‘আমার কাছে বাল্যবিয়ের অন্যতম প্রধান কারণ দারিদ্র্য বলে মনে হয়। এছাড়াও সামাজিক নিরাপত্তার অভাব,পড়াশোনা ও পারিবারিক শিক্ষার অভাবে বাল্যবিয়ে বেশি হয় বলে ধারণা।’
Published : 04 May 2024, 05:27 PM
বাল্যবিয়ের জন্য দারিদ্র্য ও শিক্ষার অভাব দায়ী, বলছিলেন ভোলা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল। তার মতে সামাজিক নিরাপত্তার অভাবও বাল্যবিয়ের অন্যতম কারণ। হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় শিশুবিয়ে প্রতিরোধের নানা উপায় নিয়েও কথা বলেন তিনি।
হ্যালো: বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরিতে প্রশাসন কোন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে?
সজল চন্দ্র শীল: ভোলা সদর উপজেলায় আমরা বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ ও বাল্যবিয়ে বন্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকি। আমাদের উপজেলার মাসিক সমন্বয় মিটিংয়ে আমরা বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানোর জন্য অনুরোধ করি। এর বাইরে সরকারের যে ধরনের প্রকল্প আছে, যেমন ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন উঠান বৈঠক করি। এর মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে আমরা সচেতন করি। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়েও আমরা সভা করি। এছাড়া বিভিন্ন এনজিওর সঙ্গে সমন্বয় করেও আমরা মাঠ পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করি।
হ্যালো: আপনার উপজেলায় কী কী কারণে বাল্যবিয়ে সংঘটিত হয় বলে আপনি মনে করেন?
সজল চন্দ্র শীল: ভোলা একটি নদীভাঙন প্রবণ দ্বীপ জেলা। আমাদের এখানে কিছু চর অঞ্চল রয়েছে,যেখানে মানুষের শিক্ষার হার কম। সেখানে জেলে সম্প্রদায়ের অনেক পরিবার বাস করে। যারা পর্যাপ্ত শিক্ষার সুযোগ পায় না। এ কারণে তাদের মাঝে অসচেতনতা বেশি।
আমার কাছে বাল্যবিয়ের অন্যতম প্রধান কারণ দারিদ্র্য বলে মনে হয়। এছাড়াও সামাজিক নিরাপত্তার অভাব,পড়াশোনা ও পারিবারিক শিক্ষার অভাবে বাল্যবিয়ে বেশি হয় বলে ধারণা।
হ্যালো: আমরা ধরেই নিই আর্থিক অসচ্ছলতার জন্য বাল্যবিয়ে বেশি হয়। কিন্তু কিশোরীর সামাজিক নিরাপত্তা না থাকাটাও অনেক বড় কারণ। এই বিষয়ে আপনার মতামত কী?
সজল চন্দ্র শীল: এটি ঠিক যে, সামাজিক নিরাপত্তা না থাকার কারণে অনেক কিশোরীর বিয়ে হচ্ছে।অনেক এনজিও ও বেসরকারি সংগঠন এই বিষয় নিয়ে কাজ করছে। বিশেষ করে কিছু এনজিও রয়েছে যারা কিশোরীদের নিয়ে কাজ করছে। তাদেরকে স্বাবলম্বী করার জন্য কাজ করছে। তাদের সেলাই মেশিনের প্রশিক্ষণ দিয়ে সেলাই মেশিন দেওয়া হচ্ছে, ছাগল পালনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এতে করে যাতে তারা স্বাবলম্বী হতে পারে এবং বাল্যবিয়ের শিকার না হয়।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: ভোলা।