মধ্য এশিয়ার বড় একটা দেশ কাযাখস্তান। ঢাকা থেকে দূরত্ব মাত্র আড়াই হাজার কিলোমিটার।
Published : 02 Feb 2024, 11:53 AM
মধ্য এশিয়ার বড় একটা দেশ কাযাখস্তান। পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষের অদেখা, অজানা। ঢাকা থেকে দূরত্ব মাত্র আড়াই হাজার কিলোমিটার।
চীন, রাশিয়া, কিরগিস্তান, উজবেকিস্তান ও তুর্কমেনিস্থানের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে এক অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বুকে ধরে রেখে হাতছানি দিয়ে ডাকে। পুরো দেশটাই পাহাড়ের সুরক্ষায় মোড়া। আয়তনে বড় এবং উল্লেখযোগ্য শহর আলমাতির অলিগলিতে লুকিয়ে আছে এক অজানা জনপদের ঘ্রাণ। অতিকায় পার্ক বা তার চেয়েও সুন্দর ফুটপাতে উড়ে বেড়ায় অচেনা অনেক গল্প।
সেসব নিয়ে ফাতিমা জাহানের ভ্রমণ কাহিনি ‘পাহাড় সরোবরের কাযাখস্তান’। এবারের বইমেলায় বইটি প্রকাশ করেছে ‘স্বপ্ন৭১ প্রকাশন’। লেখক ফাতিমা জাহানের তোলা ছবি ব্যবহার করে প্রচ্ছদ বিন্যাস করেছেন আইয়ুব আল আমিন।
বইটির ফ্ল্যাপে বলা হয়েছে, শহরের বাইরে কোথাও সবুজ, কোথাও লাল পাহাড়, মাইলের পর মাইল শুধুই চারণভূমি বা শস্যখেত। এশিয়া মহাদেশে গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন স্বরূপ শেরিন ক্যানিয়ন একইরকমভাবে দাঁড়িয়ে, না বলেও বলে যায় অনেক কথা। কোথাও পান্না সবুজ হ্রদের হাতছানি। ঘন পাইন বনের মাঝ দিয়ে পাহাড়ি পথ চলতে চলতে লেখকের হয়ে যায় পাখি বা গুল্মের সঙ্গে বন্ধুত্ব। সেরকম হ্রদ আর পাহাড়ের মেলবন্ধন করিয়েছে কোলসাই ন্যাশনাল পার্ক আর কেইন্ডি লেইক।
গ্রামীণ সহজ সরল জীবনের দেখা মেলে সাতি নামের এক গ্রামে। যেখানে কৃষক কৃষাণী সাদরে আপ্যায়ন করে দেশি-বিদেশি অতিথিদের বিভিন্ন ধরনের কাযাখ খাবারের ডালি দিয়ে। সবুজ দেশ, পাহাড়ের অলংকার, নীল হ্রদ, সরল মানুষ এই চারের সমন্বয় কাযাখস্তানকে করেছে এক অনন্য জনপদ।
‘কাযাখ’ শব্দের অর্থ বিস্ময়। পটে আঁকা ছবির মতো দেশ কাযাখস্তান। আলমাতি শহর থেকে ভ্রমণ শুরু করে লেখকের বিস্ময় বিস্তৃত হতে থাকে গাছপালায় ঘেরা পরিচ্ছন্ন পথঘাট আর পাহাড়ে খুঁজে পাওয়া বন্ধুর সাথে। শেরিন ক্যানিয়নের লাল পাহাড় যেন এক জীবন্ত গল্প বলে যায়। কোলসাই ন্যাশনাল পার্কের সবুজ পাহাড় বেয়ে বেয়ে ট্রেক করার সময় লেখককে হাতছানি দিয়ে ডাকে নিচের পান্না সবুজ লেইক। গ্রামের এক সাধারণ কৃষকের ঘর থেকে কেইন্ডির পাইন বনের সতেজ ঘ্রাণ, জঙ্গল অবধি সবই নির্জন, সবাই বিনয়ী। পরতে পরতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য লুকিয়ে রাখা এক বিশাল জনপদের রূপকথার মতো গল্প যেন বিস্ময়ভূমি।
বইটি সম্পর্কে লেখক ফাতিমা জাহান বলেন, “আমার ভ্রমণ কাহিনির বই প্রকাশিত হল অবশেষে। এত ভ্রমণ করি আর নিজের কাজে ব্যস্ত থাকি যে বই প্রকাশের বিষয়ে তেমন মনোযোগ দিতে পারি না। কাযাখস্তান আমার কাছে এক স্বপ্নের দেশ। কাযাখস্তান ভ্রমণের পর যত দেশে গিয়েছি সব জায়গার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে কাযাখস্তানের সাথে তুলনা করা শুরু করে দিয়েছি। আসলে প্রত্যেকটি দেশ তার নিজের মতো সুন্দর, প্রত্যেক পাঠক তার নিজের মতো অনন্য।”
অমর একুশে বইমেলার ১৯০ নাম্বার স্টলে কিংবা স্বপ্ন৭১ প্রকাশনের কাঁটাবনের বিক্রয়কেন্দ্রে পাওয়া যাবে বইটি।