পিঠা বানানো আমার প্রিয় কাজগুলোর একটি।
Published : 30 Jan 2025, 07:52 PM
আমি গেল বছরের শেষ দিকে দুইবার গ্রামের বাড়িতে গিয়েছি। যদিও খুব ব্যস্ত সময় পার করছিলাম, তবুও সময় বের করে যাওয়া হয়েছে।
প্রথমবার পরিবারের সবার সঙ্গে যাওয়ায় খুবই মজা হয়েছে। এছাড়া গ্রামের প্রতি সবসময়ই আমার অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে।
শীতের দিনে গ্রামের সকাল তো অভাবনীয় সুন্দর হয়ে থাকে। তাই ভোরে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির আশেপাশে হাঁটতে বের হতাম। শিশিরভেজা ফুলের বাগান, কুয়াশার আড়ালে সূর্যের উঁকি দেওয়া আর পাশের সরিষাক্ষেতের সৌন্দর্য উপভোগ করতাম। মাঝে মাঝে এসব মুহূর্ত ক্যামেরায় বন্দি করতেও ভুলতাম না।
আমরা বাড়ির মেয়েরা মিলে একদিন বনভোজনের আয়োজন করেছিলাম। কুহু, সামিয়া আর স্নিগ্ধা ভাত-তরকারি রান্না করল। আর আমি বানালাম পুলি পিঠা।
পিঠা বানানো আমার প্রিয় কাজগুলোর একটি। আমাদের বানানো পিঠা আশেপাশের শিশু এবং প্রবীণদের সঙ্গে ভাগ করে খেয়েছিলাম। অনেক আনন্দ হয়েছিল সেদিন।
এর মাঝে কয়েকদিনের জন্য ঢাকায় এসেছিলাম একটি কর্মশালায় যোগ দেওয়ার জন্য। এরপর আবার গ্রামের বাড়িতে ফিরে যাই।
গ্রামে গিয়ে মেলায় ঘোরাঘুরি করেছি, আর অনেক আড্ডা দিয়ে সময়গুলো পার করেছি।
দাদি আমাদের জন্য নানা রকমের পিঠা তৈরি করেছিলেন। সবাই মিলে শীতের পিঠাপুলির স্বাদ নিয়েছি আমরা।
সব মিলিয়ে এবারের শীতের ছুটি ছিল দারুণ। গ্রাম, প্রকৃতি, পিঠা আর পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর মুহূর্তগুলো স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: ঢাকা।