শৈশবকে যদি আরেকটিবার ছুঁয়ে দেখার সুযোগ হয়, কেমন হবে?
Published : 09 Feb 2025, 01:22 AM
শ্রেণি, পেশা, বিত্ত, জাতি, ধর্ম, বর্ণের গণ্ডি ছাপিয়ে শৈশব শাশ্বত ও সুন্দর। শৈশবের জাদুকরী ক্ষমতা হলো শৈশব সবার কাছেই সবসময়ই স্বপ্নের মতো রঙিন। মায়ের ভালোবাসা আর কপট রাগ, বাবার স্নেহ, বন্ধুদের দুষ্টুমি, শিক্ষকের স্নেহ আর শাসন, প্রকৃতির উদারতা, রূপ, রস, মাধুরী সব মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় শৈশবে।
যান্ত্রিকতায় ভরা ইট-কাঠের এই যাপিত জীবনে শৈশবকে নিবিড়ভাবে আরেকটিবার কল্পনায় ছুঁয়ে দেখার সুযোগ যদি হয় আবার, কেমন হবে? এ অধরা অনুভূতি দিতেই প্রকাশনী সংস্থা ‘সময় প্রকাশন’ এবারের বইমেলায় প্রকাশ করেছে স্মৃতিকথার সংকলন ‘স্কুল জীবনের প্রিয় স্মৃতি’।
বইটির সম্পাদক নিশাত সুলতানা। সম্পাদনা পরিষদে আছেন ফরিদ আহমেদ, মেধা রোশনান সারওয়ার ও জাহিদুল ইসলাম সবুজ।
বইটির প্রকাশক ফরিদ আহমেদ বলে, “সময় প্রকাশনের ৩৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এবারের বইমেলায় বিভিন্ন বিষয়ে দশটি সংকলনবই প্রকাশ করা হয়েছে। সংকলনগুলো সম্পাদনা করেছেন দেশের সাহিত্য-অঙ্গনেরই দশজন। এই বইটি সেই দশটি সংকলনের একটি।”
সম্পাদক নিশাত সুলতানা বলেন, “সংগ্রহটিতে পাঠক পাবেন শিশুমনের ভাবনার প্রতিফলন। পড়ার সময় প্রতিটি পাঠক তাদের শৈশবকে আরেকবার খুঁজে পাবেন লেখাগুলোতে। শিশুবেলার ভালোলাগা মুহূর্তরা চিরকাল বেঁচে থাকুক। শৈশবের পবিত্রতা আর সরলতা দীপ্তি ছড়াক।”
‘স্কুল জীবনের প্রিয় স্মৃতি’ বইটি আকণ্ঠ নিমগ্ন লেখকদের শিশুমনের ভাবনা, ভালোলাগা আর মন্দলাগা নিয়ে। লেখকদের শিশুতোষ এলেবেলে ভাবনাগুলো বিমূর্তভাবে ফুটে উঠেছে সংকলনটির প্রতিটি লেখায়।
‘স্কুল জীবনের প্রিয় স্মৃতি’ লিখতে গিয়ে এই বইয়ের প্রতিটি লেখক ডুব দিয়েছিলেন তাদের শৈশবে। গল্পের সেই শিশুরা আজ বয়সে কেউ তরুণ, কেউ প্রবীণ আবার কেউ মাঝবয়সি। এই লেখকদের অনেকেই নিজ নিজ আলোয় আলোকিত। এদের অনেকেই আবার পেশাগত সাফল্যকে ছাপিয়ে সাহিত্য জগতে করে নিয়েছেন স্থায়ী আসন।
এখানে আছেন অনেক প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ লেখক; যারা হয়তো একদিন দীপ্তি ছড়াবেন বাংলার সাহিত্যের আকাশে। খেলতে খেলতে শেখা, দলীয় নেতৃত্ব, আনুগত্য, অন্যের জন্য স্বার্থত্যাগের শিক্ষাও সুনিপুণভাবে বারবার উঠে এসেছে লেখকদের স্মৃতিকথাগুলোতে।
শৈশবকে আরেকটিবার প্রাণের মাঝে ফিরিয়ে দিয়ে লেখকরা যেন তাদের সুখ-দুঃখের কথা জানার সুযোগ করে দিলেন পাঠকদের সামনে। শিশুবেলার না বলা কথাটি কিংবা অব্যক্ত ভালো লাগা কিংবা মন্দলাগার মুহূর্তগুলো পূর্ণবয়সি লেখকের ভাষায় পরিপূর্ণতা পেয়েছে। লেখকদের শিশুমনের সেই অনুভূতিগুলো যেন অজানা থেকে জানা হয়ে যাবে।
সংকলনে যারা লিখেছেন তারা হলেন- অধরা জাহান, অন্তরা আফরোজ, আবু রায়হান, আমীরুল ইসলাম, আশিকুর রহমান, ইফতেখারুল ইসলাম, ইমরান আহমেদ, কুতুবউদ্দিন আহমেদ, চৌধুরী মুফাদ আহমদ, তানি আহমেদ, দীপু মাহমুদ, নিশাত সুলতানা, ফরিদ আহমেদ, ফরিদা রানু, ফরিদুর রেজা সাগর, ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী, ফারহানা মান্নান, বাসার তাসাউফ, বিশ্বজিৎ চৌধুরী, বিশ্বাস করবী ফারহানা, মোজাম্মেল কবির, মোস্তফা কামাল, মোহিত কামাল, লুৎফুন নাহার নাজীম, শাহআলম সাজু, শাহনাজ রানু, শুভ্রা সুফিয়ান, সাধন সরকার, সালমা সিদ্দিকা ও স্নিগ্ধা বাউল।