বন্যার পর মাস পেরোলেও শোচনীয় অবস্থা কাটেনি লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের দহগ্রামের কৃষকদের।
Published : 30 Nov 2021, 06:39 PM
শুষ্ক মৌসুমের এই আকস্মিক বন্যায় ভেঙে গিয়েছে রাস্তাঘাট, ধ্বসে পড়েছে পুল-কালভার্ট, বৈদ্যুতিক খুঁটি, বাড়িঘর।
উপজেলা কৃষি অফিস ও দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের তথ্য মতে, ইউনিয়নের চারটি ওয়ার্ডের প্রায় দুই হাজার কৃষক পরিবার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে।
কৃষকেরা জানায়, একরের পর একর জমির ফসল বন্যার স্রোতে ভেসে গিয়েছে। বন্যায় ধান ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়া কিংবা ধান ভেসে যাওয়ার কারণে তাদের নিজেদের যেমন খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে তেমনি গবাদি পশুর খাদ্যেরও সমস্যা প্রকট।
অধিকাংশ মানুষই এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের সহায়তা পাননি বলে অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে দহগ্রামের সিস্টিয়ার বাজার এলাকার বাসিন্দা রফিক মুন্সি আক্ষেপের সুরে বলে, তার এক বিঘা জমির সবগুলো ধান বন্যায় ভেসে গেছে।
চার বিঘা জমির সব ধান নষ্ট হয়ে গেছে রফিকুল ইসলাম নামের আরেক কৃষকের। এখন না পারছেন নিজে খেতে কিংবা না পারছেন গবাদিপশুকে খেতে দিতে। এ ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট মহলের সহায়তা আশা করেন।
প্রতি বছর বন্যার ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে তিস্তা বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান তারা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হারুন মিয়া হ্যালোকে বলেন, “অন্যান্য ইউনিয়নের তুলনায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে দহগ্রামকে বেশি ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ক্ষতির তুলনায় আমাদের দেওয়া ভর্তুকি কিছুই নয়।
“বিশেষ বরাদ্দের জন্য ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছি। সেই বরাদ্দটা পেলে ভুক্তভোগী পরিবার কিছুটা হলেও উপকৃত হবে বলে আমি মনে করি।"