তদন্ত কমিটি মনে করছে, ওই শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় খারাপ করার কারণে এমন অভিযোগ করে থাকতে পারেন।
Published : 19 Feb 2024, 05:48 PM
ঢাকার এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় কোনো পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ার কথা জানিয়েছে তদন্ত কমিটি।
সোমবার স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সংবাদ সম্মেলন করে কমিটির সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন মহাপরিচালক মো. টিটু মিঞা।
তিনি বলেন, “ওই শিক্ষার্থী সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করেছে।”
গত ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা হয়। দুদিন পর হুমাইরা ইসলাম ছোঁয়া নামে এক পরীক্ষার্থী স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে অভিযোগ জমা দিয়ে বলেন, পরীক্ষার সময় তার শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র ছিঁড়ে ফেলেন দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক।
সেই শিক্ষার্থী কেন্দ্র থেকে বের হয়ে গণমাধ্যমকর্মী ও কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের কাছেও এমন অভিযোগ করেছিলেন। তার বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
পরে তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেনের কাছেও অভিযোগ করেছিলেন। পরে ঘটনাটি তদন্তে একটি কমিটি করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।
টিটু মিঞা বলেন, “অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর অভিযোগ অনুযায়ী রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র (শেখ কামাল ভবন, অষ্টম তলা) আমাদের তদন্ত কমিটি পরিদর্শন করেছে। তারা শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেছে।
“সব মিলিয়ে আমরা জানতে পেরেছি, পরীক্ষার দিন ওএমআর শিট ছিঁড়ে ফেলার মত কোনো ঘটনা ঘটেনি। ওই ছাত্রীর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।”
তদন্ত কমিটি মনে করছে, ওই শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় খারাপ করার কারণে এমন অভিযোগ করে থাকতে পারেন।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, “তদন্ত কমিটি মনে করছে, সে হয়ত এটা নিয়ে একটা গল্প তৈরি করে থাকতে পারে; পরীক্ষায় খারাপ করার বিষয়টি গোপন করতে পারে।”
ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া হুমাইরা দাবি করেছেন, পরীক্ষা শুরুর ৪০ মিনিট পর তার পাশে বসা এক নারী শিক্ষার্থীর কানে থাকা একটি ডিভাইস উদ্ধার করেন দায়িত্বরত নারী পর্যবেক্ষক।
তার পাশে বসা হুমাইরা ও আরেকজনের বিরুদ্ধে যোগসাজশের অভিযোগ তুলে তাদের উত্তরপত্র ছিঁড়ে ফেলা হয়- এমন একটি দাবি করা হয় অভিযোগে।
হুমাইরা দাবি করেন, শেষ পর্যন্ত সেই তাদের দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি আর পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৫ মিনিট আগে তাদেরকে নতুন প্রশ্ন ও ওএমআর শিট দেন ওই পর্যবেক্ষক।