শহীদ জননী তার মুক্তিযুদ্ধের সময়কার স্মৃতি নিয়ে লিখেছেন 'একাত্তরের দিনগুলি' বইটি। যা আমাদের মুক্তির সংগ্রামের অনন্য দলিল হয়ে টিকে আছে।
Published : 26 Jun 2024, 04:48 PM
মুক্তিযুদ্ধে জ্যেষ্ঠপুত্র ও গেরিলা যোদ্ধা শাফী ইমাম রুমীর আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে ‘শহীদ জননী’ মর্যাদায় ভূষিত হন কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ জাহানারা ইমাম।
মুক্তিযুদ্ধের পর তার নেতৃত্বে গড়ে ওঠে একাত্তরের ঘাতক দালালদের বিচারের দাবির আন্দোলন।
বুধবার মহীয়সী এই নারীর ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯৪ সালের এই দিনে তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।
নবম-দশম শ্রেণির ‘বাংলা সাহিত্য’ বইয়ের তথ্যানুযায়ী জাহানারা ইমামের জন্ম ১৯২৯ সালের ৩ মে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ভারতে জন্ম হলেও তার জীবনের বেশিরভাগ সময় কেটেছে বাংলাদেশে।
জাহানারা ইমাম ১৯৪৭ সালে কলকাতার লেডি ব্রেবোন কলেজ থেকে বি.এ পাশ করেন। এরপর ঢাকায় এসে শিক্ষকতা শুরু করেন। প্রধান শিক্ষক পদে যোগ দেন ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুলে।
শিক্ষকতায় মনোনিবেশ করার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এড ও এম.এড ডিগ্রি নেন। এছাড়া কর্মজীবনে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজেও অধ্যাপনা করেন তিনি।
শহীদ জননী তার মুক্তিযুদ্ধের সময়কার স্মৃতি নিয়ে লিখেছেন 'একাত্তরের দিনগুলি' বইটি। যা আমাদের মুক্তির সংগ্রামের অনন্য দলিল হয়ে টিকে আছে।
দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকে নিজের প্রথম সন্তান রুমীকে যুদ্ধে পাঠান তিনি। বেশ কয়েকটি সফল গেরিলা অপারেশনের পর শহীদ হন রুমী।
এতেও দমে যাননি শহীদ জননী। মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেওয়াসহ নানাভাবে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করেন। দেশের তরে প্রিয় সন্তানকে বিলিয়ে দেওয়ার মতো অসীম ত্যাগ স্বীকার করেন এই সাহসী নারী।
মুক্তিযুদ্ধ শেষ হওয়ার পরও তার যুদ্ধ থেমে থাকেনি। রাজাকার, আলবদর, আল শামসদের বিচারের দাবিতে আমৃত্যু লড়ে যান তিনি।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: ঢাকা।