির।

বাবা অভয় দিয়ে বলেন, এশা তো ছবি তুলতে গিয়ে দ্বীপকেই অনুভব করেনি, কিন্তু তুমি করেছ। ক্যামেরা হারিয়ে গেলে এশার দ্বীপ দেখার স্মৃতিও হারিয়ে যাবে। হারাবে না তোমার স্মৃতিগুলো৷ কারণ দারুচিনি দ্বীপ গেঁথে গেছে। গেঁথে গেছে কাছিমেরা আর গাঙচিলেরা। তোমার মেধায় আর মননে।

শুনে আবির আশ্বস্ত হয়। জাহাজ তীরে ভিড়ে। আবিরের মনের তীরেও স্মৃতিরা ভিড় করে। দারুচিনি দ্বীপের স্মৃতি।

লেখক পরিচিতি: সহকারী অধ্যাপক, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ

এই লেখকের আরও লেখা

কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি,সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com । সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না!