'চিনামাটির পাহাড়ের নৈসর্গিক সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না।'
Published : 19 Mar 2023, 05:32 PM
নির্মলেন্দু গুণ, হেলাল হাফিজ কিংবা হুমায়ূন আহমেদের জন্মস্থান নেত্রকোণা যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। এই জেলা রূপ বৈচিত্র্যে অনন্য।
জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে অন্যতম হলো চিনা মাটির পাহাড়। এর অবস্থান সুসং দুর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি ইউনিয়নের বিজয়পুর গ্রামে।
চিনামাটির পাহাড়ের নৈসর্গিক সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না।
এখানে ছোট বড় মিলিয়ে বেশ কিছু পাহাড় রয়েছে। সবচেয়ে উঁচু পাহাড়টির দৈর্ঘ ৫২ ফুট বলে জানা যায়।
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের কোল ঘেঁষে থাকা এই প্রগাঢ় সুন্দর চিনামাটির পাহাড়কে সাদা মাটির পাহাড়ও বলা হয়। সাদা মাটির পাহাড় বললেও এখানে গোলাপী, লাল, খয়েরিসহ নানা রঙের মাটির দেখা মেলে।
চিনামাটির পাহাড়ের সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর স্থান হলো দুটো পাহাড়ের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা সবুজাভ জলের অপরূপা এক জলাশয়। এই দৃশ্যকে প্রথম দেখায় শিল্পীর হাতে আঁকা চিত্রকর্ম বলে ভ্রম হতে পারে।
অনন্য সুন্দর এই চিনামাটির পাহাড়ে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন বয়সী পর্যটকরা ঘুরতে আসেন। পাহাড়ের উপর থেকে মেঘালয় রাজ্যও দেখা যায়।
এই পর্যটনকে কেন্দ্র করে চিনামাটির পাহাড়ের আশেপাশে গড়ে উঠেছে অনেক খাবারের দোকান। এসব দোকানে পানি, শরবত, চিপস, শসা বিক্রি হয়।
পাহাড় বেয়ে উপরে উঠে তৃষ্ণার্ত হয়ে গেলে কিছুটা ঠাণ্ডা জলের শরবত বা শসা খেয়ে নেন অনেকেই।
প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি বিজয়পুরের এই চিনামাটির পাহাড় দিন দিন ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: নেত্রকোণা।